- এই মুহূর্তে দে । শ
- নভেম্বর ৫, ২০২২
ভোটদানে রেকর্ড গড়ে প্রয়াত মাস্টার শ্যাম। স্বাধীন ভারতের প্ৰথম নির্বাচন থেকে ১৪তম হিমাচল প্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনেও তিনি দিয়েছেন ভোট

৩১ থেকে ১০৬ । ৭৫ বছরে ৩৪ বার দিয়েছেন ভোট। স্বাধীন ভারতের প্ৰথম নির্বাচন থেকে ১৪তম হিমাচল প্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনেও তিনি দিয়েছিলেন ভোট । ভোটদানের সেই রেকর্ডধারী শ্যাম সরণ নেগি প্ৰয়াত হলেন আজ।
শ্যাম সরণ নেগি ‘মাস্টার শ্যাম’ হিসেবে জনপ্রিয় ছিলেন । ১৯৫২ সালে জানুয়ারি এবং ফেব্রুয়ারি মাসে স্বাধীন ভারতের প্রথম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় । কিন্তু, হিমাচল প্রদেশের আবহাওয়ার কথা মাথায় রেখে ১৯৫১ সালে অক্টোবর মাসে সেখানে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল । শ্যাম শরণ নেগি তখন ৩১-এর যুবক । ১৯৫১ সালে ২৩ অক্টোবর তিনি স্বাধীন ভারতের প্রথম নাগরিক হিসেবে ভোটদান করেছিলেন কালপা পোলিং স্টেশনে । এরপর প্রতিটি লোকসভা, বিধানসভা এবং অন্যান্য নির্বাচনে ভোট দিয়ে এসেছেন শ্যাম সরণ নেগি । তিনদিন আগে ২ নভেম্বর পোস্টাল ব্যালটে ৩৪তম বার ভোটদান করেন তিনি । শনিবার সকালে তিনি হিমাচল প্রদেশের কালপাতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন । জীবনের শেষ ভোট দেওয়ার পরের দিনই মৃত্যু হয়েছে তাঁর ।
১৯১৭ সালে হিমাচল প্রদেশে জন্মগ্রহণ করেন তিনি । ১৬ বার তিনি লোকসভা নির্বাচনে ভোট দিয়েছিলেন । পেশায় ছিলেন শিক্ষক । গণতন্ত্র মজবুত করতে তরুণ প্রজন্মের ভোট দেওয়া উচিত, নতুন প্রজন্মকে এই বার্তাই দিতেন ১০৬ বছরের এই প্রবীণ । তাঁর ভোটদান এবং নাগরিক কর্তব্য পালনের বিষয়টিকে কুর্ণিশ জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী । শোক প্রকাশ করে হিমাচলের মুখ্যমন্ত্রী জয় রাম ঠাকুর টুইটবার্তায় লিখেছেন, শ্যাম সরণ নেগির প্রয়াণে আমরা গভীরভাবে শোকাহত । স্বাধীন ভারতের প্রথম ভোটার ছিলেন তিনি। ২ নভেম্বর তিনি ৩৪তম বার ভোটদান করেছিলেন। এই স্মৃতি সারাজীবণ স্মরণীয় হয়ে থাকবে । তাঁর আত্মার শান্তিকামনা করি । পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানাই।
নির্বাচন কমিশন বছর দুই আগে সিদ্ধান্ত নেয়, আশির বেশি বয়সি ভোটারদের বাড়িতে গিয়ে কমিশনের লোকেরা পোস্টাল ব্যালটে ভোট নেওয়ার ব্যবস্থা করবে । এজন্য কমিশনের কাছে বয়সের প্রমাণপত্র-সহ দরখাস্ত করতে হয় । ১০৬ বছর বয়সি শ্যামের দরখাস্ত পেয়ে অবাক হননি কমিশন কর্তারা । কারণ, প্রথম সাধারণ নির্বাচন থেকে শুরু করে কোনও ভোটে গরহাজির থাকেননি শ্যাম ।পরশু বাড়িতে ভোট নেওয়ার সময়ও কমিশনের তরফে বিশেষ সম্মানজ্ঞাপনের ব্যবস্থা করা হয়েছিল । কমিশন কর্তাদের বক্তব্য, ভোটদানে মানুষকে উৎসাহী করে তুলতে এই মানুষেরাই কমিশনের আসল অ্যাম্বাসাডর ।
❤ Support Us