- গ | ল্প রোব-e-বর্ণ
- জুলাই ৩, ২০২২
জাতীয় সঙ্গীত
কারোর মা বাপ নাই, কারোর বা থেকেও নাই। নামগুলোই কেউ না কেউ ডাকবার জন্যেই দিয়েছে এখন সবাই এই নামেই সাড়া দেয়

অলঙ্করণ: দেব সরকার
এইমাত্র একটা ট্রেন পেরিয়ে গেল। স্টেশনের কাছে এসেই ছোট্টু একবার পড়ে থাকা বাঁশগুলোর দিকে তাকায়। দু’জন ওদিকটাতে বাঁশ বাঁধছে দেখে ছোট্টু আস্তে আস্তে সেদিকে এগিয়ে জিজ্ঞেস করে,‘কি হবেক গো?’
–এ’বাবা, তুই থাকিস কুথা, জানিস না, কাল পনেরোই আগস্ট, পতাকা তুলবেক।
শেষের শব্দদুটোতে ছোট্টুর কান আটকে যায়।পতাকা তুলবেক মানেই কিছু খেতে দিবেক। কাল ফর্সা দিদিও আসবেক সাথে হয়ত আরো কেউ আসতে পারে, দিদি বলেছিল। তারমানে অনেক খাবার হবে।
ছোট্টু ভেবে নেয় কোন খাবারটা কাল খাবে, আর কোনটা পরের দিন রাখবে? গেল বছর ইখানটতেই বসায়ে খেতি দিন ছিলেক। ভাত, একট তরকারি, ডিম। রেতের বেলা কচুরি তরকারি। রোজ রোজ ঐ হাবলা শালার হোটেলে খেয়ে খেয়ে মুখের ভিতরটাতে হাজা হয়ি যায়। না আছে তেল, না আছে নুন। শুধু ইতরের মতন ঝোল।প্যাঙা বলে ‘বালের ঝোল।’ অবশ্য হাবলা শালাকে বললেই রেগে উঠে বলে,‘ওই সব ছাই গিলে তুদের মুখে কোন স্বাদ আছে নাকি? এখানে আরো কতজন খাচ্ছে জানিস, কেউ কিছু বলে না।’ কিছু করবার থাকে না। প্রতিদিন ওর দোকানেই খেতে হয়। তাও মাঝে মাঝে কেউ খেতে দিলে ভালো লাগে। ছোট্টুর মনে সব ঘটনাগুলো এক্কেবারে জ্বল জ্বল করতে থাকে।তাহলে একবার প্যাঙা আর ফুটকিদের বলতি হবেক। কিন্তু ওরা ইখন থাকবেক কুথাকে? ছোট্টু তার পিঠে ঝুলে থাকা বস্তাটাকে একবার টেনে নেয়।
– এই বাচ্চা, নিচের বোতলটা নিয়ে এক বোতল জল ভরে এনে দে। ওই দ্যাখ বাঁদিকের জামাটার কাছে একটা পেলাস্টিকের বোতল আছে।
ছোট্টু সোজা তাকাতেই জামাটা দেখতে পায়।তারপর উপরের দিকে তাকিয়ে বলে উঠল,‘পারবো নাই, কাজ আছে।’
উপর থেকে হইহই করবার আগেই ছোট্টু তেপান্তর পার। ওভারব্রিজের উপর উঠে একবার এদিক ওদিক করতেই একটু দূরে ছয় নম্বর প্ল্যাটফর্মের কাছে প্যাঙাদের দেখতে পায়। বেশ দূর তাও উপর থেকে পাঁচজনকে চিনতে পারে। ওদিকটাতে আর কেউ আছে কিনা বুঝতে না পারলেও প্যাঙাদের হাতে যে রুমাল ধরা আছে সেটা বুঝতে কোন অসুবিধা হয় না।ওদের কাছে যেতে গিয়েও পা’দুটো কেমন যেন জমে গেল। এই সময় ঐ ফর্সা দিদিটা এলে হয়।
কারোর মা বাপ নাই, কারোর বা থেকেও নাই। নামগুলোই কেউ না কেউ ডাকবার জন্যেই দিয়েছে এখন সবাই এই নামেই সাড়া দেয়। কিন্তু সব থেকে প্রথমে ঠিক কে নামটা ধরে ডেকেছিল সে’কথাটা কেউ মনে করতে পারে না
এই প্ল্যাটফর্মে ঠিক কত দিন আছে ছোট্টুর মনে পড়ে না। জ্ঞান হবার পর থেকেই আরো অনেকের মত নিজেকে এখানে দেখছে। সবাই সকালে উঠেই একটা করে বড় বস্তা কাঁধে নিয়ে ট্রেনের ভিতরে অথবা লাইনে ঘুরে ফেলে দেওয়া বোতল কুড়ায়।
–একটা বোতল একটাকা, এর বেশি পাবি না।প্রতিদিন একশটা বোতল কুড়াতে পারলেই একশ টাকা।
মুরসেদ মিঞার কথাগুলো এখনো কানে বাজে।ভূতোই তাকে প্রথম দিন মুরসেদ মিঞার কাছে নিয়ে গেছিল।
তার আগে ছোট্টু হাতে হাতে একটা দুটো করে বোতল কুড়িয়ে প্যাঙাকে দিত। প্যাঙা সেই বোতল থেকে আট আনা ছোট্টুকে দিত।এখন বোতল কুড়িয়ে আর সুখ নাই,অনেকেই অন্য লাইনে যাচ্ছে। অন্য লাইন মানেই চুরি।ফুটকিদের সুবিধা আছে। প্ল্যাটফর্মে ধান্দাতে সবাই নামে, টাকা কামায়। ট্রেনেও এখন অনেক ছেলে মেয়ে উঠছে।বোতলের জন্য মারামারিও হচ্ছে। তারপর রেলের পুলিশগুলো তো আছেই। দেখলেই লাঠি দিয়ে পেটাচ্ছে। এই তো কয়েকদিন আগে ফুটকির জামা টেনে ছিঁড়ে দেয়।একজন তো নাকি বাথরুম চেপে ধরেছিল।পুলিশগুলো তো দেখতে পেলেই চিৎকার করে, গাল দেয়, ‘মাদারচোদ, ভোঁসরিবালা।’
ছোট্টু কারোর ভালো নাম জানে না। নামের যে ভালো খারাপ হয় সেটাও তো সেই ফর্সা দিদিটা না এলে জানতেই পারত না।এই প্ল্যাটফর্মের ছোট্টুর বয়সি সবাই জানে কোন দোকানের কচুরি ভালো, কুথাকের ভাত তরকারি আর সেই নেশার আঠাটার কথা। রোজগারের টাকার বেশির ভাগটাই তো ওরা রুমালে লাগিয়ে মুখের ভিতর ভরে রাখে, অথবা শোঁকে। শরীরটাতে কেমন যেন একটা ঝিম ঝিম ভাব আসে। শুয়ে থাকতে ইচ্ছে করে।প্যাঙার সাথে ফুটকি থাকে, পাঁচজনের মধ্যে দুজন মেয়ে, ফুটকি আর তার বোন খেঁকি। প্যাঙা ওর মুখেও রুমাল ভরে, নেশা লাগার আগেই রুমাল সরিয়ে নেয়। ফুটকি ছটফট করে, প্যাঙাকে ধরতে যায়, মুখে ভরার কাপড়টা কাড়তে যায়, পকেট থেকে টিউবটা নিয়ে নিতে যায়। প্যাঙা পালায়, ফুটকি তার পিছন পিছন অনেকটা দৌড়ায়, প্ল্যাটফর্ম থেকে লাইনে নেমে যায়। এমনি ভাবে একদিন দৌড়াতে দৌড়াতে ভটকা ট্রেনের তলায় চলে গেছিল। সেকি অবস্থা, শরীরটা এক্কেবারে ছ্যাদরা ফুটো। রেলের পুলিশ সামনে দাঁড়িয়ে থেকে রামা আর ষষ্ঠী ডোমকে দিয়ে ছ্যাদরানো মাংসগুলো একটা জায়গায় তুলে রাখে, পরে নিয়ে যায়। ছোট্টুরা রাতের অন্ধকারে ছয় নম্বর প্ল্যাটফর্মের পিছনের দিকে অনেক রাত পর্যন্ত ভটকার কথা আলোচনা করে। খাবার দেখলেই বমি আসে, মনে হয় যেন ভাতের সাথে ভটকার মাংস মিশে আছে। প্যাঙা পকেট থেকে কাপড় বের করে, টিউব বের করে, টিউব থেকে বের করে কাপড়ে মেশায়, তারপর মুখে পুরে দেয়। প্যাঙার থেকে ছোট্টু, ছোট্টুর থেকে ভচা। ফুটকিও সেদিন চেয়েছিল। প্যাঙা দেয় নি। ফুটকি চিৎকার করতেই প্যাঙা বলে,‘আগে লাগাতে দ্যা।’ ফুটকিকে এমনি ভাবেই বলে, হয় ‘লাগাতে দে,’ না হয় ‘একবার টিপতে দ্যা।’
ফুটকি মাঝে মাঝে রেগে যায়। হাতে চটি তুলে মারতে যায়। প্যাঙাও ছোটে, পিছনে ফুটকি। এই প্ল্যাটফর্মে যারা থাকে তাদের বেশির ভাগ এমনি ভাবে বোতল কুড়িয়েই দিন চালায়। আরেকটা দল আছে, তারা প্যাঙাদের শত্রু। ওরা একটু বড়। ওই দলেও তিনটে মেয়ে, সবাই ছোট্টুর বয়সি। খুব বড় মেয়ে থাকে না। তারা কোথায় যেন হারিয়ে যায়। ফুটকি আর খেঁকির মাও একদিন কোথায় যেন হারিয়ে গেল।তারপর থেকে ওরা প্যাঙাদের সাথে।সেদিন ঐ ফর্সাদিদিটা এসেই ফুটকিকে দেখে জিজ্ঞেস করে,‘তুই এদের সাথে থাকিস কেন?’
– কুথাকে থাকবো ?
– কেন তোর বয়সি কোন মেয়ে নেই ?
– আছে, তবে উয়ারা মারে।
– উদের বচা আছে না, ইকে বলিছে চু..দিবেক।
ভচার কথাটা শুনেই ফর্সা মেয়েটা বলে,‘ছিঃ এই সব কথা বলতে নেই।তোরা ভালো থাকবি, আমি মাঝে মাঝে এসে পড়াবো..
– খেতে দিবে নাই ?
ছোট্টু জিজ্ঞেস করতেই মেয়েটা হেসে ওর মাথায় হাত বুলিয়ে বলে, ‘নিশ্চয় দেবো, তার জন্য আমাকে দিদি বলতে হবে, আমার সাথে পড়তে হবে।’
দিদিটাই প্রথম দিন এসে সবাইকে একটা করে বড় কেক দিয়ে নাম জিজ্ঞেস করেছিল।তারপর সবার নাম শুনে সেকি হাসি। প্যাঙাকে তো বলেই ফেলে, ‘এটা কি কোন নাম হল? তোদের কারোর ভালো নাম নেই। আমার যেমন দুটো নাম।’
–কি করব, আমার তো মা বাপ নাই। ফুটকি উত্তর দেয়।
এই স্টেশনে সবার এক অবস্থা, কারোর মা বাপ নাই, কারোর বা থেকেও নাই। নামগুলোই কেউ না কেউ ডাকবার জন্যেই দিয়েছে এখন সবাই এই নামেই সাড়া দেয়। কিন্তু সব থেকে প্রথমে ঠিক কে নামটা ধরে ডেকেছিল সে’কথাটা কেউ মনে করতে পারে না।
– দিদিটা ফুটকিকে কাছে ডেকে জিজ্ঞেস করে,‘তোকে ওরকম খারাপ কথা বলল, তুই কিছু বলিস নি? আজ চল আমি ওদের সাথে কথা বলছি।’
ওদের কাছে যাওয়ার কথা শুনেই প্যাঙারা ভয়ে আরো শিউরে ওঠে, বলে, ‘না গো ওরা খুব বদ, ট্রেন থেকে ব্যাগ চুরি করে, ওদের হাত ছুরি আছে।’
– তোদের কেউ করে না তো ?
– কথাটা শুনেই ছোটুরা পরস্পরের মুখের দিকে তাকিয়ে মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে থাকে।
ফর্সা দিদিটা বলে ওঠে,‘বুঝেছি, তারমানে তোরাও করিস।’
– না গো আমরা সবাই না, একমাত্র এই ভচা করে।
–কই করি রে, একবার করেছিলাম।
–একবার কোথায় অনেকবার করিছিস…
কথা বাড়তে থাকার আগেই ফর্সা দিদিটা সবাইকে থামিয়ে দিয়ে বলে,‘ঠিক আছে, কেউ আর কোন রকমের খারাপ কাজ করবি না।তবে আরেকটা সত্য কথা বল্ তো। কে কে নেশা করিস ?
এবার আস্তে আস্তে সবার হাতই ওঠে। দিদিটা কাউকে কিছু না বলে এই নেশা শরীরের কি ক্ষতি করতে পারে সে সম্পর্কে বলতে আরম্ভ করে শেষ কালে বলে, ‘ঠিক আছে শোন, এবার থেকে তোরা নেশা করবি না, কাউকে নেশা করতে দেখলেই আমাকে খবর দিয়ে দিবি। আমি এসে তোদের পড়াবো।তোরা শুধু একটা ভালো দেখে জায়গা খুঁজে রাখিস, আমি এসে একটা বোর্ড বানিয়ে আরম্ভ করব।’ তারপরেই একটা দোকান দেখিয়ে ওখানে কাউকে বলে ফোন করিয়ে দিতে বলে।
দিদিটা তারপরেই ফুটকি একটু দূরে ডেকে কি সব কথা বলে তার হাতে একটা রুটি প্যাকেটের মত কিছু একটা দিয়ে চলে যায়। ফুটকি ঐ প্যাকেটটা নিয়ে প্ল্যাটফর্মের ভিতর চলে যায়। কিছু সময় পরে ফিরে আসতেই ছোট্টু জিজ্ঞেস করে, ‘তোকে খাবার দিল?’
– না ওটা আমাদের জিনিস..
– ও বুঝেছি, সেদিনও কয়েকজন এসে তোদের কে দিচ্ছিল।
প্যাঙা এরপর ছোট্টুর কানে কি সব বলতেই ছোট্টু মুখে দুষ্টুমির হাসি ফুটে ওঠে।
পরের দিন থেকে অবশ্য নিয়ম করে ফর্সা দিদিটা স্টেশনের একপাশে একটা বোর্ড টাঙিয়ে ছোট্টু আর প্যাঙাদের ক্লাস আরম্ভ করে। ওদের উল্টো দলেরও কেউ কেউ আসে।প্রতিদিন কিছু না কিছু খাবার নিয়ে আসে। সেটা কেক, বিস্কুট কিছু একটা হয়।কিন্তু প্রথম দুদিন অনেকে ক্লাস করলেও আস্তে আস্তে সংখ্যা কমতে আরম্ভ করে। কোন কোন দিন খাবার নিয়েই পালিয়ে যায়। বলে, ‘দিদি এই টেরেনটাতে না উঠলে কিছু টাকা পাবো না, কাল কি খাবো? আমাদের তো মা বাপ নাই।’
ফর্সা দিদির হয়তো মায়া লাগে।তাই কেউ আসছে না দেখেও পড়ানোর শেষে খাবার দিতে আরম্ভ করবার কথা ভাবলেও পারেনি।কিন্তু খাবার নেওয়ার পর আর কেউ থাকে না।ছোট্টুই বেশি ক্ষণ থাকে, পড়ে, তারপর চলন্ত ট্রেনেই উঠে যায়।এখন ছোট্টু কিছুটা শিখেছে। নিজের নামটা লিখতে পারে। স্টেশনের নাম পড়তে পারে। দিদি বলেছে, ‘এমনি ভাবে পড়লে তুই খুব তাড়াতাড়ি সব কিছু শিখে যাবি। তারপর আমি একটা ব্যবস্থা করে দেব, তুই আরো ভালো করে পড়তে পারবি।’
♦ ২ ♦
স্টেশনের সামনেরটা খুব সাজিয়েছে।চারদিক পতাকা লাগানো আছে, রেলের পুলিশ আছে।পাশটাতে খাওয়ানোর ব্যবস্থা করেছে।প্যাঙারা সবাই সকাল থেকে এদিক ওদিক ছুটে বেড়াচ্ছে।ওদিকে ফর্সা দিদিটাও এসে গেছে। দিদিটার সাথে আরো কয়েকজন এসেছে। সবাইকে একটা করে নতুন খাতা, বই পেন এই সবের একটা বড় প্যাকেট দেবার সাথে কেক আর মিষ্টির প্যাকেট দিয়েছে। ওগুলো নেওয়ার জন্য সবাই গেছে। দিদিটা বলে,‘আজ আমাদের স্বাধীনতা দিবস, তোদের আজ অনেক ক্ষন পড়াবো। আমার সাথে কয়েকজন বন্ধুও এসেছে। ওরাও পড়াবে।’
ছোট্টুরা বসে থাকে। পড়ানো আরম্ভ হয়। কিছু ক্ষণ পর পেচ্ছাপ করবার নাম করে এক জন করে উঠে গিয়ে একটা বড় প্ল্যাস্টিক নিয়ে আবার বসে যায়।আস্তে আস্তে সবাই এমন করতেই ফর্সা দিদিটা খুব অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করে, ‘এগুলো কি হবে?’
– উখানে আজ খাওয়াবেক নাই, আমরা তাই জায়গা এনিছি।কালকে খাবো।এখন তুমি দিবে, তারপর উখানে।
কথাগুলো শেষ হতেই বাইরে থেকে একটা হাততালির আওয়াজ শোনা যায়। মাইকে একটা গান বেজে ওঠে। সঙ্গে সঙ্গে ফর্সা দিদিমনির সামনে বসে থাকা সবাই প্যাকেট নিয়ে ছুটতে আরম্ভ করে। শেষ পর্যন্ত বসে থাকে শুধু ফুটকির বোনটা।ফর্সার দিদিমনি তাকে জিজ্ঞেস করে,‘কি রে ওদের কি হল?’
– এই গানটার পরেই প্রতিবছর খাওয়ায়।ওরা চলে গেল।আমিও যাবো।
ফর্সা দিদি আর কোন কথা বলতে পারে না।কানে বাইরে থেকে জাতীয় সঙ্গীতের গান ভেসে আসে।স্টেশনের এক পাশে বোর্ডের উপর একা বিশ্রাম নেয় সদ্য লেখা কয়েকটা বাংলা আর ইংরেজি অক্ষর, নিচে এলোমেলো ভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকে বই, খাতা পেন।পাশে দাঁড়িয়ে থাকা দিদির বন্ধুদের কানেও তখন জাতীয় সঙ্গীতের সুর ও স্বর ভেসে আসে। এক নম্বর প্ল্যাটফর্মে একটা ট্রেন ঢোকে।তাদের সবার চোখেই নতুন করে জেগে ওঠে স্বাধীনতা দিবস।
♦♦♦♦–♦♦♦♦
গল্পের সমস্ত চরিত্র এবং ঘটনা কাল্পনিক । বাস্তবের সাথে এর কোন মিল নেই, কেউ যদি মিল খুঁজে পান তাহলে তা অনিচ্ছাকৃত এবং কাকতালীয় ।
❤ Support Us