Advertisement
  • এই মুহূর্তে দে । শ
  • সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২৩

সংঘের সঙ্গে অহিন্দুদের নিয়ে কাজ করার, বুদ্ধিজীবীদের অন্তর্ভুক্ত করার ডাক দিলেন সংঘ প্রধান মোহন ভাগবত

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
সংঘের সঙ্গে অহিন্দুদের নিয়ে কাজ করার, বুদ্ধিজীবীদের অন্তর্ভুক্ত করার ডাক দিলেন সংঘ প্রধান মোহন ভাগবত

বিজেপি যখন দেশে উগ্র হিন্দুত্বের ধ্বজা তুলে ধরতে থাকে সংঘ পরিবার তখন তাদের থামাতে বিশেষ পদক্ষেপ নেয়। এবার যখন একটি ধর্ম নিরেপেক্ষ দেশের সংসদ ভবন উদ্বোধন হল গণেশ পুজোর দিন, সংসদ ভবনের নকশা যখন হিন্দু বস্তু রীতি মেনে তৈরী করা হল এবং তা নিয়ে যখন প্রধানমন্ত্রী সহ অন্য বিজেপি সাংসদরা সংসদে দাঁড়িয়ে হিন্দুত্বের প্রচার করলেন। ঠিক তখনই  জাতি গঠনের জন্য রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ সকলকে সঙ্গে নিয়ে চলতে চেয়ে বার্তা দিচ্ছে। সংঘের প্রধান মোহন ভাগবত বললেন, যারা সংঘ বিরোধী এবং সমালোচক তাদেরকে নিয়েও চলতে চায় আরএসএস। উত্তরপ্রদেশের নিরালা নগরে সরস্বতী শিশু মন্দিরের এই অনুষ্ঠানে একথা জানিয়েছেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত। এদিন বুদ্ধিজীবী এবং অন্যদের জাতি গঠনে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানান মোহন ভাগবত। তিনি বলেন, ‘আমরা দেশে সকলকে একত্রিত করার পক্ষে রয়েছি।’

সংঘ প্রধান বলেন, ‘আমরা সকলকে সঙ্গে নিয়ে চলতে চাই। জাতি গঠনের আমাদের লক্ষ্য আলাদা। এমনকি যারা আমাদের বিরোধিতা করে তাদেরও আমরা স্বাগত জানাচ্ছি। তবে আমরা অবশ্যই নিশ্চিত করব যে সমালোচকরা এবং তাদের সমালোচনা আমাদের যেন ক্ষতি না করে।’ তবে আরএসএস তাদের কাজের জন্য কৃতিত্ব চায় না বলেই দাবি করেছেন মোহন ভাগবত। তিনি বলেন, ‘আমরা ভালো কিছুর কৃতিত্ব নিতে চাই না। আমরা ইতিহাসে আরএসএসকে স্বীকৃতি দিতে আগ্রহী নই, যারা দেশকে রূপ দিয়েছে। বরং ইতিহাসে যেন উল্লিখিত থাকে যে জাতি গঠনের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ একটি প্রজন্ম এসেছিল এবং তারা নিশ্চিত করেছে যে তাদের চেষ্টায় দেশ ‘বিশ্ব গুরু’ হয়ে উঠেছে।’ তিনি বলেন, ‘বুদ্ধিজীবীদের সবাইকে অন্তর্ভুক্ত করে সংঘ এগিয়ে যাবে। চিকিৎসক, শিক্ষক, সেনা, অফিসার, আইনজীবী এবং মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে সংঘ প্রচার চালাবে। সংঘের স্বেচ্ছাসেবকরা সমাজ পরিবর্তনের জন্য অনেক ভালো কাজ করছেন। আপনারা, বুদ্ধিজীবীরা এই কাজে অংশগ্রহণ করতে পারেন।’

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, উপ মুখ্যমন্ত্রী কেশব প্রসাদ মৌর্য এবং ব্রজেশ পাঠক, উত্তরপ্রদেশের বিজেপি প্রধান ভূপেন্দ্র চৌধুরী, রাজ্য সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) ধরমপাল সিং সহ দল ও সরকারের শীর্ষস্থানীয় নেতারা। আরএসএস প্রধান শতবর্ষের উৎসবকে স্মরণীয় করে রাখার ব্যাপারে মতামত দিয়েছেন তাঁরা। পাশাপাশি তিনি দলিতদের মধ্যে আরএসএসের ভাবধারা ছড়ানোর ব্যাাপরে অনুরোধ জানান। সফরের সময় আরএসএস প্রধান সঙ্ঘের জন্য এজেন্ডা নির্ধারণ করেন। কর্মীদের ‘ল্যান্ড জিহাদ’, ‘লাভ জিহাদ’– এর বিরুদ্ধে প্রচার বাড়াতে নির্দেশ দেন। অহিন্দুদের মধ্যে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন সংঘ প্রধান। আসলে কেবলমাত্র হিন্দুত্বের ধ্বজাধারী একটা সংগঠন হিসেবেই পরিচিত আরএসএস। সেই জায়গা থেকে সঙ্ঘপ্রধানের  এই নির্দেশ তাৎপর্যপূর্ণ। বিজেপিও ইদানিং অহিন্দুদের মধ্যে কাজ করার ব্যাপারে কথা বলছে। এমনকী খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও এব্যাপারে বিজেপি কর্মীদের কাছে আগেই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। তবে অহিন্দুদের, বুদ্ধিজীবীদের সঙ্গে নিয়ে পথ চলার এই বাসনা এর আগেও প্রকাশ করেছেন মোহন ভাগবত। ডেকেছেন নানা জাতি, নানা ভাষার বিশিষ্ট মানুষদের। তবে কজন তাদের এই ডাকে সাড়া দিয়েছে সেটাই বড় প্রশ্ন।


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!