Advertisement
  • এই মুহূর্তে দে । শ
  • সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২৩

বিধানসভাকে এড়িয়ে ধূপগুড়ির বিধায়কের শপথের আয়োজন রাজভবনে, “আমায় জানানো হয়নি”, বিস্ফোরক অভিযোগ ধূপগুড়ির বিধায়কের

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
বিধানসভাকে এড়িয়ে ধূপগুড়ির বিধায়কের শপথের আয়োজন রাজভবনে, “আমায় জানানো হয়নি”, বিস্ফোরক অভিযোগ ধূপগুড়ির বিধায়কের

বিধানসভা ও বিধানসভার অধ্যক্ষকে সম্পূর্ণ আড়ালে রেখে ধূপগুড়ির নবনির্বাচিত বিধায়কের শপথ গ্রহণের ব্যবস্থা করে ফেলল রাজভবন।  এদিকে শপথ গ্রহণ সম্পর্কে রাজভবন থেকে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়নি বলেই দাবি তৃণমূল বিধায়ক নির্মলচন্দ্র রায়ের। বিধানসভাকে সম্পূর্ণ অন্ধকারে রেখেই রাজভবনে শপথ গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। রাজ্যের পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় দাবি করেছেন, রাজ্যপাল ফের এক্তিয়ার বহির্ভূত কাজ করছেন, আমাদের সম্পূর্ণ আড়ালে রেখেই তিনি এই কাজ করছেন।

ধূপগুড়ির সদ্য নির্বাচিত তৃণমূল বিধায়ক নির্মলচন্দ্র রায় কবে শপথ নেবেন, তা নিয়ে শুক্রবার দিনভর টানাপোড়েন চলে। রাতে জানানো হয় শনিবার রাজভবনেই হবে তাঁর শপথ। শোনা যায়, রাজভবন থেকে নাকি এই মর্মে তাঁকে ফোনও করা হয়। রাজভবনে এসে শপথ নিতে তাঁর কোনও অসুবিধা আছে কি না তাও জানতে চাওয়া হয়। রাজভবন সূত্রে পাওয়া এই খবর নিয়ে নানা মহলে শুরু হয় জোর আলাপালোচনা। কেন বিধানসভাকে এড়িয়ে এমন পদক্ষেপ, তা নিয়ে বিতর্ক মাথাচাড়া দেয়।

এই টানাপোড়েনের মাঝে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন ধূপগুড়ির বিধায়ক নির্মলচন্দ্র রায়। নবনির্বাচিত বিধায়ক তথা ধূপগুড়ি মহিলা বিদ্যালয়ের ইতিহাসের অধ্যাপক এদিন কলেজে যান। শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেন, “রাজভবন থেকে কেউ যোগাযোগ করেননি। তাই শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে যাওয়ার কোনও প্রশ্নই নেই।” তবে শপথ গ্রহণ নিয়ে জটিলতায় এলাকার কোনও কাজ করতে পারছেন না বলে ক্ষোভপ্রকাশ করেন। যাঁদের ভোটে জয়ী হয়েছেন, তাঁরা পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হোন, তা চান না নবনির্বাচিত বিধায়ক। সুতরাং ধূপগুড়ির নবনির্বাচিত বিধায়কের শপথ নিয়ে জটিলতা এখনও অব্যাহত।

রাজ্যপালের এই সিদ্ধান্তে পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ও রাজ্যপালের ‘অতি সক্রিয়তা’-র বিরোধিতা করে বলেন,  “বিরল ঘটনা ঘটাতে চাইছেন রাজ্যপাল। শনিবার বিধানসভা খুলে শপথবাক্য পাঠ করাতে চান তিনি। এখানেও না থেমে সরাসরি তিনি প্রার্থীকে ফোন করছেন। এটা অত্যন্ত নিম্নমানের ঘটনা। রাজ্যপাল সাংবিধানিক পদে থাকা ব্যক্তি। তিনি অপর একটি সাংবিধানিক পদে থাকা ব্যক্তিকে অসম্মান করছেন। এটা যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর বিরোধী। ধূপগুড়ির বিধায়ক ফোন ধরেনি বলে আমি শুনেছি। পরিষদীয় মন্ত্রীকে এখনও ফাইল পাঠানো হয়নি। পরিষ্কার জানিয়ে দিচ্ছি আজ শপথ হবে না। আমাকে আবার চিঠি লিখতে হবে।” শপথ নিয়ে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত যে আরও চরমে পৌঁছল, তা বলাই বাহুল্য। পরিষদীয় মন্ত্রী এই রাজ্যপালের এই কাজের প্রতিবাদে বলেছেন, ‘রাজ্যপাল দিল্লির নির্দেশে চলছেন। তাই রাজ্য বিধানসভাকে, বিধানসভার অধ্যক্ষকে এড়িয়ে তিনি রাজভবনে ধূপগুড়ির বিধায়কের শপথের ব্যবস্থা করেছেন শনিবার বিকেলে।”


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!