শিবভোলার দেশ শিবখোলা
শিবখোলা পৌঁছলে শিলিগুড়ির অত কাছের কোন জায়গা বলে মনে হয় না।যেন অন্তবিহীন দূরত্ব পেরিয়ে একান্ত রেহাই পাবার পরিসর মিলে গেছে।
মাননীয় উপাচার্যের অদ্ভুত আবিষ্কার, 'কিছু বুড়ো খোকার ইন্ধনে তান্ডব চ্লে' এখানে। তাই দোলে বসন্ত বন্দনা নয়।
চিত্র : সংবাদ সংস্থা
বসন্ত উৎসবে আবার মানা। উপাচার্যর বক্তব্য, উৎসবের নামে যে তাণ্ডব হয়, তা বন্ধ করে দিয়েছি। রাবীন্দ্রিক ঐতিহ্যবাহী অনুষ্ঠানে কর্তৃপক্ষের অনাকাঙ্খিত হস্তক্ষেপে ক্ষুব্ধ প্রবীণ আশ্রমিকরা।
কোভিডের কারণে দু বছর বসন্ত উৎসব অনুষ্ঠিত হয়নি। গত বছর ছাত্র আন্দোলনের অজুহাতে কর্তৃপক্ষ অনুষ্ঠানের ব্যাপারে কোনো সম্মতি দেয়নি। সেই একই ধারা এবছরেও অব্যাহত রাখছে বিশ্বভারতী। উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বক্তব্য, এখানে ‘বুড়ো খোকা’-দের ইন্ধনে বসন্ত উতসবের নামে বসন্ত তাণ্ডব চলে। রবীন্দ্রনাথ এমন কোনো উৎসব চাননি। তাই এবার থেকে পরিবর্তে বসন্ত বন্দনা অনুষ্ঠিত হবে। আগামী ৩ মার্চ ওই অনুষ্ঠান আয়োজিত হবে। যেখানে বাইরের কেউ প্রবেশ করবে না। শুধুমাত্র উপস্থিত থাকতে পারবেন বিশ্বভারতীর ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীরা। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যাছে, ২০১৯ সালে বসন্ত উৎসবে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল তা ঠেকাতে এমন অভূতপূর্ব সিদ্ধান্ত গ্রহণ করল বিশ্বভারতী প্রশাসন।
রবীন্দ্রনাথের শান্তিনিকেতন আজ নিষেধের কারাগারে বন্দি। ১৯০৭ সালে রবীন্দ্রপুত্র বালক শমীন্দ্র নাথ খেলাচ্ছলে যে ঋতু উৎসবের সূচনা করেছিলেন, তাই কালক্রমে বসন্ত উৎসব রূপে পরিচিতি লাভ করে। বিশ্বভারতীর পড়ুয়া, অধ্যাপক , গবেষক, শিক্ষাকর্মীরা ছাড়াও বিভিন্ন সময়ে বহু কৃতী ছাত্রছাত্রী, বিদগ্ধ পণ্ডিত ব্যক্তিত্বরা শান্তিনিকেতনে জড়ো হয়েছেন উৎসবে অংশ নিতে। নানা ধর্ম, নানা ভাষা ও বর্ণের মানুষের সম্মেলনে বৈচিত্র্যের এক অনন্য উদযাপন হয়ে উঠত বসন্ত উৎসব। শুধু রংএর গুলালে মেতে ওঠা নয়, এ উৎসব আন্তরিকতার ও মিত্রতার। মুক্তচিন্তা-চেতনার বলিষ্ঠ প্রবক্তা রবীন্দ্রনাথ মুক্তির বাতায়ন রূপে বিশ্বভারতীকে গড়ে তুলেছিলেন।যেখানে বসন্ত উৎসবের অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ঘুচে যাবে বিভেদের যাবতীয় বেড়াজাল। ভিতর ও বাহিরের চিরায়ত দ্বন্দ্বের অবসানের স্বপ্ন দেখা কবির স্বপ্নের প্রতিষ্ঠান আজ ভেদাভেদের প্রাচীর গড়ে তুলতে চায় কেন ? তাণ্ডব বন্ধের নামে চিন্তার মুক্তি, ভাবের আদান-প্রদান আটকানোর এ কোন স্বৈরতান্ত্রিক পথ ?
শিবখোলা পৌঁছলে শিলিগুড়ির অত কাছের কোন জায়গা বলে মনে হয় না।যেন অন্তবিহীন দূরত্ব পেরিয়ে একান্ত রেহাই পাবার পরিসর মিলে গেছে।
সৌরেনির উঁচু শিখর থেকে এক দিকে কার্শিয়াং আর উত্তরবঙ্গের সমতল দেখা যায়। অন্য প্রান্তে মাথা তুলে থাকে নেপালের শৈলমালা, বিশেষ করে অন্তুদারার পরিচিত চূড়া দেখা যায়।
মিরিক নামটি এসেছে লেপচা ভাষার “মির-ইওক” শব্দ থেকে, যার অর্থ আগুনে পুড়ে যাওয়া জায়গা।
15:34