- এই মুহূর্তে দে । শ
- সেপ্টেম্বর ১১, ২০২৩
১৩ সেপ্টেম্বর কলকাতার “ইডি” দফতরে না “ইন্ডিয়া”-র সমন্বয় কমিটির বৈঠকে, কোথায় যাবেন অভিষেক!

ইডি কী দিন বুঝে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে তলব করে? ইডির তলবের দিনগুলো দেখে তেমনটাই মনে হচ্ছে।
আগে ত্রিপুরায় বিধানসভা নির্বাচনের সভা করতে যাওয়ার দিন, উত্তরবঙ্গে সভা করতে যাওয়ার দিন, নব জোয়ার কর্মসূচির মধ্যে এবং সর্বশেষ ১৩ সেপ্টেম্বর ইন্ডিয়ার সমন্বয় কমিটির বৈঠকের দিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ইডির তলব করা দেখে তাই মনে হচ্ছে।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কী যাবেন ইডির ডাকে, ১৩ সেপ্টেম্বর, কলকাতায় ইডির দফতরে? না কী তিনি চলে যাবেন দিল্লিতে বিজেপি বিরোধী “ইন্ডিয়া” জোটের সমন্বয় কমিটির বৈঠকে হাজির হবেন?
এর আগে কলকাতা হাইকোর্টে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় শুনানির সময় বিচারপতি অমৃতা সিনহা ইডির কাছে জানতে চেয়েছেন, শীর্ষ আাদালত অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বড় কোনও পদক্ষেপ না নিতে কিন্তু তদন্ত বন্ধ রাখতে বা জেরা না করতে তো বলা নেই। তাহলে কেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে জেরা করা হচ্ছে না?
এর পরই ইডি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ১৩ সেপ্টেম্বর, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তলব করল।
এদিকে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেছেন, ইডি-র অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ডাকার দিন দেখে বোঝা যাচ্ছে সেটিং, অভিষেক ইডিকে বলবেন, তাঁর কাজ আছে, তাই তিনি যাবেন না আর ইডি এটা মেনে নেবে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সোমবার জানিয়ে দিয়েছেন, অভিষেকের বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ নেই।
অথচ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আমেরিকা থেকে ফেরার পরদিন লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের অফিসে ইডি তল্লাশি চালায়। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তখন বলেন, আমি ঢ়খন বিদেশ থেকে ফিরেছি তার পরের দিন আমার অফিসে তল্লাশি চালিয়েছে, আমার কোম্পানির কম্পিউটারে ১৬টা ফাইল ডাউনলোড করেছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসে ইডির তল্লাশির পর বলেছেন, আমাদের বাড়িতে চলে আসছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের কম্পিউটার থেকে ১৬টি ফাইল ডাউনলোড করা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। ইডি প্রেস রিলিজে লিখে দিয়েছে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের সিইও। তবে তৃণমূলের নেতারা বলছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের এখন কোনও পদে নেই।
এদিকে জল্পনা যেটা তা হল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কী যাবেন ১৩ সেপ্টেম্বর, ইডির হাজিরায়? না কি তৃণমূল, সিপিএম, কংগ্রেস সহ বিজেপি বিরোধী ২৮ দলের “ইন্ডিয়া” জোটের সমন্বয় বৈঠকে হাজির হবেন? এটাই এখন বড় প্রশ্ন। এদিকে দিল্লিতে জোট করে কলকাতায় সুজন চক্রবর্তী বলছেন, “ইডি অভিযুক্তকে কবে ডাকবে সেটা কী অভিযুক্তকে জিজ্ঞেস করে ডাকবে?” এদিকে ইডি ও সিবিআইকে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বলেছেন, ইডি-সিবিআই মানুষের ভরসাস্থল।
তবে বিরোধীরা যাই বলুক, এখনও পর্যন্ত অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তেমন কোনও প্রমাণ নিয়োগ দুর্নীতিতে পায়নি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তাঁকে ডাকা হচ্ছে সাক্ষী হিসাবে। তবে এর ফলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নেতা হিসাবে আরও প্রতিষ্ঠিত হচ্ছেন, আখেরে লাভ হচ্ছে কিন্তু তৃণমূলেরই। বাম-কংগ্রেস যদি বলে, মমতা-মোদি সেটিং, তাহলে কেন তারা বলতে পারছে না “ইন্ডিয়া” জোটে তৃণমূল থাকলে যাব না? একই দলের রাজ্য ও জাতীয় নীতিতে পার্থক্য থাকলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাহুল গান্ধি, সীতারাম ইয়েচুরির সঙ্গে বৈঠক যেমন করবেন তেমনই অমিত শাহ এবং যোগী আদিত্যনাথের সঙ্গে জি-২০ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির ডাকা নৈশভোজে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এক টেবিলে বসবেন। আর আসবেন এই জন্য পশ্চিমবঙ্গে বাম,কংগ্রেস নিজেদের শক্তি প্রমাণ করতে পারেনি। অধীর রঞ্জন চৌধুরী এবং সুজন চক্রবর্তী যতোই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে “সর্বভূক” বলুন।
❤ Support Us