Advertisement
  • Uncategorized দে । শ প্রচ্ছদ রচনা
  • মার্চ ৫, ২০২৪

নির্বাচনে স্টেট ফান্ডিং নিয়ে সরব মমতা

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
নির্বাচনে স্টেট ফান্ডিং নিয়ে সরব মমতা

প্রার্থীর নির্বাচনের খরচ বহন করুক সরকার । ডুমুরজলা থেকে ফের নির্বাচনে স্টেট ফান্ডিং এর হয়ে সওয়াল করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় ।

মঙ্গলবার হাওড়ার ডুমুরজলা হেলিপ্যাড গ্রাউন্ড থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বিশ্বের অনেক দেশেই ভোটে স্টেট ফান্ডিং হয় । সেখানে যদি সম্ভব, তবে এখানে নয় কেন ? সরকার টাকা দিলে জনসাধারণের থেকে টাকা নেওয়ার দরকার পরবে না ।

সম্প্রতি দেশের শীর্ষ আদালত রাজনৈতিক দলগুলির প্রচার সংক্রান্ত ব্যয়ের জন্য নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে অর্থসংগ্রহকে বেআইনি এবং কারা সেখানে টাকা দিচ্ছেন, সেই তথ্য জানার অধিকারের বিধি নিষেধকে অসাংবিধানিক ঘোষণা করেছে । সুপ্রিম কোর্ট বলেছে নির্বাচনী বন্ডের মধ্যমে রাজনৈতিক দলের তহবিল সংগ্রহ দুর্নীতিকেই প্রশ্রয় দেওয়া । সেক্ষেত্রে যদি নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রার্থীর প্রচার সংক্রান্ত যাবতীয় খরচ সরকার বহন করলে তার স্বচ্ছতা থাকবে । সেই স্টেট ফান্ডিং চালুর পক্ষেই সওয়াল করলেন মুখ্যমন্ত্রী ।

এদিনই পশ্চিম মেদনীপুরের সভা থেকে মমতা বন্দোপাধ্যায় বলেন, মোদির গ্যারান্টি বর্জন হয়, আর বাংলা গ্যারান্টি দিলে তা সারাজীবন থাকে। এদিনের সভামঞ্চ থেকে তিনি বলেন, বাংলার লক্ষ্মীর ভান্ডার আজ সারা দেশের কাছে রোল মডেল । আগামীতেও বাংলার মহিলাদের ভবিষ্যত সুরক্ষার এই টাকা বন্ধ হবে না। এটা বাংলার গ্যারান্টি। পাশাপাশি তিনি বলেন, মে মাসের মধ্যে আবাস প্রকল্পে কেন্দ্র প্রাপ্য টাকা না দিলে রাজ্য সরকারই ১১ লক্ষ বাড়ি গড়ে দেবে।আগামীদিনের লড়াই বাংলাই লড়বে, আগামীদিনের শেষ কথা বাংলাই বলবে, আমামীদিনের গর্জন বাংলাই বলবে।

পশ্চিম মেদনীপুরের সভামঞ্চ থেকে তিনি বলেন, রাজ্যের প্রাপ্য আদায়ে কেন্দ্রের বঞ্চনার বিরুদ্ধে, ১০ তারিখ ব্রিগেডের সভার জন্য রেল বুকিং আবেদন করা হয়েছিল, তা খারিজ হয়েছে । তিনি বলেন, আমরা আবেদন করলে পাব না । এক একজনের জন্য এক এক নিয়ম, এটা কী মগেরমুলুক ।

কয়েক মাস আগে, বাংলার প্রাপ্য কেন্দ্রীয় বকেয়া আদায়ের জন্য দিল্লি অভিযানের সময়েও একই অভিযোগ তোলা হয়েছিল তৃণমূলের পক্ষ থেকে । সেই সময়েই ট্রেন বাতিলের অভিযোগ করে রাজ্যের শাসকদল ।

১০ তারিখ কলকাতার ব্রিগেডে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে জনগর্জন সভার ডাক দিয়েছে তৃণমূল । কর্মী সমর্থকদের সেই সভায় আনতে দুটি ট্রেন বুক করেছিল রাজ্যের শাসকদল । ১১ লাখ করে মোট ২২ লাখ টাকা অ্যাডভান্স করেছিল । ২ মার্চ চিঠি দিয়ে রেল জানায়, ট্রেন পাওয়া যাচ্ছে না । গতকালই রাজ্যের দুই মন্ত্রী শশী পাঁজা ও ব্রাত্য বসু এপ্রসঙ্গে বলেন এটা বিজেপির জমিদারি, ফিউডাল লর্ডের মতো আচরণ !

মেদিনীপুর কলেজিয়েট স্কুলের মাঠের সভা থেকে ৩৭৪টি সরকারি প্রকল্পের সুচনা করেন তিনি ।


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!