- প্রচ্ছদ রচনা
- জানুয়ারি ৪, ২০২২
সংক্রমণের ভয়কে তুচ্ছ করে কলকাতা আন্তজার্তিক বইমেলার আয়োজনে গিল্ড বদ্ধপরিকর। স্টলের আয়তন কমল। বাড়ল ফাঁকা জায়গা।
৪৫তম আন্তর্জাতিক বইমেলা। ৩১ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়ার কথা । চলবে ১৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। কিন্তু সংক্রমণের হার হঠাৎ বেড়ে উঠেছে বলে রাজ্য সরকার কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। সাধারণ মানুষও আতঙ্কিত। প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে বইমেলা আদৌ হবে কি না? সাধারণত কলকাতা বইমেলায় দেশের নানা প্রান্তের, বিদেশেরও বহু প্রকাশন সংস্থা যোগ দেয়। এটা বিশ্বের অন্যতম বড়ো গ্রন্থমেলা। লক্ষ লক্ষ লোকের সমাগম হয়। তারুণ্য জনউচ্ছ্বাসে উপছে পড়ে। এরকম পরিস্থিতিতে বইমেলা হলে সংক্রমণ বাড়তে পারে বলে ভয় ছড়িয়ে পড়েছে। বইমেলা আয়োজক পাবলিশার্স অ্যান্ড বুকসেলার্স গিল্ড এসব ভয়কে আপাতত গুরুত্ব দিচ্ছে না। তারা আশাবাদী সংক্রমণ থমকে যাবে এবং বিধিনিষেধ মেনেই মেলা অনুষ্ঠিত হবে। প্রস্তুতি চলছে । সরকারি বিধিনিষেধ আপাতত ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত জারি থাকবে। তারপর কি হবে, সেটা পরের বিষয়। গিল্ডের সভাপতি ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায় অনিশ্চয়তাকে উড়িয়ে দিয়ে বলেছেন, আমরা আশাবাদী নির্ধারিত সময়েই বইমেলা হবে। পরিস্থিতির উপর নজর রাখছি । সরকার যা বলবে, যে বিধি মেনে চলার কথা বলবে, সেসব মেনেই বইমেলা হবে।’
এবছর বইমেলার থিম বাংলাদেশ। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে বঙ্গবন্ধুর শতবর্ষ পূর্তি এবং ভারত বাংলাদেশের বন্ধুত্বের ৫০ বছর। বাংলাদেশকে প্রস্তুতি সম্পূর্ণ করতে অনুরোধ জানানো হয়েছে । বাংলাদেশও তৈরি । ইতিমধ্যে ঢাকার একটি প্রতিনিধি দল কলকাতায় বৈঠক করে গেছেন। প্রাথমিক প্রস্তুতি পর্ব শেষ হতে চলল। গিল্ডের সাধারণ সম্পাদক সুধাংশুশেখর দে জানিয়েছেন, সে সব কাজ বাকি আছে তা দ্রুত গতিতে সম্পন্ন করা হচ্ছে । মেলার ম্যাপ তৈরি । প্রকাশকদের জন্য স্টল নির্ধারণ চলছে । স্টলের আয়তন কমিয়ে মেলাপ্রাঙ্গণের ফাঁকা জায়গা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে । এবছর ৬০০র বেশি বইস্টল, ২০০র অধিক লিটল ম্যাগাজিন বিক্রির স্টল হবে । মেলাপ্রাঙ্গণে স্টল তৈরির কাজ ১৫ জানুয়ারির মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে । গ্রিল্ডের কর্মকর্তা ও প্রকাশকদের উৎসাহ দেখে মনে হচ্ছে সমস্ত ভয় আর গুজব অতিক্রম করে বইমেলা করতে তাঁরা বদ্ধপরিকর। প্রকাশকরা বই নিয়ে তৈরি। মেলায় ছড়িয়ে দেওয়া হবে নতুন বইয়ের সুগন্ধ।
❤ Support Us