Advertisement
  • দে । শ প্রচ্ছদ রচনা
  • মার্চ ২৬, ২০২৫

লন্ডনে বাণিজ্য-সম্মেলনে ব্রিটিশ শিল্পপতিদের বাংলায় বিনোয়োগের আহ্বান মুখ্যমন্ত্রীর

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
লন্ডনে বাণিজ্য-সম্মেলনে ব্রিটিশ শিল্পপতিদের বাংলায় বিনোয়োগের আহ্বান মুখ্যমন্ত্রীর

কেন বাংলায় বিনিয়োগ লাভজনক! লন্ডনে শিল্প সম্মেলনে সে ব্যাখা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ বাঙালি-অবাঙালি শিল্পপতিরা। সবার মতে, ‘বর্তমানের বাংলা, বদলে যাওয়া বাংলা। শিল্পবান্ধব বাংলা।’ মাসখানেক আগে বাংলায় অনুষ্ঠিত বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে উপস্থিত ব্রিটিশ বণিকদের সাথে পুনরাই আলোচনা মমতার।

কেন পশ্চিমবঙ্গ ব্রিটিশ পুঁজিপতিদের শিল্পক্ষেত্রে বিনিয়োগের অন্যতম জায়গা হতে পারে–লন্ডনে বাণিজ্য সম্মেলনে সে কথাই বারবার উঠে এল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ বাঙালি-অবাঙালি শিল্পপতিদের বক্তব্যে। সবার মতে, ‘আজকের বাংলা, বদলে যাওয়া বাংলা। শিল্পবান্ধব বাংলা।’ মাসখানেক আগে বাংলায় অনুষ্ঠিত বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে উপস্থিত ব্রিটিশ বণিকদের সাথে পুনরাই আলোচনা করেছেন মমতা। ব্রিটিশ বণিক মহলের কাছে পশ্চিমবঙ্গকে শিল্পবান্ধব রাজ্য হিসাবে বর্ণনা করেছেন তিনি। ‘নয়া বাংলায়’ বিনিয়োগ করবার আহ্বান জানিয়েছেন । বছর ঘুরলেই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন, এ নির্বাচনে শাসক দলের প্রধান চ্যালেঞ্জ কর্মসংস্থান। ভোটের আগে মমতার কর্মসংস্থান সুযোগ সম্প্রসারণের উদ্দেশ্যে বিদেশি বিনিয়োগ টানবার চেষ্টা তাই গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

লন্ডনে রাজ্য সরকারের উদ্যোগে ইউকে ইন্ডিয়া বিজনেস কাউন্সিল ও ফিককি আয়োজিত এই সম্মেলনে, নিজের বক্তব্যে এদিন মুখ্যমন্ত্রী সম্ভাব্য বিনিয়োগকারীদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, ‘আপানারা যদি পশ্চিমবঙ্গে বিনিয়োগ করেন, আমি গ্যারান্টি দিচ্ছি, আপনারা লাভবান হবেন… আমরা উদার অন্তর্ভুক্তি প্রক্রিয়ায় বিশ্বাস করি। আমরা চাই সমাজের সব অংশের মানুষের উন্নয়ন ঘটাতে। পশ্চিমবঙ্গের অন্যতম শক্তি তার জনগণ।’ তিনি আরো বলেছেন, ‘শিল্প করার জন্য আমাদের কাছে যথেষ্ট জায়গা রয়েছে। আপনারা যদি সঠিক বিনিয়োগ পরিকল্পনা নিয়ে আসেন, তবে আমরা সে জমি আপনাদের দিতে পারি।’ বোঝায় যায়, অতীতে পশ্চিমবঙ্গে শিল্প সংক্রান্ত জমি জটিলতার বিষয়ে উদ্বেগ কমাতেই এই চেষ্টা। সিঙ্গুর -নন্দীগ্রামে জমি অধিগ্রহণ বিরোধী আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েই, দীর্ঘ ৩৪ বছরের বাম আমলের অপসারণ ঘটিয়ে মমতা ক্ষমতায় আসেন।

এদিন, মমতা ব্যানার্জির বক্তৃতার আগে, সি.কে. ধানুকা, হর্ষ বর্ধন নেটিয়া, উমেশ চৌধারি এবং সশ্বত গোয়েঙ্কা প্রমুখ বিশিষ্ট শিল্পপতিরা, বাংলায় তাঁদের ব্যবসা পরিচালনার অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেন। প্রত্যেকেই যুক্তরাজ্য থেকে বিনিয়োগকারীদের পশ্চিমবঙ্গে বিনিয়োগের আহ্বান জানান। বেঙ্গল ইনক এর প্রতিনিধিদের ধন্যবাদ জানিয়ে মমতা বলেন, ‘শিল্পপতিরা যে যার মনের কথা বলেছেন তা তারা তাদের হৃদয় থেকে বলেছেন।’ লন্ডনে ভারতীয় হাই-কমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামীও এ অনুষ্ঠানে উপস্থিৎ ছিলেন। ভারতীয় হাইকমিশনের সমর্থন সমর্থনে রাজ্য সরকারের এ উদ্যোগ, গণতান্ত্রিক সহযোগিতামূলক পদ্ধতির নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সামাজিক প্রকল্পে বরাদ্দ না দেওয়ার অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরে করে আসছে জোড়াফুল সরকার। এমত অবস্থায় এই সহযোগীতা দিল্লি-কলকাতা সম্পর্কের তিক্ততাও কমাতে পারে। ভারতীয় হাইকমিশনারের মন্তব্যের সাথে সহমত পোষণ করে ইউকেআইবিসির চেয়ারম্যান রিচার্ড হিল্ডও, যুক্তরাজ্য সংস্থাগুলি কীভাবে বাংলার সাথে বাণিজ্য আর বিনিয়োগ সম্পর্ক বাড়িয়ে লাভবান হতে পারে তা ব্যাখ্যা করেন। তিনি রাজ্য সরকারকে একটি ব্যবসা-বান্ধব পরিবেশ তৈরি করার জন্য অভিনন্দন জানান। হিল্ড বলেন, ‘প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন ক্ষেত্রে যেখানে যুক্তরাজ্য আর পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে বাড়ানো সহযোগিতা সম্ভব। এছাড়াও অবকাঠামো, নবায়নযোগ্য শক্তি, শিক্ষা আর স্বাস্থ্যসেবায় যৌথভাবে কাজ করা সম্ভব। আমি মুখ্যমন্ত্রীর উচ্চাকাঙ্ক্ষা, দূরদর্শিতা ও তাঁর এই সফরের সফলতা কামনা করি।’

বাংলার রাজনীতিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিভিন্ন সামাজিক কল্যাণ প্রকল্পের মাধ্যমে গ্রামীণ পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে একটি অটুট ভোটব্যাংক তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন। বিরোধীরা সরকারের বিরুদ্ধে লাগাতার অভিযোগ করে আসছে, কর্মসংস্থান ও শিল্পের উপযুক্ত পরিকাঠামো তৈরি করতে ব্যর্থ বর্তমান সরকার। বাংলার বিপুল সংখ্যক ছেলেমেয়েদের কাজ খুঁজতে ভিন রাজ্যে পারি দিতে হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে এটা খুব স্পষ্ট যে, আগামী নির্বাচনের আগে বাংলায় বিনিয়োগ টেনে বিরোধীদের চুপ করা মরিয়া মুখ্যমন্ত্রী। এর আগে বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে প্রায় ৪ লক্ষ কোটি টাকার বেশি বিনিয়োগ প্রস্তাব পেয়েছে বাংলা। বিনিয়োগ বাড়াতে ও নিশ্চিত করতে চাইছেন মমতা। তিনি বলেছেন, ‘আমরা রাজ্যে ব্যবসা-বান্ধব পরিবেশ তৈরি করেছি। সরকারের নীতিমালাও পরিষ্কার। আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী আরো নীতি নিয়ে আসতে পারেন। আসুন আমরা যৌথভাবে নতুন এক বাংলা তৈরি করি। এদিন এই বৈঠকে ব্যাঙ্কিং-আর্থিক সেবা, প্রযুক্তি, পরামর্শ, শক্তি, উৎপাদন, আর শিক্ষা সহ বিভিন্ন খাতের ১৫০ জন বিনিয়োগকারী আর শিল্পপতিরা উপস্থিত ছিলেন। যুক্তরাজ্যে অবস্থিত শীর্ষ কোম্পানিগুলির মধ্যে আরুপ, বিহোল্ড.এআই, গেডু, বিটি, ভেসুভিয়াস, আইএজি ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্স গ্রুপ, কানেকটেড প্লেসেস ক্যাটাপুল্ট এবং রাসেল গ্রুপের প্রতিনিধিরা যোগ দিয়েছিলেন। বুধবার আরও কয়েকটি বৈঠক করবেন মুখ্যমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের কেলগ কলেজে, নারী ক্ষমতায়ন বিষয়ে ভাষণ দেবেন মমতা।


  • Tags:
❤ Support Us
গুম গ | ল্প রোব-e-বর্ণ
ধারাবাহিক: একদিন প্রতিদিন । পর্ব ৫ পা | র্স | পে | ক্টি | ভ রোব-e-বর্ণ
পথ ভুবনের দিনলিপি । পর্ব এক ধা | রা | বা | হি | ক রোব-e-বর্ণ
error: Content is protected !!