- মা | ঠে-ম | য় | দা | নে
- জানুয়ারি ২২, ২০২৪
টেলিফোনে আয়েশা সিদ্দিকে ‘নিকাহ’ করে প্রতারিত হয়েছিলেন শোয়েব মালিক
দুদিন আগেই হঠাই করে অভিনেত্রী সানা জাভেদের সাথে বিয়ের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে ক্রীড়াজগতকে অবাক করে দিয়েছেন পাকিস্তান ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক শোয়েব মালিক। দীর্ঘদিন ধরেই সানিয়া মির্জার সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের বিচ্ছেন নিয়ে গুঞ্জন চলছিল। অবশেষে সেই গুঞ্জনের যবনিকা ঘটিয়েছেন শোয়েব মালিক।
২০১০ সালে সানিয়া মির্জার সঙ্গে শোয়েব মালিকের বিয়ে হয়। তবে সানিয়া মির্জা তাঁর প্রথম স্ত্রী ছিলেন না। ভারতীয় টেনিস তারকার সঙ্গে নতুন জীবন শুরু করার আগে শোয়েব অন্য একজন মহিলাকে বিয়ে করেছিলেন। যাকে তালাক দিয়েছিলেন পাকিস্তানের এই প্রাক্তন ক্রিকেট তারকা। সানিয়াকে বিয়ে করার ঠিক আগে শোয়েব মালিককে নিয়ে একটা বিতর্ক দেখা দিয়েছিল। হায়দরাবাদের আয়েশা সিদ্দিকী নামে এক মহিলা দাবি করেছিলেন, ২০০২ সালে শোয়েব নাকি তাঁকে বিয়ে করেছিলেন।
শোয়েব অভিযোগ অস্বীকার করলে আয়েশা, যিনি মাহা সিদ্দিকী নামেও পরিচিত, তিনি পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন। এবং তাঁদের বিয়ের ভিডিও প্রমাণও দেখিয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত দুজন এক সমঝোতায় পৌঁছন। শোয়েব মালিক আয়েশাকে তালাক দেন এবং ১৫ কোটি টাকা ভরণপোষণ দিতে বাধ্য হন হন। শোয়েব এবং আয়েশার বিয়ের সবচেয়ে আকর্ষণীয় ব্যাপার হল, বিয়েটা নাকি ‘টেলিফোনিক নিকাহ’ ছিল। শোয়েব আয়েশাকে না দেখেই টেলিফোনে নিকাহ করেছিলেন।
শোয়েব যখন আয়েশাকে বিয়ে করেছিলেন, তখন তাঁর বয়স ছিল ২০ বছর। তাঁর সাথে আয়েশার কয়েকটি ছবিও ছিল। দুজন নিয়মিত ফোনে কথা বলতেন। আয়েশা শোয়েবকে প্রতারণা করেছিলেন। যে ছবি তিনি শোয়েবকে পাঠিয়েছিলেন, ছবির সঙ্গে তাঁর কোনও মিল ছিল না। আয়েশা একের পর এক অজুহাত দিয়ে শোয়েবের সাথে দেখা করতে অস্বীকার করেন। ২০০২ সালে আয়েশা শোয়েবকে বলেছিলেন যে, তিনি অবিলম্বে বিয়ে করতে চান। কারণ তাঁদের সম্পর্কের খবরটি প্রকাশ্যে এসে গেছে, যা তাঁর পরিবারের কাছে সমস্যা হয়ে দাঁনিয়েছে।
এক সক্ষাৎকারে আয়েশার সঙ্গে বিয়ের বাপারে শোয়েব মালিক বলেছিলেন, ‘এই বিয়ের ঘটনাটি ২০০২ সালে ঘটেছিল। আয়েশা চেয়েছিল যে আমরা বিয়ে করি। যদিও আমি অবশ্যই তাকে বিয়ে করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আমি তাড়াহুড়ো করতে চাইনি। কারণ, আমি ওর সাথে দেখা করিনি। আয়েশা আমাকে পরামর্শ দিয়েছিল যে, আমরা টেলিফোনে নিকাহ করতে পারি। আমার বাবা–মাকে টেলিফোনে নিকাহ সম্পর্কে বলার কোনও উপায় ছিল না। কারণ তারা সেভাবে বিয়ে দিতে রাজি ছিলেন না। কিন্তু আয়েশা আমাকে বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছিল। আমি ২০০২ সালের জুন মাসে একদিন সকালে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আমার বন্ধুর দোকানে গিয়েছিলাম। এবং সেখান থেকে আয়েশাকে ফোন করেছিলাম। আমি একটি নিকাহনামা পেয়েছিলাম, তাতে স্বাক্ষর করেছি। আমি ভেবেছিলাম, যে মেয়েটিকে আমি বিয়ে করছি সেই মেয়ের ছবি ছিল।’ ২০০৫ সালের আগস্টে শোয়েব জানতে পেরেছিলেন, তিনি যে মেয়েটির সাথে ফোনে কথা বলেছেন, ছবির সঙ্গে তাঁর কোনও মিল নেই। তিনি যখন এই বিষয়ে আয়েশার মুখোমুখি হন, তখন সত্যটি জানতে পারেন।
❤ Support Us