Advertisement
  • এই মুহূর্তে দে । শ
  • মার্চ ১৩, ২০২৩

বিধানসভায় তৃণমূলের আনা প্রস্তাব পাশ। আলোচনা থেকে বিরত থাকলেন বিজেপি বিধায়করা

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
বিধানসভায় তৃণমূলের আনা প্রস্তাব পাশ। আলোচনা থেকে বিরত থাকলেন বিজেপি বিধায়করা

চিত্র : সংবাদ সংস্থা

কেন্দ্রীয় সংস্থার অপব্যবহারের বিরুদ্ধে বিধানসভায় প্রস্তাব আনল শাসক দল তৃণমূল। রাজ্য আইনসভার ১৮৫ নম্বর বিধি অনুযায়ী এমন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হল। এই প্রস্তাবকে ভিত্তিহীন বলে দাবি করে প্রস্তাবের ওপর  আলোচনা থেকে নিজেদেরকে বিরত রাখল বিজেপি। 

সোমবার বিধানসভায় ১৮৫ ধারায়  কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ‘অপব্যবহার’ নিয়ে প্রস্তাব আনেন তৃণমূলের পরিষদীয় দলের উপমুখ্য সচেতক তাপস রায়। পরে এই প্রস্তাবের পক্ষে আলোচনায় অংশ নেন তাপস রায় এবং রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। বিজেপি বিধায়ক  তথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা  বলেন যারা দুর্নীতিপরায়ণ তাঁদের সঙ্গে তিনি বা তাঁর দল কোনো আলোচনায় বসবেন না। তাঁর কথায়, বিজেপি কেন্দ্রীয় কোনো সংস্থাকে ডেকে আনেনি। আদালতের নির্দেশে তদন্ত চলছে। বিজেপি আলোচনায় অংশ না নেওয়ায় বিনা আলোচনায় পাশ হল প্রস্তাব। 

রাজ্যে  শিক্ষক নিয়োগ, বেআইনীভাবে  কয়লা পাচার, গোরু পাচারের অভিযোগে তদন্ত  চলছে। নেতৃত্বে ইডি কিংবা সিবিআই এর মতো কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।কেন্দ্রীয়  সংস্থার অধীনে আগেও তদন্ত হয়েছে।   এক্ষেত্রে,  পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল নেতারা প্রতিহিংসার  রাজনীতির শিকার হয়েছেন বলে বহু বার তাঁরা দাবি করেছেন। সারদা  হোক কিংবা নারদা অথবা রোজ ভ্যালি– সিবিআই বা ইডির জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হয়েছেন ঘাস-ফুল শিবিরের সদস্যরা।   অথচ,  রাতারাতি দল পালটে যাঁরা বিজেপিতে, তাঁদের জেরার প্রতি কেন্দ্রীয় সংস্থার  তীব্র অনীহা। দীর্ঘ সময় অতিক্রান্ত হওয়ার পরেও ধরা পড়ছে না আর্থিক কেলেঙ্কারির মূল কুশীলবরা।  কেন্দ্রীয় সংস্থার নিরপেক্ষতা আজ প্রশ্নের মুখে।  শাসক দল তৃণমূল বার বার পক্ষপাতহীন দ্রুত  তদন্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবার  দাবি জানিয়েছে। কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি, হবে কিনা তা অনিশ্চিত। এমতাবস্থায় বিধানসভায়  প্রস্তাব পেশ করে  বিরোধী রাজনীতির পরিসরে নিজেকে একমাত্র বিকল্প রূপে স্থাপন করতে চাইছে শাসক দল । কারণ,  বিধানসভায় একমাত্র প্রধান বিরোধী দল হল বিজেপি, যাঁরা কেন্দ্রে ক্ষমতায় রয়েছে। তাই এই  প্রস্তাব পেশের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় সরকারকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ জানাতে চাইবেন  মমতা।  সপ্তাহ খানেক  আগে সাগরদিঘির নির্বাচনে বাম -কং জোটের কাছে  হারের পর মুখ্যমন্ত্রী আগামী লোকসভা নির্বাচনে দলগতভাবে একা লড়ার ডাক দিয়েছিলেন, বিধানসভায় প্রস্তাব পেশ কি সেই ‘একলা চলো’-র ইঙ্গিত ?


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!