“ইন্ডিয়া”-র ব্যানারে ঢেকে গেল হুগলি, ব্যানারে সোনিয়া, মমতা, সেলিম, অধীর এক সঙ্গে

লোকসভা ভোট এখনও ঘোষণা হয়নি। তবে এখনই রাজ্যে “ইন্ডিয়া”জোটের ব্যানার পড়ল। তাতে একই সঙ্গে রয়েছে, সোনিয়া গান্ধি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, রাহুল গান্ধি, মহম্মদ সেলিম ও অধীর চৌধুরীর ছবি। শনিবার হুগলি জেলার বিভিন্ন এলাকায় দেখা গেছে এই ব্যানার। তৃণমূল ও সিপিএম ব্যানার টাঙানোর কথা অস্বীকা করেছে। কংগ্রেসের দাবি এটা বিজেপি করেছে।

শনিবার হুগলির চাঁপদানি, ভদ্রেশ্বর, পোলবাসহ বিস্তীর্ণ এলাকায় “ইন্ডিয়া” জোটের ব্যানার নজরে এসেছে। ওই ব্যানারে মমতা, অধীর, সেলিম, সুজনকে দেখা গেছে। সঙ্গে সনিয়া, রাহুল অভিষেকের ছবিও রয়েছে ওই ব্যানারে। ব্যানারে লেখা, “বিকেপি হঠাও, ইন্ডিয়া বাঁচাও।’ তার নীচে লেখা, ‘বিজেপিকে হঠাতে সকল মানুষ ইন্ডিয়া জোটে সামিল হও।’ একেবারে নীচে লেখা, ‘ইনক্লাব, জয় বাংলা’। ইনক্লাব বলে সিপিএম, জয়বাংলা বলে তৃণমূল, এটা লিখে ব্যানারটা যারা লাগিয়েছে তারা প্রমাণ করতে চেয়েছে এটা সিপিএম এবং তৃণমূল টাঙিয়েছে।

শনিবার সকাল সকাল এই ব্যানার চোখে পড়তেই সাধারণ মানুষের মধ্যে গুঞ্জন শুরু হয়ে যায়। তবে এরাজ্যে আসন সমঝোতার পথে এগোচ্ছে বিরোধীরা। ওঠে সেই প্রশ্ন। তৃণমূলের মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, ” আমরা ইন্ডিয়া জোট শক্তিশালী হোক সেটা নিয়ে প্রচার করছি। তবে কোনও নাম বলছি না, এটা দল বলতে বলেনি এখনই। তবে আমরা জানি ইন্ডিয়া জোটকে শক্তিশালী করলে  বিজেপিকে রোখা যাবে। তাই ব্যানার কে লাগিয়েছে বলতে পারব না।”
এদিকে এই ব্যানার দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে সিপিএম। দলের হুগলি জেলা সম্পাদক দেবব্রত ঘোষ বলেছেন, “কারা ব্যানার লাগিয়েছে জানি না। আমাদের নেতৃত্বের ছবি ব্যবহারের আগে কোনও অনুমতি নেওয়া হয়নি। কর্মীদের বলেছি, ব্যানার দেখলে ছিঁড়ে ফেলবে।”

এদিকে বিজেপির দাবি, “সিপিএম, কংগ্রেস, তৃণমূল ভিনরাজ্যে গিয়ে একসঙ্গে বৈঠক করছে। আর এরাজ্যে মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছে। তাদেরই কেউ এই ব্যানার টাঙিয়েছে। মানুষের চোখে লাগছে বলে এখন তারা অস্বীকার করছে। তবে মানুষ সব বোঝে।” বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকে সীতারাম ইয়েচুরি,মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একসঙ্গে বসবেন। পরদিন জাগো বাংলায় মমতার আর গণশক্তিতে সীতারামের ছবি ছাপা হবে ইন্ডিয়া জোটের পক্ষে, এটা বাংলার মানুষ বোঝে। বাংলার মানুষ এটা বোঝে যে দিল্লিতে বৈঠক করে বিজেপি বিরোধীতা করবে আর বাংলায় সিপিএম-তৃণমূল লড়াই করবে, এই ইন্ডিয়া জোট আসলে কী মানুষ বুঝে গেছে।”