Advertisement
  • দে । শ
  • মে ৩, ২০২৪

মাদ্রাসা বোর্ডে ফাজিলে রাজ্যে প্রথম ও দ্বিতীয় বসিরহাট আমিনিয়া সিনিয়র মাদ্রাসার দুই ছাত্র

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
মাদ্রাসা বোর্ডে ফাজিলে রাজ্যে প্রথম ও দ্বিতীয়  বসিরহাট আমিনিয়া সিনিয়র মাদ্রাসার দুই ছাত্র

মাদ্রাসা বোর্ডে ফাজিল পরীক্ষায় জোড়া সাফল্যে গর্বিত বসিরহাট।   বসিরহাট আমিনিয়া সিনিয়র মাদ্রাসার দুই ছাত্র এবারে মেধা তালিকার প্রথম ও দ্বিতীয় স্থান দথল করেছে। বৃহস্পতিবার মাধ্যমিক ফলাফলের পরেই আজ, শুক্রবার পশ্চিমবঙ্গ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের মাধ্যমিক সমতুল্য আলিম, উচ্চ মাধ্যমিক সমতুল্য ফাজিল ও হাই মাদ্রাসার  ফল প্রকাশিত হয়েছে।

এই ফলাফলে নজর কাড়লো বসিরহাট আমিনিয়া সিনিয়র মাদ্রাসা। ফাজিল পরীক্ষায় রাজ্যে প্রথম ও দ্বিতীয় স্থান দুই সেরার কারিগর বসিরহাটের মাদ্রাসাটি। ফাজিল পরীক্ষায়  সহিদুল সাঁপুই ৫৫৮ নম্বর (‌৯৩.২%‌)‌ মেধা তালিকার শীর্ষে স্থান করে নিয়েছে। মোস্তাফিজুর রহমানের ৫৫৭ নম্বর পেয়ে রাজ্যে দ্বিতীয় স্থান লাভ করেছে। উচ্চমাধ্যমিক সমতুল্য ফাজিল –‌এ রাজ্যে প্রথম ও দ্বিতীয় জোড়া সাফল্যে স্বাভাবিকভাবে উৎসবের মেজাজ বসিরহাট আমিনিয়া সিনিয়র মাদ্রাসায়।  মাদ্রাসা থেকে ৮৬ জন ফাজিল পরীক্ষায় বসেছিল। সকলেই উত্তীর্ণ হয়েছে। ফাজিল পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকারী সহিদুল সাপুঁইয়ের বাবা সায়েদ আলি সাঁপুই পেশায় রিকশা চালক। সহিদুল বাংলায় ৯২,  ইংরেজিতে ৯১, ইসলামিক ইতিহাসে ৯৭, ইসলামিক স্টাটিজে ৯০,  থিওলজিতে ৯৬ ও আরবিতে ৯৩ নম্বর পেয়েছে সে। দ্বিতীয় স্থানে মোস্তাফিজুর রহমানের বাবা বাকিবিল্লা মোল্লা পেশায় কৃষক। মোস্তাফিজুরের প্রাপ্ত নম্বর বাংলায় ৯২,  ইংরেজিতে ৯১, ইসলামিক ইতিহাসে ৯৭, ইসলামিক স্টাটিজে ৯১,  থিওলজিতে ৯৪ ও আরবিতে ৯১ । দুজনেই ভবিষ্যতে ইসলামিক স্কলার হতে চায়। সিনিয়র মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক সহিদুল ইসলাম মোল্যা জানান, ‘‌মাদ্রাসা থেকে একই সঙ্গে দু’‌জন ছাত্র সেরা হওয়াই আমরা খুশি।’‌  তিনি বলেন, দারিদ্রের সঙ্গে লড়াই করে পড়াশুনো চালিয়ে  গেছে সহিদুল সাপুঁই। বরাবরই মেধাবী। আলিম পরীক্ষায় মেধা তালিকায় থাকতে না পেরে হতাশ হয়েছিল। তখন আমরা বলেছিলাম, পরিশ্রম করলে ভবিষ্যতে ফল পাবি। আজ ফাজিলএ প্রথম হয়ে নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করেছে । দু’‌জনের জন্য আমরা গর্বিত। মাদ্রাসার পরিচালন সমিতির সম্পাদক জাহির হোসেন সরদার জানান, মাদ্রাসার শিক্ষকরা ছাত্রদের পড়াশুনোর যে পরিশ্রম করেন এটা তারই ফল। মাদ্রাসা থেকে এমন ফলাফল আমাদের আগামী দিনে পড়াশোনার মান বাড়াতে সাহায্য করবে।‌

হাই-মাদ্রাসায় এবছর পাশের হার ৮৯.৯৭ শতাংশ।হাই মাদ্রাসার মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৪৩ হাজার ২৬২ জন, এদের মধ্যে ছাত্র ১৪ হাজার ৬৩৮ জন, ছাত্রী ২৮ হাজার ৬২৪ জন। উত্তীর্ণ হয়েছে ৩৮ হাজার ৯২২ জন। ৫৩ দিনের মাথায় রেজ়াল্ট প্রকাশ করল মাদ্রাসা শিক্ষা পর্ষদ। এ দিন দুপুর ২টো নাগাদ সল্টলেকের মৌলানা আবুল কালাম আজাদ ভবন থেকে  সাংবাদিক বৈঠকে পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয় পশ্চিমবঙ্গ মাদ্রাসা শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি শেখ আবু তাহের কামরুদ্দীন এবং অন্যান্য আধিকারিকদের উপস্থিতিতে। এবার আলিমে পাশের হার বেড়ে হল ৯২.১৭ শতাংশ।

আলিম পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১০ হাজার ৮২৮ জন, যার মধ্যে ছাত্র পাঁচ হাজার ৭২১ জন এবং ছাত্রী পাঁচ হাজার ১০৭ জন। পাশ করেছে’হাজার ৯৮০ জন।

ফাজিল পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা পাঁচ হাজার ৯৫১ জন, ছাত্র তিন হাজার ন’জন, ছাত্রী দু’হাজার ৯৪২ জন। উত্তীর্ণ হয়েছে পাঁচ হাজার ৫২৮ জন।সমস্ত জেলা মিলিয়ে পাশের হারের নিরিখে প্রথম স্থানে কোচবিহার (১০০ শতাংশ)। দ্বিতীয় এবং তৃতীয় স্থানে যথাক্রমে দক্ষিণ দিনাজপুর (৯৮.৮৯ শতাংশ) উত্তর ২৪ পরগনা (৯৮.৬৬ শতাংশ)। এ বারের পরীক্ষায় ৬১.৪৮ শতাংশ ছাত্রী এবং ৩৮.৫২ শতাংশ ছাত্র উত্তীর্ণ হয়েছে। হাই মাদ্রাসা, আলিম এবং ফাজিলে পড়ুয়াদের পাশের হার যথাক্রমে ৮৯.৯৭ শতাংশ, ৯২.১৭ শতাংশ এবং ৯২.৮৯ শতাংশ।


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!