- এই মুহূর্তে দে । শ
- জুন ৩, ২০২৪
সারভাইকাল ক্যান্সার : টিকাকরণে প্রস্তুতি শুরু রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের

‘ক্যান্সার হ্যাভ নো আনসার।’ এক সময়ের প্রচলিত ধারণার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করল পশ্চিমবঙ্গ স্বাস্থ্য দফতর। বিশেষ করে সারভাইকাল বা জরায়ু ক্যান্সার নিয়ে আক্রান্ত হওয়ার পূর্বে, যাতে রোগ নির্ণয় করে তার উপযুক্ত চিকিৎসা শুরু করা যায় সেদিকে বিশেষ নজর বৃদ্ধি করছে তারা। এক্ষেত্রে বছরে অন্তত একবার শারীরিক পরীক্ষার ওপর জোর দিয়েছে তারা। তাই বিয়ের আগে অন্তত দুটি ভ্যাকসিন নেওয়ার নিদান দিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর ।
বিয়ের আগে সরকারি হাসপাতাল কিংবা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে কোনও মহিলা পরীক্ষার জন্য এলে প্রথমে তাঁর জরায়ুর মুখে ৪ শতাংশ লঘু অ্যাসিটিক অ্যাসিড দেওয়া হবে। মিনিট দশেকের মধ্যে সেই অংশটি সাদা হয়ে এলে বুঝতে হবে তাঁকে ভবিষ্যতে জরায়ুর কর্কট রোগ আক্রমণ করতে পারে। তাই ‘ভ্যাকসিন’ রোগ থেকে প্রতিবিধান পাওয়ার ক্ষেত্রে অন্যতম পন্থা হতে পারে। এই কাজে আশা এবং অঙ্গনওয়ারী কর্মীদের নিযুক্ত করেছে সরকার। জুলাই থেকে ভ্যাকসিন এসে গেলে টিকাকরণের কাজ তাঁরাই করবেন ।
আশাকর্মীরা ইতিমধ্যে গ্রাম বা মফঃস্বলের মহিলাদের বাড়ি বাড়ি ঘুরে তাঁদের সঙ্গে কথা বলছেন । বিবাহিত মহিলাদের পা ফোলা, অনিয়মিত ঋতু , কোমরে বেদনা ও সহবাসের পর রক্তপাত হলেই স্থানীয় প্রাথমিক হাসপাতালে অ্যাসিড টেস্টের জন্য পাঠানো হচ্ছে। পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ এলে তাঁদের ‘সম্ভাব্য আক্রান্ত’ রূপে চিহ্নিত করে তালিকা প্রস্তুত করা হবে।
এই রোগের জন্য দায়ী হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস, যার বাহক পুরুষেরা। এস এস কে এমের চিকিৎসক ডাঃ দীপ্তেন্দ্র সরকারের মতে,বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দেওয়া পরিসংখ্যান মতে ভারত তথা এই বঙ্গে মোট কর্কট রোগাক্রান্তদের মধ্যে ১২ শতাংশই জরায়ুর ক্যান্সারে আক্রান্ত। তাঁর কথায় ১৫-৩০ বছর বয়সের মধ্যে অবশ্যই এই ভ্যাকসিন নেওয়া উচিত। রোগ নির্ণয় করার পাশাপাশি পরিচ্ছন্ন জীবনযাপন সারভাইকাল ক্যান্সারে মৃত্যুর সম্ভাবনা অনেকটাই কমিয়ে দেয়।
❤ Support Us