- এই মুহূর্তে দে । শ
- ডিসেম্বর ৬, ২০২২
কার উসকানিতে পৃথক কামতাপুরের দাবিতে আবার আন্দোলন, নেপথ্যে কোন দল? রেল অবরোধে স্তব্ধ বহু ট্রেন, নাজেহাল অসংখ্য যাত্রী

পৃথক কামতাপুর রাজ্যের দাবিতে রেল অবরোধ শুরু করেছে কামতাপুর পিপলস পার্টি। জন সমর্থন নেই। লাগাতার আন্দোলনের ভিত নেই। কার উসকানিতে হঠাৎ আবার স্বতন্ত্র কামতাপুর রাজ্য গঠনের দাবি নড়ে উঠল। দিন কয়েক আগে, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ অধিকারীর সঙ্গে দেখা করে জনৈক কামতাপুরি নেতা। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দরবারে তাঁদের দাবি পেশ করার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন।
এবার তাঁরা সরাসরি ময়দানে নেমে চাপ তৈরির কৌশল নিয়েছেন। মঙ্গলবার, পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী ১২ ঘন্টার রেল অবরোধ শুরু হয়েছে। অবরোধের জেড়ে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস রাস্তায় আটকে আছে। বিভিন্ন স্টেশনে দাঁড়িয়ে আছে গুয়াহাটিগামী কিংবা গুয়াহাটি থেকে আসা ট্রেন। যাত্রীরা নাজেহাল। যত বেলা বাড়ছে, তাদের হয়রানি বাড়ছে। ময়নাগুড়ি স্টেশনে কাঞ্চনজঙ্ঘা, মালদহে যাত্রীবাহী ট্রেন ও মালগাড়ি স্তব্ধ। বহু মানুষ স্টেশনে এসে বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন। কেউ কেউ বাসে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় অথবা অসমে যাবার চেষ্টা করছেন। কামতাপুর প্রোগ্লেসিভ পার্টির যৌথমঞ্চ ও রেল অবরোধের শরিক।
হঠাৎ কামতাপুরি আন্দোলন শুরু হওয়ার কারণ রহস্যময়।উত্তরবঙ্গ এবং বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর প্রতি সরকার সহানুভূতিময়। আগের আন্দোলনকারীরা মূলস্রোতে ফিরে এসেছেন। যারা সন্ত্রাসবাদের রাস্তা ধরে ভূটান ও বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়ে জঙ্গিকার্যকলাপ চালাচ্ছিলেন, তাদের প্রতিবেশী দুই দেশ পরের দিকে বিলকূল প্রশ্রয় দেয়নি। জনবিন্যাস আর ভৌগলিক অবস্থানের কথা বিবেচনা করলে, আলাদা কামতাপুর রাজ্যের দাবি টিকবে না। বাংলায় যারা কামতাপুরি, অসমে তারা কোচ হিসেবে পরিচিত।মাঝে মাঝে বৃহত্তর কোচরাজ্যরও দাবি উঠেছে। কোচ বা কামতাপুরিরা উত্তরবঙ্গ ও সংলগ্ন অসমে একক সংখ্যাগরিষ্ঠ নয়। বড়ো, কাছারি, সাওতাল, বাঙালি, অসমিয়া নানা জনগোষ্ঠী এসব অঞ্চলে ছড়িয়ে আছেন।বাইরের প্ররোচনা ছাড়া স্বতন্ত্র কামতাপুর রাজ্যের দাবি তোলা কি অসম্ভব? এটা কোনো অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র নয় তো?
বিজেপি একসময় ছোট ছোট রাজ্য গঠনের সমর্থক ছিল। এখন তাদের অবস্থান অস্পষ্ট। তাদেরই ছদ্মবেশী সমর্থক কিংবা প্রত্যক্ষ রাজনীতিক কামতাপুর আর রাঢ়বঙ্গের দাবি উসকে দিয়ে সম্প্রতি মন্তব্য করেছেন। কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব, প্রদেশ নেতৃত্ব বিষয়টি নিয়ে চুপ। যদিও কেউ কেউ বলেছেন, আলাদা রাজ্য গঠনের দাবিতে ব্যক্তিবিশেষের মতামতকে গুরুত্ব দেওয়ার প্রয়োজন নেই। এটা ভারতীয় জনতা দলের অফিসিয়াল সিদ্ধান্ত নয়। হতে পারে। কিন্তু বিজেপি আলটপকা মন্তব্য নিয়ে নীরব কেন? নীরবতা সম্মতির লক্ষণ নয় তো?
❤ Support Us