- এই মুহূর্তে দে । শ
- ডিসেম্বর ১৩, ২০২৩
রাজ্যের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের যোগ্যতার পুনর্মূল্যায়ন । স্কুলে স্কুলে চিঠি পাঠাল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ
রাজ্যের প্রত্যেকটি স্কুলকে চিঠি পাঠিয়ে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ জানতে চাইল ছাত্রীদের কারা পড়াচ্ছেন? এই শিক্ষকদের কত বছরের অভিজ্ঞতা? রাজ্যের সমস্ত সরকারি স্কুল সহ সরকার পোষিত স্কুলগুলিতেও পাঠানো হয়েছে এই চিঠি।
ইতিমধ্যেই রাজ্যের স্কুলগুলির জন্য ইতিমধ্যে নতুন শিক্ষানীতি অনুযায়ী পঠনপাঠন শুরু করেছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। আর এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের সরকারি ও সরকার নিয়ন্ত্রিত স্কুলগুলিতে যে সমস্ত শিক্ষক শিক্ষিকা রয়েছেন তাদের যোগ্যতা কী রয়েছে? তা খতিয়ে দেখতে চাইছে শিক্ষা দপ্তর। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, রাজ্য সরকার শিক্ষাদপ্তরকে এ বিষয়ে খোঁজ নেওয়ার নির্দেশ নিয়েছে। তারপরই রাজ্যের স্কুলগুলিতে এই চিঠি পাঠিয়েছে রাজ্যের শিক্ষা দপ্তর।
রাজ্যের সমস্ত সরকারি স্কুলের সাফল্যের পাশাপাশি, ওই সমস্ত স্কুলে কোন কোন শিক্ষক পড়াচ্ছেন এবং তাঁদের শিক্ষাগত যোগ্যতা কী? এ সমস্ত বিষয়ে জানতে চেয়েছে পর্ষদ। একই সাথে শিক্ষকরা কত বছর ধরে শিক্ষকতা করছেন তাও জানতে চাওয়া হয়েছে। আগামী ২২শে ডিসেম্বরের মধ্যেই চিঠির উত্তর মধ্যশিক্ষা পর্ষদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে জমা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে স্কুলগুলিকে।
এরপরই রাজ্যের শিক্ষক শিক্ষিকাদের মধ্যে নতুন করে চর্চা শুরু হয়েছে। শিক্ষকতা জীবনের এত বছর পর শিক্ষকদের শিক্ষাগত যোগ্যতা জানতে চাওয়ায় অনেকেই বিচলিত হয়েছেন। আসলে শিক্ষা দপ্তর মনে করছে এর মধ্যে দিয়ে কেঁচো খুঁড়তে গিয়ে কেউটে বেরিয়ে আসতে পারে। আসলে রাজ্যে দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষকদের নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে নানা বিতর্ক চলে আসছে। তবে শাসক দলের দাবি শুধু এই সময় নয়, সিপিএমের আমলেও শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে দুর্নীতি হয়েছে। আর এই তথ্য দিয়ে বাম আমলেও শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে কিনা বা যোগ্যতা ছাড়া কেউ চাকরি পেয়েছিলেন কিনা তাও বেরিয়ে আসবে।
আসলে মানিক ভট্টাচার্য যিনি বর্তমানে জেলে রয়েছে, তিনি বাম আমলে চাকরি পেয়েছিলেন। তিনি যোগেশচন্দ্র চৌধুরী ল’কলেজে অধ্যক্ষ ছিলেন। আর এই নিয়োগ হয়েছিল অবৈধ পথে, ইউজিসি কলকাতা হাইকোর্টে চলতি সপ্তাহে এই কথা জানিয়েছে। ফলে বাম জামানায় নিয়োগ দুর্নীতি নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। আর শিক্ষকদের যোগ্যতা জানা গেল, এ বিষয়গুলো স্পষ্ট হয়ে যাবে। তাই রাজ্যের প্রত্যেকটি সরকারি ও সরকার নিয়ন্ত্রিত স্কুলে চিঠি পাঠিয়ে শিক্ষকদের যোগ্যতা জানতে চেয়েছে পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদ।
❤ Support Us