- দে । শ
- জানুয়ারি ১৬, ২০২৩
জাকিরের পাশে মুখ্যমন্ত্রী- সে একজন বড় শিল্পপতি, সেফ অ্যাণ্ড সাউণ্ড
নাম না করে তীক্ষ্ণ কটাক্ষ শুভেন্দুকে, বেছে বেছে তৃণমূলের শক্তিশালীদের বাড়িতে লোক পাঠাচ্ছে

মুর্শিদাবাদে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, জাকির একজন বড় শিল্পপতি। দোষ থাকলে অবশ্যই বিচার হবে। কিন্তু সে তৃণমূল করে বলে তাঁর বাড়িতে আয়করের লোক পাঠিয়ে দেবে। জাকির যথেষ্ট সেফ এণ্ড সাউণ্ড। ওরা ২০ হাজার বিড়ি শ্রমিককে দেখে না। কতজনের ব্যাংক আকাউন্ট আছে? খালি আধার কার্ড দাও, প্যান কার্ড দাও, ক্যা ক্যা দাও, এন আর সি দাও, এই করে মানুষকে ভোগাচ্ছে।
দিন কয়েক আগে জাকিরের বাড়িতে হানা দেয় আয়কর বিভাগ। তাঁর বাড়িতে, তাঁর কারখানায় তল্লাশি চালিয়ে কয়েক কোটি টাকা উদ্ধার হয়। সঙ্গে সঙ্গে টাকার অঙ্ক নিয়ে অতিরঞ্জিত গুজব ছড়িয়ে পড়ে। কখনও রটানো হয়, ১৯ কোটি আটক করা হয়েছে। কখনও বলা হয় ১৫ কোটি। সর্বশেষ খবর, বাজেয়াপ্ত ৯ কোটি টাকা( এই তথ্য আরম্ভ যাচাই করে দেখেনি)। আয়কর হানার প্রায় সঙ্গে সঙ্গে প্রাক্তন মন্ত্রী আর জঙ্গিপুরের তৃণমূল বিধায়ক জাকির হোসেন বলেছিলেন, আমি একজন ব্যবসায়ী। আমার ব্যবসার সঙ্গে কয়েক হাজার শ্রমিক জড়িত। তাঁদের নগদ টাকা পেমেণ্ট করতে হয়। জাকিরের বিবৃতিকে আমল দেয়নি আয়কর বিভাগ। তাঁর দল তাঁর পাশে দাঁড়ায়। এবার মুর্শিদাবাদে পরিষেবা বিতরণ কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে ঝাঁঝালো ভাষায় সরব হলেন মুখ্যমন্ত্রী। জাকির হোসেন প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে বলেছেন, একজনকে মুর্শিদাবাদে দলের হয়ে কাজ করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। তিনি এখন তৃণমূলের শক্তিশালীদের বাড়িতে বাড়িতে লোক পাঠাচ্ছেন। মমতা ইঙ্গিতে শুভেন্দু অধিকারীর কথাই বলেছেন।
মুর্শিদাবাদে শুভেন্দু কী কী করেছেন, দলের কর্মকাণ্ড তাঁর হাত ছুঁয়ে কতটা বেড়েছে, তা তিনিই জানেন। বলতে পারে তাঁর দল। কিন্তু তাঁর ‘নেতৃত্ব’, নিয়ে তখনই প্রশ্ন উঠতে থাকে তৃণমূলের ভেতরে। সরব হয়েছিলেন জাকিরও। জাকির শুভেন্দুর হাতে গড়া নেতা নন। তিনি স্ব-নির্মিত ব্যবসায়ী এবং সমাজসেবী। আশৈশব লড়াইয়ের সঙ্গী। তাঁর সামাজিক উদ্যোগ আর দায়বদ্ধতা লোকচক্ষুর আড়ালে ছিল না। তিনি নিজেই তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত হন। রাজনীতিতে স্বস্থাপনের জন্য শুভেন্দু অধিকারীর মত নেতার দরকার ছিল না তাঁর। তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের অনুমোদনেই তিনি রাজনীতিতে যোগ দেন, মূলত মমতা বন্দ্যোপাধায়ের জনমুখী, কল্যাণমুখী আদর্শের টানে। প্রথমবার ভোটে জিতেই মন্ত্রী হন। মন্ত্রিত্ব তাঁর সমাজ সেবী আর শিল্পোদ্যোগী চেহারার বাড়তি সংযোজন হয়ে ওঠে নি। স্বাভাবিক ও জন্মগত ভাবাবেগকে অব্যাহত রেখেছেন। জাকিরের অরাজনৈতিক ও রাজনীতিক শত্রুর অভাব নেই। তাঁদের ইঙ্গিতেই কি তাঁর বাড়ির নিকটস্থ নিমতা স্টেশনে বোমা ছুঁড়ে তাঁকে হত্যা করার চেষ্টা করে দুর্বৃত্তরা? প্রশ্ন এখনও অমীমাংসিত। ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের কেউ কেউ দোষী সাব্যস্ত হওয়ার কিছুদিনের মধ্যে জাকিরের বাড়িতে, অফিসে আয়কর হানা ঘটল। এই ঘটনার সঙ্কেত কি রহস্যপূর্ণ নয়?
❤ Support Us