Advertisement
  • এই মুহূর্তে দে । শ
  • অক্টোবর ১২, ২০২৩

বিজেপির অভ্যন্তরীন কোন্দল আরও চরমে, সল্টলেকের পর এবার মুরলীধর সেন লেনের কার্যালয়ের সামনেও বিক্ষোভ

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
বিজেপির অভ্যন্তরীন কোন্দল আরও চরমে, সল্টলেকের পর এবার মুরলীধর সেন লেনের কার্যালয়ের সামনেও বিক্ষোভ

২০২৪-এ লোকসভা নির্বাচন। এখন ঘর গোছানোর সময়। তবে বিজেপির ঘর কী ভাঙার পথে? বিজেপির অভ্যন্তরীন কোন্দল তেমনই ইঙ্গিত দিচ্ছে। সল্টলেকের বিজেপি দফতরে দলীয় কর্মী-নেতাদের বিক্ষোভ-প্রতিবাদের পর বৃহস্পতিবার বিজেপির অন্তর্দ্বন্দ্ব আরও চরমে পৌঁছল। বুধবার বিকেলে বারাসত সাংগঠনিক জেলার কোন্দল আছড়ে পড়েছিল বিজেপির সল্টলেকের অফিসে। রাজ্য বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে একাধিক বিস্ফোরক অভিযোগ ও ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন বারাসাত সাংগঠনিক জেলার কর্মী-সমর্থকরা। আর বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে দলের পূর্বতন সদর দফতর মুরলীধর সেন লেনেও সেই বিক্ষোভের আঁচ আছড়ে পড়ে। দলের আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য, সাধারণ সম্পাদক অমিতাভ চক্রবর্তীর, রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা মুরলীধর সেন লেনে জড়ো হয়ে তীব্র  ক্ষোভ উগরে দেন। এমনকী জেলা থেকেও কর্মীরা কলকাতায় এসে নিজেদের ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। পোড়ানো হয়েছে অমিত মালব্য, অমিতাভ চক্রবর্তীদের কুশপুতুল।, জুতো দিয়ে মারা হয়েছে বিজেপি রাজ্য সভাপতি, অমিত মালব্য, অমিতাভ চক্রবর্তীকে ছবিতে। এই নেতাদের চব্বি দিয়ে মালা বানিয়ে তাতে জুতো দিয়ে পেটানো হয়।

বিজেপির নতুন জেলা সভাপতি নির্বাচনের পর থেকেই জেলায় জেলায় কর্মী বিক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ শুরু হয়। এই ঘটনায় বিজেপি রাজ্য নেতৃত্বের বিরুদ্ধে শুরু হয়েছিল। এর ফলে বেশ কয়েকবার সল্টলেক বিজেপি দপ্তরে বিজেপির বিক্ষুব্ধরা বিক্ষোভ দেখায়। বৃহস্পতিবার বিজেপি বাঁচাও মঞ্চের তরফে রাজ্য বিজেপির সদর দপ্তর মুরলিধর সেন লেনের অফিস এই একই দাবিতে উত্তপ্ত হয়ে উঠল একাধিক জেলায় কর্মী-সমর্থকদের বিক্ষোভে। শতাধিক মানুষ শামিল হন এই বিক্ষোভে।

এদিন বীরভূম-সহ একাধিক জেলার কর্মী, সমর্থকরা এসে রাজ্য বিজেপি দপ্তরের সামনে অমিতাভ চক্রবর্তী, সুকান্ত মজুমদার-সহ রাজ্য নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন। চলে রাজ্য নেতৃত্বের বিরুদ্ধে স্লোগানিং, পোড়ানো হয় কুশপুতুলে। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগে লাগাতার এই কর্মী বিক্ষোভের জেরে লণ্ডভণ্ড বঙ্গ বিজেপি শিবির। বিজেপি কর্মীদের দাবি, ”আমরা গণ বহিষ্কৃত হব। জনতার আদালতে ওদের বহিষ্কার করেছি। মোদিকে দেখে আমরা পার্টি করেছি। কেন্দ্রের আসা টাকা নিচ্ছে নেতারা।” বীরভূমের নেতাদের আরও ক্ষোভ, ”সতীশ ধন্দকে অভিযোগ করেছি। আর্থিক কেলেঙ্কারির নথিও দিয়েছি। নেতারা ঠান্ডা ঘরে বসে আছেন। টাকা নিয়ে পদ দিচ্ছেন। আর আমরা বীরভূমের পুরনো কার্যকর্তারা বসে আছি। অনুব্রত মণ্ডল জেলে যাওয়ার পর এখন বীরভূমের বালি, গরুর টাকা বিজেপির বীরভূম জেলার নেতারা পকেটে ঢোকাচ্ছেন।”


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!