- এই মুহূর্তে মা | ঠে-ম | য় | দা | নে
- নভেম্বর ২২, ২০২৩
সমর্থকদের ওপর লাঠিচার্জ, ক্ষিপ্ত মেসি, পুলিশের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়লেন মার্টিনেজ
ম্যাচ তখনও শুরু হয়নি। দুই দলের ফুটবলাররা সারিবদ্ধ ভাবে দাঁড়িয়ে। আর্জেন্টিনার জাতীয় সঙ্গীত শুরু হতেই ব্রাজিল সমর্থকরা বিদ্রুপ করতে শুরু করে। আর সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয় দু’দলের সমর্থকদের মধ্যে মারপিট। সমর্থকদের দাঙ্গা থামাতে গ্যালারিতে লাঠিপেটা শুরু করে পুলিশ। বেছে বেছে আর্জেন্টিনার সমর্থকদের মারধর করা হয়। আর্জেন্টিনার দর্শকদের ওপর পুলিশের লাঠিপেটার ঘটনা ভালোভাবে নেননি লিওনেল মেসি। সতীর্থদের নিয়ে তিনি মাঠ থেকে বেরিয়ে যান। ম্যাচের পর তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
গ্যালারিতে দাঙ্গা শুরু হওয়ার পর পরই লিওনেল মেসি সতীর্থদের নিয়ে ছুটে যান। তাঁরা দর্শকদের শান্ত হওয়ার আহ্বান জানান। কিন্তু দেখা যায় পুলিশ বেছে বেছে আর্জেন্টিনার সমর্থকদের ওপর লাঠিচার্জ করছে। আর্জেন্টিনার সমর্থকরাও পুলিশের ওপর গ্যালারির চেয়ার ছুঁড়তে থাকেন। পুলিশের লাঠির আঘাতে বেশ কয়েকজন আর্জেন্টিনার সমর্থক আহত হন।
লিওনেল মেসি, এমিলিয়ানো মার্টিনেজরা দর্শক এবং পুলিশের কাছে শান্ত হওয়ার অনুরোধ জানান। এক সময় দেখা যায় মেজাজ সামলাতে না পেরে পুলিশের দিকে তেড়ে যাচ্ছেন আর্জেন্টিনার গোলকিপার এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। গ্যালারি যখন উত্তপ্ত, পরিস্থিতি শান্ত করার জন্য দলের সতীর্থদের নিয়ে মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে যান লিওনেল মেসি। প্রায় ৩০ মিনিট পর আবার দল নিয়ে মাঠে ফিরে আসেন মেসি। সেই কারণে ম্যাচ শুরু হতে আধ ঘন্টা দেরি হয়।
দর্শকদের ওপর পুলিসের লাঠিচার্জের ঘটনায় দারুণ ক্ষিপ্ত মেসি। ম্যাচের পর তিনি বলেন, ‘এদিন মারাকানা স্টেডিয়াম খুবই খারাপ ঘটনার সাক্ষী থাকল। ব্রাজিলের পুলিশ কীভাবে আমাদের সমর্থকদের মেরেছে, সেটা সবাই দেখেছে। কোপা আমেরিকার ফাইনালেও এইরকম ঘটনা ঘটেছিল। আবার এদিন একই ঘটনা ঘটল। ফুটবলারদের পরিবার গ্যালারিতে হাজির ছিল। তাদের নিরাপত্তার জন্য চিন্তিত হয়ে পড়েছিলাম। খেলার আগে পরিবারের নিরাপত্তাই আমাদের কাছে আগে। এই ধরনের ঘটনা কখনোই মেনে নেওয়া যায় না।’
❤ Support Us