- দে । শ
- নভেম্বর ১, ২০২৪
কালীপুজোর রাতে আক্রান্ত সন্দেশখালি, মিনাখাঁর বিধায়ক

কালীপুজোর রাতে দু’টি পৃথক ঘটনায় তৃণমূলের ২ বিধায়ক আক্রান্ত। তৃণমূলের সন্দেশখালির বিধায়ক সুকুমার মাহাতো এবং মিনাখাঁর বিধায়ক ঊষারানি মন্ডল হামলার শিকার। দুটি ঘটনার পেছনেই শাসক দলের গোষ্টী দ্বন্দ্বের অভিযোগ উঠছে । পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার রাতে একটি কালীপুজোর উদ্বোধন করে ফিরছিলেন সন্দেশখালির বিধায়ক সুকুমার মাহাতো। সঙ্গে ছিলেন দলের সন্দেশখালি –১ ব্লক সভাপতি মিজানুর রহমন। হাটগাছি পঞ্চায়েতের শিমুলহাটি বাজারের কাছে তাঁর গাড়ি থামিয়ে হামলার ঘটনা ঘটে বলে বিধায়ক সুকুমার মাহাতো জানিয়েছেন। সুকুমারের অভিযোগ, একটি কালী পুজোর উদ্বোধন করে ফেরার পথে শিমুলহাটি বাজারের কাছে দলের হাটগাছি পঞ্চায়েতের অঞ্চল সভাপতি ও উপপ্রধান কাদের মোল্লার নেতৃত্বে এই হামলা হয়েছে। তার গাড়ির ওপর চড়াও হয়ে অকথ্য গালিগালাজ ও হেনস্তার ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ এসে হামলাকারীদের সরিয়ে দেয়। তৃণমূল সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্ত কাদের মোল্লা শেখ শাজাহান ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। তারা ব্লক সভাপতি পদে মিজানুর রহমনকে মানছেন না। তাদের দাবি শেখ শাজাহান জেল থেকে ছাড়া পেয়ে ফিরে এসে যাকে সভাপতি চাইবেন তিনি সভাপতি হবেন। হামলার ঘটনা দলের উচ্চ নেতৃত্বকে জানিয়েছেন বিধায়ক সুকুমার মাহাতো। অন্যদিকে মিনাখাঁর বিধায়ক ঊষারানি মন্ডল ও তাঁর স্বামী ব্লক তৃণমূল নেতা মৃত্যুঞ্জয় মন্ডল পুলিশের আমন্ত্রণে হাড়োয়া থানার একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়েছিলেন। রাত ৯ টা নাগাদ সেখান থেকে ফেরার পথে হাড়োয়া সেতু পেরিয়ে বাস ও অটো স্ট্যান্ডের কাছে তাঁদের গাড়ির ওপর হামলা হয়। বিধায়ক ও তাঁর স্বামীর অভিযোগ, হাড়োয়া পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি খালেক মোল্লার নেতৃত্বে তাঁদের ওপর হামলা হয়েছে। বিধায়ক ঊষারানি মন্ডলকে গাড়ি থেকে টেনে হিঁচড়ে নামায় খালেক। ঊষারানিকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেওয়া হয়। তাঁর পায়ে লোহার রড দিয়ে মারা হয়। বিধায়কের অনুগামী সঙ্গে যাঁরা ছিলেন তাদের মারধোর ও বাইক ভাঙচুর করা হয়েছে। বিধায়ক ঊষারানি সহ ১০–১২ জখম। ঊষারানি মন্ডলের পায়ে ২ জায়গায় লোহার রডের আঘাত গুরুতর। মিনাখাঁ হাসপাতালে তাদের চিকিৎসা চলছে। ২ জনকে আরজি কর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ অভিযোগ করেন বিধায়ক ও তাঁর স্বামী। দলের জেলা ও রাজ্য নেতৃত্বকেও অভিযোগ জানিয়েছেন তাঁরা। তবে খালেক মোল্লা তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, বিধায়ক জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন। লোকসভা ভোটে বিজেপির হয়ে কাজ করেছেন। হাড়োয়ায় এসে মুখ্যমন্ত্রী প্রকাশ্যে মঞ্চে দাঁড়িয়ে ঊষারানির সঙ্গে দলের সম্পর্ক ছিন্ন করেছেন। এখন আবার দলে ঢুকে জায়গা করতে চাইছেন। কিন্তু তাঁর খবরদারি কেউ মানতে চাইছে না। তবে দলীয় কোন্দলের জেরে একই রাতে পাশাপাশি ২ টি বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়কের ওপর হামলার ঘটনায় অস্বস্তিতে পড়েছে জেলা তৃণমূল। এব্যাপারে এখন কেউ মন্তব্য করতে চাইছেন না।
❤ Support Us