Advertisement
  • মা | ঠে-ম | য় | দা | নে
  • নভেম্বর ৩, ২০২১

নজির গড়ল ইস্টবেঙ্গলে, আইএফএ-কে আর্থিক সাহায্য দিয়ে

জাতীয় মহিলা ফুটবল প্রতিযোগিতার সময় বাংলার মহিলা দলের জন্যও ২ লক্ষ টাকা দেবে ইস্টবেঙ্গল।

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
নজির গড়ল ইস্টবেঙ্গলে, আইএফএ-কে আর্থিক সাহায্য দিয়ে

সন্তোষ ট্রফির জন্য যাতে শক্তিশালী বাংলা দল গড়া যায়, তার জন্য আইএফএ-কে আর্থিক সাহায্য করবে তারা। রাজ্যের ফুটবল দল তৈরি করার জন্য কোনও ক্লাবের পক্ষ থেকে আর্থিক সাহায্য করার ঘটনা সম্ভবত এই প্রথম।

গত শুক্রবার ইস্টবেঙ্গলের পক্ষ থেকে আইএফএ-কে প্রথমে ১ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছিল। তারপর সোমবার আরও ১ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়। শুধু তাই নয়, জাতীয় মহিলা ফুটবল প্রতিযোগিতার সময় বাংলার মহিলা দলের জন্যও ২ লক্ষ টাকা দেবে ইস্টবেঙ্গল।

ক্লাবের পক্ষ থেকে সহ-সচিব রূপক সাহা বলেছেন, ‘এই বছর একেবারে শুরু থেকেই ভাল দল তৈরি করার জন্য নির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে আইএফএ। তবে দুই বছর ধরে চলতে থাকা অতিমারির কারণে সব ক্ষেত্রেই আর্থিক মন্দার ছায়া পড়েছে। আইএফএ-ও তার ব্যতিক্রম নয়। আমরাও আর্থিক সঙ্কটে রয়েছি। সেখান থেকে বেরোবার চেষ্টা করছি। তবুও বাংলার সন্তোষ ট্রফি দলের পাশে আমরা থাকতে চাইছি। সেই কারণে দুই দফায় আমরা ২ লক্ষ টাকা দিয়েছি আইএফএ-কে। জাতীয় মহিলা ফুটবলের সময় বাংলার মহিলা ফুটবল দলের জন্যও ২ লক্ষ টাকা দেওয়া হবে।’

উল্লেখ্য, চলতি মাসেই সন্তোষ ট্রফির ম্যাচ খেলতে মাঠে নামবে বাংলা। দলের সাফল্যের জন্য অনেক আগেই ময়দানে নেমেছেন স্বয়ং আইএফএ সচিব জয়দীপ মুখোপাধ্যায়। মাঠে নামার আগে অনেক আগে থেকেই অনুশীলন শুরু করে দিয়েছে রঞ্জন ভট্টাচার্যের ছেলেরা। যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনের আবাসনে থেকেই প্র্যাকটিস গ্রাউন্ডে অনুশীলন করছেন প্রিয়ন্ত-আকাশরা। সন্তোষ ট্রফি খেলতে যাওয়া দলকে উদ্বুদ্ধ করে গেলেন রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। বাংলার ফুটবলারদের হাতে প্র্যাকটিস কিট তুলে দিলেন তিনি।

সন্তোষ ট্রফি খেলতে যাওয়া ৩০ জন ফুটবলার, কোচ ও সাপোর্ট স্টাফের হাতে প্র্যাকটিস কিট তুলে দিলেন ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। তবে এখানেই শেষ নয়। প্রিয়ন্ত, আকাশ, মহিতোষদের পেপ টক দিলেন। বাংলার ফুটবলকে দেশের সেরা করতে মন্ত্রীর পেপ টকে উঠে এলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম। মাঠেই প্রায় মিনিট পনেরো ফুটবলারদের তাতালেন। অনুশীলন শেষে ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস বলেন, ‘বাংলার ফুটবলে আবার সোনালি সময় ফিরে আসুক। আইএফএ যে ভাবে ঝাঁপিয়ে পড়েছে তাতে ওদের অবদান অনস্বীকার্য। বাংলা যদি সন্তোষ ট্রফির ফাইনালে ওঠে, দেশের যে প্রান্তেই খেলা হোক আমি চলে যাব।’ একই সঙ্গে ক্রীড়ামন্ত্রী বলেন, এ বার থেকে ৭০ শতাংশ দর্শক প্রবেশ করতে পারবে স্টেডিয়ামে। কোভিডবিধি মেনেই দর্শক প্রবেশের সংখ্যা ৫০ থেকে বাড়িয়ে ৭০ শতাংশ করা হয়েছে। ২১ নভেম্বর কল্যাণীতে ছত্তিশগড়ের বিরুদ্ধে বাংলার প্রথম ম্যাচ। ২৫ নভেম্বর বাংলার ম্যাচ সিকিমের বিরুদ্ধে। জোনাল পর্ব শেষের কেরলে হবে সন্তোষ ট্রফির শেষ রাউন্ড।

 


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!