- এই মুহূর্তে দে । শ
- জানুয়ারি ৩, ২০২৩
নতুন বছরের শুরুতে রাজৌরিতে জঙ্গি হামলা, অশান্ত গোটা উপত্যকায় সেনার তল্লাশি

বছরের শুরুতেই রক্তাক্ত হল ভূস্বর্গ। দু সপ্তাহের মধ্যে উপত্যকায় এ নিয়ে দ্বিতীয় বার আক্রমণ চালাল জঙ্গিরা।
আবার সশস্ত্র জঙ্গিদের হামলার শিকার কাশ্মীর উপত্যকা। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হচ্ছে, রবিবার সন্ধ্যে বেলায় দুজন জঙ্গি আপার ডাংরি গ্রামে ঢুকে পড়ে। পুলিশের অনুমান, হামলার বহু আগে থেকেই হামলাকারীরা জঙ্গলে লুকিয়ে ছিল। বাসিন্দাদের পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়ার পরেই গুলি চালায় সশস্ত্র দুই জঙ্গি।
সেনার তরফে বিবৃতি দিয়ে বলা হয়েছে রবিবার আপার ডাংরি গ্রামে সন্ধ্যা ৭ টার দিকে জঙ্গি হামলা ঘটে। প্রথমে গ্রামের একজনের বাড়িতে তারপর ২৫ মিটার দূরে স্থানীয় বাসিন্দাদের ওপর গুলি চালায় জঙ্গিরা। ১০ মিনিট ধরে গোলাগুলি চলার পর পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় একজনের বাড়িতে ঢুকে গুলি চালায় তারা। সেনা সূত্রের খবর হামলাকারীরা অন্তত দশজনের ওপর গুলি চালিয়েছে। গুলিবিদ্ধ ১০ জন ব্যক্তিদের রাজৌরির সরকারি মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়ার পর তিন জনকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। সোমবার সকালে আর এক জন গুরুতর জখম হওয়া ব্যক্তির মৃত্যুর হয়। তিনজন আহত ব্যক্তিকে এয়ারলিফটে জম্মুতে আনার সময় আর এক জনের মৃত্যু হয় বলে জানায় সেনা।
এই জঙ্গি হামলার পরে উপত্যকায় নিরাপত্তা বাড়ায় সেনা। গোটা গ্রামে জঙ্গিদের খোঁজে সেনার তল্লাশি শুরু হয়। কিন্তু এই তল্লাশি অভিযান চলার সময়ই সোমবার সকালে আপার ডাংরি গ্রামে এক বোমা বিস্ফোরণ হয়। বিস্ফোরণে গুরুতরভাবে আহত হয়েছেন ৫ জন স্থানীয় মানুষ। নিহত এক শিশু। আরেক জন শিশুর অবস্থা সংকটজনক বলে জানাচ্ছে পুলিশ। গতকাল অর্থাৎ রবিবার যে বাড়িতে ঢুকে জঙ্গিরা গুলি বর্ষণ করেছিল তার কাছেই এই বোমা বিস্ফোরণ ঘটে। পুলিশের অনুমান, শক্তিশালী আইইডি ব্যবহার করা হয়েছে এই বিস্ফোরণে। সাধারণ মানুষকে এলাকা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকে সতর্ক থাকতে বলা হচ্ছে সংবাদ মাধ্যমের কর্মীদের।
অন্যদিকে ডাংরির গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান ধীরজ কুমার প্রশাসনের কার্যকলাপে অসন্তুষ্ট। তার কথায় রবিবার জঙ্গি হামলার পর পুলিশ ও সিআরপিএফ গোটা গ্রামে তল্লাশি চালায়। যে কারণে গ্রামবাসীরা এখনও ভয়ের মধ্যে আছেন। বারংবার জঙ্গি হামলার জন্য রাজ্যের প্রশাসনের অপদার্থতাকেই দায়ী করেছেন তিনি। সোমবার বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিবাদে বন্ধের ডাক দেওয়া হয়েছিল। প্রতিবাদীদের দাবি ছিল উপত্যকায় দ্রুত শান্তি ফেরানো। রাজৌরি হাসপাতালের বাইরেও একদল মানুষ জমায়েত হন সন্ত্রাসবাদী হামলার প্রতিবাদ জানাতে। এই জমায়েতে শুধু পাকিস্তান বা জঙ্গিরা নয়, প্রতিবাদী শ্লোগান ধ্বনিত হয় লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহার বিরুদ্ধেও। সব মিলিয়ে বছরের শুরুতেই এক উত্তপ্ত পরিবেশের সাক্ষী উপত্যকাবাসী।
❤ Support Us