- এই মুহূর্তে দে । শ
- জানুয়ারি ৬, ২০২৩
জাতীয় দলের তকমা বাঁচাতে মরিয়া ঘাসফুল। মেঘালয় নির্বাচনে আগাম প্রার্থী তালিকা ঘোষণা দলের

রাজ্যের বাইরে নিজেদের ক্ষমতা বিস্তারে উদ্যোগী ঘাসফুল শিবির। মেঘালয় বিধানসভা নির্বাচনের একমাস আগেই প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করল ওই রাজ্যের দলীয় তৃণমূল নেতারা।
ফেব্রুয়ারির শেষে বা মার্চের গোড়ায় ত্রিপুরা এবং নাগাল্যান্ডের সঙ্গে মেঘালয়ে বিধানসভা ভোট হওয়ার কথা। নির্বাচন কমিশন এখনও ঘোষণা করেনি নির্বাচনের দিনক্ষণ। তাঁর আগেই প্রার্থী তালিকা নিয়ে হাজির জোড়া ফুল শিবির। দলের মেঘালয় রাজ্য সভাপতি চার্লস পিংরোপ এবং পরিষদীয় দলনেতা তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মুকুল সাংমা ৬০ টি আসনের মধ্যে ৫২ টি আসনে নাম ঘোষণা করলেন। তারা আরও জানান যে বাকি আটটিতে কারা লড়বেন সে ব্যাপারেও শীঘ্রই দলীয় বৈঠকে সিদ্ধান্ত নিয়ে জানাবেন তারা।
শুক্রবার যে তালিকা মেঘালয়ের রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেস প্রকাশ করেছে তাতে দেখা যাচ্ছে যে গত দু’বারের বিধায়ক মুকুল এ বার পূর্ব-গারো পাহাড়ের টিকরিকিল্লা থেকে লড়বেন। সেই সঙ্গে তিনি সোঙ্গসক, যেটা তাঁর পুরনো কেন্দ্র সেখানেও তিনি প্রার্থী হিসেবে দাঁড়াতে চলেছেন। অন্য দিকে, নোঙ্গথিম্মাই আসনের বিদায়ী বিধায়ক পিংরোপও আবার সেখানেই প্রার্থী হয়েছেন। ৫২ জনের তালিকায় মুকুল-পিংরোপ-সহ মোট ৯ জন বিদায়ী বিধায়কের নাম রয়েছে। এঁরা সকলেই ২০১৮-র বিধানসভা ভোটে কংগ্রেসের টিকিটে জিতেছিলেন। ২০২১-এর অক্টোবরে তৃণমূলে যোগ দেন। সে সময় মুকুলের নেতৃত্বে মোট ১২ জন বিধায়ক তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁদের তিন জন ইতিমধ্যেই দল ছেড়েছেন।
প্রসঙ্গত,পশ্চিমবঙ্গের বাইরে একমাত্র মেঘালয় একমাত্র রাজ্য যেখানে লোকসভা ভোটে তৃণমূল জয়ী হয়েছিল। ২০০৪-এ ওই রাজ্যের তুরা কেন্দ্র থেকে জোড়াফুল প্রতীকে জিতেছিলেন লোকসভার প্রাক্তন স্পিকার পূর্ণ অ্যাজিটক (পিএ) সাংমা। পূর্ণের ছেলে কনরাডই বর্তমানে সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। গতমাসেই পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী সেই রাজ্যে গিয়েছিলেন স্থানীয় তৃনমূল নেতাদের সঙ্গে বিধানসভা ভোট নিয়ে আলোচনা করতে।পরপরই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং অমিত শাহ যৌথ সফর করেন সে রাজ্যে। আগামী বিধানসভায় জয়ের লক্ষ্য নিয়ে মনস্তাত্তিক যুদ্ধে, নিজেদের এগিয়ে রাখতে আগাম প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করে, সংগঠনের কর্মীদের মনোবলকে বাড়িয়ে দিল তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব।
❤ Support Us