Advertisement
  • দে । শ প্রচ্ছদ রচনা
  • জানুয়ারি ২৩, ২০২৩

নেতাজি কার? জন্মজয়ন্তীতে অনাকাঙ্খিত প্রতিযোগিতা ডান-বাম সকলের।

বিজেপির তৎপরতা বড্ড বেশি। লক্ষ্য কী নেতাজির ভাবাবেগকে কাজে লাগিয়ে ফায়দা অর্জন?

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
নেতাজি কার?  জন্মজয়ন্তীতে অনাকাঙ্খিত প্রতিযোগিতা  ডান-বাম সকলের।

ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে ইতিহাসে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু এক অবিস্মরণীয় ব্যক্তিত্ব। তার চিন্তা ও মতাদর্শ তরুণ প্রজন্মের কাছে অনুপ্রেরণা।  এই মহান  স্বাধীনতা সংগ্রামীর  জন্মদিনের শ্রদ্ধা নিবেদনে  অনাকাঙ্খিত  প্রতিযোগিতায় জড়িয়ে পড়ল  দেশের কয়েকটি রাজনৈতিক দল। 

সুভাষচন্দ্র বসু ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে যোগ্য মর্যাদা পাননি এই অভিযোগ বহুদিনের। ক্ষমতায় এসে বিজেপি  সরকার নেতাজিকে শ্রদ্ধা জানাতে একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে । নেতাজি সম্পর্কিত ১২৬টি গোপন ফাইল প্রকাশ্যে নিয়ে আসা, দিল্লিতে অমর জওয়ানের স্মারক চিহ্নের পরিবর্তে নেতাজির লেসার মূর্তি স্থাপন,   আজাদ হিন্দ দিবস   ঘোষণা, নেতাজিকে ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে স্বীকৃতির দাবি, ২০২১ সালে নেতাজি জন্ম দিবসকে পরাক্রম দিবস ঘোষণা ইত্যাদি। নেতাজির ১২৬ তম জন্ম জয়ন্তীতে আন্দামান নিকোবরের নামহীন ২১ দ্বীপের নামকরণের  সিদ্ধান্ত নিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

জাপানের কাছে থেকে হস্তান্তরের পর নেতাজি আন্দামান -নিকোবরের নাম রেখেছিলেন শহিদ ও স্বরাজ দ্বীপপুঞ্জ। এবার তার   অন্তর্গত বড়ো বড়ো ২১ টি দ্বীপের নতুন নামকরণ হয়েছে । প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় সূত্রে খবর,  ২১  পরমবীর চক্রের  নামে দ্বীপগুলি  নামাঙ্কিত হয়েছে ।   নেতাজি সুভাষচন্দ্র দ্বীপে তাঁর স্মরণে নির্মিত স্মারক সংগ্রহশালার উদ্বোধন করেছেন  প্রধানমন্ত্রী। 

আজ সকালে জাতির উদ্দেশ্যে নেতাজিকে সশ্রদ্ধ প্রণাম জানিয়ে টুইট করেছেন প্রধানমন্ত্রী।  টুইটার হ্যান্ডলে  বলেছেন যে, ঔপনিবেশিক শাসনের বিরুদ্ধে নেতাজির সশস্ত্র  সংগ্রাম, তাঁর চিন্তাধারা, তাঁর দৃষ্টিভঙ্গিকে বাস্তবায়িত করবে মোদি সরকার। সংবাদ সংস্থার খবর, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহও দুদিনের সফরে  আন্দামানে হাজির হয়ে পোর্ট ব্লেয়ারে সভা করবেন ।  ১৯৪৩ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর এখানেই  নেতাজি  স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলন করেছিলেন।

আজ  বঙ্গ বিজেপি একাধিক কর্মসূচি পালন করেছে ।  শহিদ মিনারে সভা করেছেন আরএসএসের  প্রধান মোহন ভাগবত।

 

নেতাজির কন্যা অনিতা বসু পাফ সম্প্রতি বলেছেন, সুভাষ চন্দ্র বসু যে ধর্মনিরপেক্ষ আদর্শ স্থাপনের অঙ্গীকার করেছিলেন,  কার্যত আজকের ভারতে তার প্রতিফলন নেই। বামপন্থীরা পাফের বক্তব্য নিয়ে সরব।  বলছেন দেশের   ১ % মানুষের হাতে ৪০% এর বেশি সম্পদ কেন্দ্রীভূত । ক্ষুধা সূচকে তলানিতে দেশ, বেকারত্ব সর্বোচ্চ। কিন্তু বিজেপি সরকার সাম্প্রদায়িক মেরুকরণের মাধ্যমে ক্ষমতা আঁকড়ে থাকতে ব্যস্ত। তৃণমূলও  বাম বিজেপি উভয় পক্ষকে আক্রমণ করেছে । তাদের অভিযোগ, নেতাজিকে কেউ যোগ্য সম্মান দেয়নি । প্রসঙ্গগত বলা জরুরি ২০১৫ সালে রাজ্যের হাতে থাকা নেতাজি সম্পর্কিত ফাইল প্রকাশ্যে নিয়ে আসে তৃণমূল সরকার।প্রতি বছর নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুকে শ্রদ্ধা জানিয়ে একাধিক অনুষ্ঠা্নের আয়োজিত হয়। আজ ধর্মতলায় নেতাজি মূর্তিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেছেন  মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

ছবি পরিষ্কার, নেতাজির ভাবমূর্তিকে রাজনৈতিক ইস্যু করতে চাইছে বিভিন্ন দল। বিজেপির অতি তৎপরতা বড্ড বেশি নজরে পড়ছে। নেতাজি স্মরণ নয়, তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন নয়, তাঁর রাজনৈতিক ব্যবহারই লক্ষ্য হয়ে উঠছে গেরুয়া শিবিরের।


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!