নিজের রেকর্ড নিজেই ভেঙে দিলেন অভিষেক

রেকর্ড ভোটে জিতলেন ডায়মন্ডহারবার লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক জিতেছেন ৭ লক্ষ ১০ হাজার ৯৩০ ভোটের ব্যবধানে। বিজেপির অভিজিৎ দাস পেয়েছেন ৩ লক্ষ ৩৫ হাজার ৪৩৩টি ভোট। বাম প্রার্থী প্রতিকুর রহমান পেয়েছেন ৮৬ হাজার ৪৫০টি ভোট । আইএসএফ প্রার্থী পেয়েছেন একুশ হাজারের কিছু বেশী ভোট । জয়ের ব্যবধানে তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক রাজ্যের মধ্যে সর্বোচ্চ, দেশের মধ্যে সম্ভবত দ্বিতীয় । রাজনীতিতে যখন এসেছিলেন তখন পরিবার তন্ত্রের ছায়া তাঁর পিছন পিছন ছিল। তবে ধীরে ধীরে নিজেকে যে পালটেছেন তা স্পষ্ট আজ তাঁর এই বিপুল ব্যবধানে জয়ে। আরো একবার রাজ্য রাজনীতিতে মডেল হয়ে উঠল ডায়মন্ড হারবার। ভোটপ্রাপ্তির নিরিখে বাম নেতা প্রয়াত অনিল বসুকেও ছাপিয়ে গেলেন অভিষেক।২০০৪ সালে বাম নেতা অনিল বসু ৫ লক্ষ ৯২ হাজার ৫০২টি ভোট ব্যবধান আরামবাগ থেকে জেতেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীর সঙ্গে ভোট ব্যবধানে যা ছিল দেশের মধ্যে সর্বাধিক ।

একসময়ের বামদের দুর্জয় ঘাঁটি ডায়মন্ড হারবার থেকে ২০১৪ সালে প্রথম বার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন অভিষেক । এরপর ২০১৯ সালেও সেখানে ৩ লক্ষ ২০ হাজার ভোটে জয়ী হন তিনি । ডায়মন্ড হারবারে জয় নিয়ে গোড়া থেকেই জয়ের বিষয়ে নিশ্চিত ছিলেন অভিষেক, জেতার ব্যবধানের রেকর্ড নিজেই ভাঙবেন, একথাও প্রচার সভায় একাধিকবার বলেছেন তিনি । তারই  ঝলক দেখা গেল ফলাফলে।

এক্সিট পোলে এবার ভালো ফল করবে পদ্ম শিবির, এই তত্বকে ধরাশায়ী করে নব জোয়ার আনল ঘাস ফুল শিবির। রাজ্যওয়ারী ফল রীতিমতো হতাশাজনক। সর্ব ভারতীয় ক্ষেত্রে এগিয়ে থাকলেও ইন্ডিয়া জোটের সঙ্গে তাদের রীতিমতো ‘কাঁটে কি টক্কর’ চলছে তাদের। এই ফল মোদি বা শাহ কেউই আশা করেননি। এখনও সার্বিক ফল প্রকাশ বাকি।উল্টে গেছে অনেক চেনা পাশার ছক। বহরমপুরের বেতাজ বাদশা পাঁচবারের সাংসদ অধীর চৌধুরীকে হারিয়ে প্রথমবার সংসদমুখী আনকোরা ইউসুফ পাঠান। মহুয়া মৈত্র জিতেছেন। হেরেছেন দুঁদে রাজনীতিবিদ দিলীপ ঘোষ। অমেঠিতে গতবারের সাংসদ স্মৃতি ইরানি পরাজয়ের দোরগোড়ায়। রাহুল গান্ধি তিন লাখের চেয়ে বেশী ভোটের ব্যবধানে জিতেছেন রায়বেরেলি এবং কেরালার ওয়ানাড়েও তাঁর জয়ের ব্যবধান সাড়ে তিন লাখের বেশী।সেখানে এক লক্ষের ব্যবধানে বারানসি কেন্দ্রে জিতে তৃতীয় বার প্রধানমন্ত্রী রূপে নেহেরুর রেকর্ড স্পর্শ করলেন নরেন্দ্র মোদি ?