Advertisement
  • এই মুহূর্তে
  • জুন ২১, ২০২২

স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য বদলের বিল পাশ বিধানসভায়, প্রতিবাদে রাজভবনে বিজেপি

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য বদলের বিল পাশ বিধানসভায়, প্রতিবাদে রাজভবনে বিজেপি

স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য পদে রাজ্যপালের বদলে মুখ্যমন্ত্রীকে বসাতে চায় রাজ্য । সেই মর্মেই বিল আনা হয়। বিধানসভায় চিরকূটের ভোটাভুটিতে পাশও হয়ে যায় আচার্য বিল । ওয়েস্ট বেঙ্গল ইউনিভার্সিটি অফ হেলথ সায়েন্স অ্যামেন্ডমেন্ট বিল ২০২২ । বিল পেশ করেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। বিধানসভায় উপস্থিত ছিলেন ১৮৬ জন । এই বিল পাশের প্রতিবাদে রাজভবনে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় দ্বারস্থ হন বিরোধীরা । প্রথমে ধ্বনি ভোটে পাশ হয়ে যায় বিলটি। কিন্তু তাতে বাদ সাধে বিরোধীরা। ভোটাভুটির দাবিতে সরব হন তাঁরা। আগেরদিন চিরকূটে ভোটাভুটির গণনায় গরমিল হয়েছিল। সেই উদাহরণ টেনে এদিন গণকযন্ত্রে ভোটের দাবি করেন বিজেপি বিধায়করা। সেই দাবি মেনে নেন বিধানসভার স্পিকার। কিন্তু তাতেও বিপত্তি বাঁধে। দেখা যায়, ভোটের সংখ্যায় গন্ডগোল হয়েছে।

এরপর ফের চিরকূটে ভোটগ্রহণ হয়। তাতে বিলের পক্ষে ১৩৪টি, বিপক্ষে ৫১টি ভোট পড়ে। ভোটদানে বিরত ছিলেন আইএসএফ নওসাদ সিদ্দিকি। বিল পাশের প্রতিবাদে রাজভবনে নালিশ জানাতে যান বিরোধী বিধায়করা। তাঁদের বক্তব্য শোনার পর প্রতিক্রিয়াও দিয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় ।

সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে আচার্য হবেন মুখ্যমন্ত্রী এই বিল আগেই পাশ হয়েছে। তা বিরোধীদের পছন্দ না হলেও বিলটি বিধানসভায় পাশ হয়েছে। এই নিয়ে শাসক–বিরোধী চাপানউতোর রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে এবার আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়েরও আচার্যের পদে রাজ্যপালের বদলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বসানোর জন্য বিধানসভায় বিল পাশ করানো হবে।

আগে পদাধিকারবলে রাজ্যপাল রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য হয়ে আসছেন। এবার সেখানে মুখ্যমন্ত্রীকে আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তা নিয়ে বিল বিধানসভায় পাশ হয়ে গিয়েছে আগেই। বাকি ছিল আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়। এই বিশ্ববিদ্যালয় সংখ্যালঘু ও মাদ্রাসা দফতরের আওতায় রয়েছে। তাই আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনেও সংশোধনী এনে মুখ্যমন্ত্রীকে আচার্য করা হবে বলে মন্ত্রিসভায় ঠিক হয়।

চলতি বছর থেকে স্নাতক স্তরে ভর্তি কেন্দ্রীয় পোর্টালের মাধ্যমে অনলাইনে হবে বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। রাজ্যের সরকারি, সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক স্তরে উচ্চশিক্ষা সংসদের অধীন ওই পোর্টালের মাধ্যমে ভর্তি নেওয়া হবে। সেখানে স্বশাসিত এবং সংখ্যালঘু কলেজগুলিকে ওই কেন্দ্রীয় পোর্টালের আওতার বাইরে রাখা হয়েছে।

কেন এমন সিদ্ধান্ত? জানা গেছে, রাজ্যের উচ্চশিক্ষায় কাজের গতিতে বাধা দিচ্ছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় । ফলে উচ্চশিক্ষায় ছাত্রছাত্রীদের নানা সুযোগ দেওয়া যাচ্ছে না। ছাত্রছাত্রীদের জন্য নানা প্রকল্প আনা যাচ্ছে না। শিক্ষা বিস্তারে রাজ্যপাল নাক গলাচ্ছেন। তাতে ছাত্রছাত্রীদেরই ক্ষতি হচ্ছে বলে মনে করে রাজ্য সরকার ।


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!