শিবভোলার দেশ শিবখোলা
শিবখোলা পৌঁছলে শিলিগুড়ির অত কাছের কোন জায়গা বলে মনে হয় না।যেন অন্তবিহীন দূরত্ব পেরিয়ে একান্ত রেহাই পাবার পরিসর মিলে গেছে।
পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেসকে তৃণমূল আগামী লোকসভা নির্বাচনে দুটোর বেশ আসন ছাড়বে না। ‘ইন্ডিয়া’র মুম্বই বৈঠকের পর তৃণমূলের পক্ষ থেকে কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্বকে তৃণমূলের তরফে স্পষ্ট ভাবে এই কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এদিকে প্রদেশ কংগ্রেসের তরফে সিদ্ধান্ত, তৃণমূলের এই শর্তে তারা রাজি নয়। পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূলের সঙ্গে কংগ্রেস কোনও জোটে যাবে না। বাম-কংগ্রেস জোট পশ্চিমবঙ্গে একত্রে তৃণমূল-বিজেপি-র বিরুদ্ধে ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে লড়বে।
তৃণমূল শুধু এটা বলেই ছেড়ে দেয়নি, কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্বকে তৃণমূলের তরফে জানানো হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেস কাকে সঙ্গী হিসাবে বাছবে, সেটা সম্পূর্ণ তাদের উপর নির্ভর করবে। কংগ্রেসের উদ্দেশে তৃণমূল নেতৃত্বের স্পষ্ট বার্তা, এক দিকে সম্ভাব্য তিরিশটি আসন পাবে তৃণমূল, এমন দলের সঙ্গে কংগ্রেস জোট করবে, না কি অন্য দিকে কোনও আসন না পাওয়া বামপন্থীদের সঙ্গে জোট করবে, এই দুইয়ের মধ্যে কাদের সঙ্গে কংগ্রেস জোট করে লড়বে সেটা কংগ্রেস তারা বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নিক।
পাশাপাশি তৃণমূলের বক্তব্য, যদি কংগ্রেস মনে করে যে তারা তৃণমূলের হাত ধরবে, তবে দু’টি আসন তাদের ছেড়ে দেওয়া হবে। কিন্তু তার বেশি নয়। সেই দুইয়ের মধ্যে কংগ্রেস চাইলে একটি আসন সিপিএম-কে দিতে চাইলে তাতে তৃণমূলের কোনও সমস্যা নেই।
তৃণমূলের এই জোট শর্তের বিষয়ে প্রদেশ কংগ্রেস নেতা সুভাশিষ ভট্টাচার্যকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন,”আমাদের দুটো লোকসভা আসন এখনই আছে পশ্চিমবঙ্গে। তৃণমূলের এই শর্তে পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেস যাচ্ছে না। কোনও ভাবেই তৃণমূলের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেস জোট করবে না। কংগ্রেস বামেদের সঙ্গে জোট করে যে ভাবে আগের নির্বাচনগুলি লড়েছে সেটাই ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে হবে। যদি কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেসকে তৃণমূলের সঙ্গে তৃণমূলের দেওয়া শর্তে জোট করতে বলে তার প্রতিবাদ করবে পশ্চিমনবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেস এবং শীর্ষ নেতৃত্বের এই নির্দেশ মানা হবে কি না সেটা আলোচনা করে দল জানাবে। তবে এটা ঠিক যে কোনও ভাবেই তৃণমূলের সঙ্গে বাংলায় কংগ্রেস জোটে যাবে না। তৃণমূল ও বিজেপির বিরুদ্ধে রাজ্যে কংগ্রেসের যেমন আন্দোলন ও বিরোধিতা চলছে সেটা চলবে।”
তৃণমূলের এই শর্তের মুলে রয়েছে “যে রাজ্যে যে দল শাক্তশালী সেই রাজ্যে তারাই বিজেপির বিরুদ্ধে লড়বে”, এই ফর্মুলা। আর ইটা যদি কংগ্রেস মেনে নেয় তাহলে বাংলায় কংগ্রেসকে তৃণমূলের সাইনবোর্ড বানাবার যে পরিকল্পনা সেটা সফল হবে বলেই পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেস মনে করে। কেননা ২০১১ সালে কংগ্রেস-তৃণমূল জোট করে বামফ্রন্টের সঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনে লড়াই করে ৩৪ বছরের বামফ্রন্ট সরকারকে পরাজিত করেছিল। তার পর তৃণমূল কংগ্রেস দল ভাঙানোর কাজ শুরু করে। শেষ পর্যন্ত কংগ্রেস তৃণমূলের ওপর থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করে জোট থেকে বেরিয়ে আসে। তার পর থেকে আরও তীব্র ভাবে তৃণমূল কংগ্রেস দল ভাঙানোর কাজ করে চলেছে। বায়রন বিশ্বাস, ঝালদা পুরসভা তৃণমূলের কংগ্রেস ভাঙানোর সর্বশেষ নজির। তাই পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেস চাইছে না তৃণমূলের এই শর্তে রাজি হয়ে নিজেদের রাজনৈতিক অস্তিত্ব বাংলায় শেষ করতে। কংগ্রেস মনে করে তৃণমূলের এই শিওরতের অর্থ এটাই যে বাংলায় তৃণমূল আর বিজেপি ছাড়া আর কোনও রাজনৈতিক দল থাকবে না, বিজেপিও এটাই চায়। এই “পলিটিকাল বাইনারি” তৃণমূল আর বিজেপি মাইল করতে চাইছে, তৃণমূল এখন “ইন্ডিয়া” জোটের মধ্যে থেকে এভাবেই বিজেপির হাত শক্ত করতে চাইছে বাংলায়, কারণ বিজেপিকে বাংলায় জায়গা না ছাড়লে তৃণমূলের ওপর এজেন্সী জূজূ-র চাপ আরও বাড়ি দেবে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকার।
তৃণমূলের এক শীর্ষ নেতার কথায়, “আমরা প্রথমে চেয়েছিলাম সেপ্টেম্বরের মধ্যে আসন রফার বিষয়টি চুকিয়ে ফেলে ভোটে ঝাঁপিয়ে পড়তে। তার পর বিষয়টি ১৫ অক্টোবর হয়ে অক্টোবরের শেষে পৌঁছেছে। কিন্তু এর পর আর দেরি করা যাবে না। যে রাজ্যগুলিতে জটিলতা রয়েছে, সেগুলিতে আসন ভাগের কাজ সেরে ফেলতেই হবে।’’
আড়াইশোটির মতো লোকসভা আসনে বোঝাপড়া নিয়ে কোনও সমস্যা হবে না বলে রাজনৈতিক মহলের ধারণা। এখনও পর্যন্ত জম্মু কাশ্মীর, মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু, ঝাড়খণ্ড, উত্তরাখণ্ড এবং বিহার, এই রাজ্যগুলিতে জোট রয়েছে। তারপর মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, কর্নাটক, ছত্তীসগঢ়, হিমাচল প্রদেশ, এই রাজ্যগুলিতে কংগ্রেসেরই আধিপত্য, ফলে কংগ্রেসকে সামনে রেখেই বিরোধী জোট লড়বে। এর মধ্যে কেরলকে সমস্ত রকম জোটের বাইরে রাখা হয়েছে । এখানে কংগ্রেস এবং সিপিএম উভয় পক্ষই যুযুধান, ফলে রফার প্রশ্ন নেই। তার পরে আসছে পঞ্জাব, দিল্লি, গুজরাত, উত্তরপ্রদেশ, গোয়া এবং পশ্চিমবঙ্গ। দিল্লি এবং পঞ্জাব মিলিয়ে কুড়িটা আসন, আর বাংলায় ৪২টি আসন । প্রথম দু’টিতে কংগ্রেস এবং আপ-এর ঠান্ডা লড়াই চলছে এবং সেটা আসন রফা নিয়ে চলবে, এখানে কেউ কাউকে জায়গা ছাড়তে রাজি নয়। আর বাংলায় তৃণমূল দু’টির বেশি আসন কোনও ভাবেই ছাড়বে না, এখনও পর্যন্ত এটাই দলের ঘোষিত অবস্থান। এর পরের শ্রেণিতে রয়েছে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলি, যেগুলি নিয়ে একেবারে শেষ পর্যায়ে ভাবা হবে বলে স্থির হয়েছে। তাই এই আবহে “ইন্ডিয়া” জোট বিজেপিকে আগামী ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে আঘাত করতে নিজেদের কতটা শক্তিশালী করে তুলতে পারবে সেটাই দেখার।
শিবখোলা পৌঁছলে শিলিগুড়ির অত কাছের কোন জায়গা বলে মনে হয় না।যেন অন্তবিহীন দূরত্ব পেরিয়ে একান্ত রেহাই পাবার পরিসর মিলে গেছে।
সৌরেনির উঁচু শিখর থেকে এক দিকে কার্শিয়াং আর উত্তরবঙ্গের সমতল দেখা যায়। অন্য প্রান্তে মাথা তুলে থাকে নেপালের শৈলমালা, বিশেষ করে অন্তুদারার পরিচিত চূড়া দেখা যায়।
মিরিক নামটি এসেছে লেপচা ভাষার “মির-ইওক” শব্দ থেকে, যার অর্থ আগুনে পুড়ে যাওয়া জায়গা।
15:34