- এই মুহূর্তে দে । শ
- সেপ্টেম্বর ৭, ২০২৩
উপাচার্য নিয়োগ বিতর্কে শিক্ষা দফতরকে আনন্দর বাংলায় হুঙ্কার, “আমি শেষ পর্যন্ত এই লড়াই লড়ব !”

গত সরস্বতী পুজোর দিন তাঁকে যাঁরা বাংলা ভাষা শেখার হাতেখড়ি দিইয়ে ছিলেন, এখন তাঁদেরই বাংলায় হুঙ্কার দিলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস শুধু যে বাংলা বলছেন তা-ই নয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ ও ৫ উপাচার্যের পদত্যাগ নিয়ে রাজ্য সরকারের সঙ্গে তাঁর যে সংঘাত বেধেছে, তাতে এ বার বাংলা ভাষাতেই হুঙ্কার দিলেন আনন্দ বোস। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, স্বামী বিবেকানন্দের নামে শপথ নিয়ে রাজ্যপাল বোস বাংলায় বললেন, ‘‘আমি শেষ পর্যন্ত এই লড়াই লড়ব!’’
রাজ্যপাল বলেন, “বাংলার ১০ কোটি মানুষ যতক্ষণ তাঁর পাশে আছে তিনি ততক্ষণ এই লড়াই লড়বেন।”
তিনি যাঁদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উপাচার্য হিসাবে নিয়োগ করেছেন, তাঁদের মধ্যে পাঁচ জন ইস্তফা দিয়েছেন বলে বৃহস্পতিবার বাংলায় জানিয়েছেন রাজ্যপাল। তাঁর অভিযোগ, ‘‘ইস্তফা দেওয়া ভিসিদের কেউ কেউ আমায় বলেছেন, টেলিফোনে তাঁদের হুমকি দেওয়া হয়েছে। এক জন সিনিয়র আইপিএস অফিসার এটা করিয়েছেন। চাপের মুখে পাঁচ জন ভিসি ইস্তফা দিয়েছেন। কেন? কেন? কেন?’’
এখন রাজভবন এবং বিকাশ ভবনের টানাপড়েনের জেরে রাজ্যের উচ্চশিক্ষা কার্যত থমকে যাওয়ার অবস্থা। এদিকে দু’দিন আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ‘‘যে সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য রাজ্যপালের কথা শুনে চলবেন, তাঁদের জন্য আমি অর্থনৈতিক বাধা তৈরি করব। আমি দেখি, কী করে আপনি মাইনে দেন !’’ যে বক্তব্যকে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। মুখ্যমন্ত্রী মমতা এমনও বলেছিলেন যে, দরকারে তিনি নিজে রাজভবনের সামনে ধর্না দেবেন !
মুখ্যমন্ত্রীর এই হুমকির জবাবে রাজ্যপাল বৃহস্পতিবার সরাসরি চ্যালেঞ্জ করেছেন রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দফতরকে। সি ভি আনন্দ বোস আরও বলেছেন, ‘‘রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দফতর যাঁদের ভিসি হিসাবে নিয়োগ করেছিল, তাঁদের আমি সরিয়ে দিয়েছি। ওই নিয়োগকে হাইকোর্ট বলেছে ভুল। আমায় ঠিক বলেছে। যাঁদের রাজ্য সরকার ভিসি হিসাবে নিয়োগ করেছিল, তাঁদের কেউ দুর্নীতিগ্রস্ত, কেউ ছাত্রীকে হেনস্থা করেছেন, কেউ দলের লোক। আমি তাঁদের সরিয়ে দিয়েছি।’’
রাজ্যপালের আরও দাবি, তিনি আচার্য হিসাবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে ‘হিংসা ও দুর্নীতি’ থেকে মুক্ত করতে চান। কিন্তু উচ্চশিক্ষা দফতর তাতে বাধা দিচ্ছে। রাজ্যপালকে নিশানা করতে গিয়ে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু রাজ্যপাল তথা পদাধিকার বলে রাজ্যের সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্যের উদ্দেশে ‘জেমস বন্ড’, ‘গোপালভাঁড়’, ‘বিদূষক’ ইত্যাদি বিশেষণযুক্ত মন্তব্য করেছেন। এর পর মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘‘ব্রাত্য অনেক ভাষা জানে। আমি সে সব বলছি না। ভাষা ভাষাকে সমৃদ্ধ করে।’’ বৃহস্পতিবার রাজ্যপাল এক সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীর বিরুদ্ধে পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুড়লেন বাংলায়।
❤ Support Us