Advertisement
  • দে । শ
  • মে ১৮, ২০২৩

জাল্লিকাট্টু রদে না। প্রাণী সুরক্ষা সুনিশ্চিত করার দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট রাজ্যের, অভিমত সুপ্রিম কোর্টের

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
জাল্লিকাট্টু রদে না। প্রাণী সুরক্ষা সুনিশ্চিত করার দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট রাজ্যের, অভিমত সুপ্রিম কোর্টের

জাল্লিকাট্টু বন্ধের দাবিতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল ‘‌পিপল ফর দ্য এথিক্যাল ট্রিটমেন্ট অফ অ্যানিম্যালস’‌ নামে প্রাণী অধিকার সংগঠন। তাদের সেই দায়ের করা মামলার পরিপ্রেক্ষিতে ঐতিহাসিক রায় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ। এই ডিভিশন বেঞ্চ জাল্লিকাট্টু বহাল রেখেছে। সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলিতে এই সংক্রান্ত যে আইন চালু রয়েছে, তা যথেষ্ট বলে মনে করছে সুপ্রিম কোর্ট।

জাল্লিকাট্টু সংক্রান্ত মামলায় বিচারপতি কে এম জোসেফের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের বিচারপতির বেঞ্চ বলেন, পশুদের প্রতি নিষ্ঠুরতা প্রতিরোধ (তামিলনাড়ু সংশোধনী) আইন, ২০১৭, খেলাধুলায় প্রাণীদের প্রতি নিষ্ঠুরতা যথেষ্ট পরিমাণে কমিয়ে দেয়। এই আইনে ষাঁড়ের কল্যাণ নিশ্চিত করার জন্য বেশ কিছু ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যেমন তাদের সঠিকভাবে খাওয়ানো এবং জল দেওয়া এবং তাদের ওপর কোনও ধারালো বস্তু বা রাসায়নিক ব্যবহার নিষিদ্ধ করা। জাল্লিকাট্টুতে প্রাণীদের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য যে আইন রয়েছে তা নিষ্ঠুরতা হ্রাস করে। তাই জাল্লিকাট্টু বন্ধের কোনও প্রয়োজন নেই। শীর্ষ আদালতের সাংবিধানিক বেঞ্চ পর্যবেক্ষণে আরও বলেছে, জাল্লিকাট্টু যে তামিলনাড়ুর সংস্কৃতির অংশ, তা রাজ্যের আইনসভা ঘোষণা করেছে। এই ঘোষণার বিরুদ্ধে বিচার বিভাগ কোনও ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি নিতে পারে না।

তামিলনাড়ুর আইনমন্ত্রী এস রঘুপতি এই রায়কে সুপ্রিম কোর্টের এই রায়কে ঐতিহাসিক বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘সুপ্রিম কোর্ট খুব ভাল রায় দিয়েছে। এটা একটা ঐতিহাসিক রায়। জাল্লিকাট্টুতে পশুদের প্রতি কোনও নিষ্ঠুরতা নেই। ফসল কাটার তামিলনাডুতে পোঙ্গল উৎসবের সময় জাল্লিকাট্টু খেলা হয়। এই খেলায় বিশেষত্ব হল, অল্পবয়সী পুরুষরা যতটা সম্ভব দীর্ঘ সময় ধরে একটি ষাঁড়ের পিঠে বসে তাকে মানানোর চেষ্টা করে। যা ‘এরুথাঝুভুথাল’ নামেও পরিচিত।

মনোরঞ্জনের নামে প্রাণীর ওপর অত্যাচারের অভিযোগ এনে জাল্লিকাট্টু বন্ধের দাবি করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল ‘‌পিপল ফর দ্য এথিক্যাল ট্রিটমেন্ট অফ অ্যানিম্যালস’‌ নামে প্রাণী অধিকার সংগঠন। এ ব্যাপারে তামিলনাড়ু, কর্নাটক এবং মহারাষ্ট্র সরকার যে আইন তৈরি করেছে, তা যথেষ্ট নয় বলে সংগঠনের তরফে দাবি করা হয়েছিল। সেই সঙ্গে ২০১৭ সালে তৈরি আইনের বৈধতা নিয়েও প্রশ্ন তোলে সংগঠনটি। জাল্লিকাট্টু বন্ধের সমস্ত রিট পিটিশন খারিজ করে দেয় সংবিধানিক বেঞ্চ। জাল্লিকাট্টুর পাশাপাশি কাম্বালা এবং বুল–কার্ট রেসিংয়ের অনুমতি দেওয়ার আইনগুলি বহাল রাখে শীর্ষ আদালত।


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!