- Uncategorized দে । শ প্রচ্ছদ রচনা
- ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২৫
নিয়োগে প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি হয়েছে, ২৬ হাজার শিক্ষক নিয়োগ মামলায় পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের । শীর্ষ আদালতে একাধিক প্রশ্নের মুখে এসএসসি।আদালতের রায় ঘোষণা এখনি নয়

নিয়োগে প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি হয়েছে, ২৬ হাজার শিক্ষক নিয়োগ মামলায় পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের । এদিন সুপ্রিম কোর্টে একাধিক প্রশ্নের মুখে পড়লো স্কুল সার্ভিস কমিশন । কেন পরীক্ষা সংক্রান্ত কোনো তথ্য নিজেদের কাছে না রেখে, বাইরের সংস্থাকে দায়িত্ব দিল এসএসসি, তা নিয়ে প্রশ্নে তুলেছেন বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার বেঞ্চ ।
যোগ্য এবং অযোগ্যদের আলাদা করা সম্ভব কিনা সেই নিয়েই সুপ্রিম কোর্টে শুরু এসএসসির ২৬ হাজার চাকরি বাতিল মামলার শুনানি । শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের নিয়োগে বেনিয়মের মামলায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট । বিতর্কিত রায়ের বিরুদ্ধে রাজ্যের শিক্ষা দফতর এবং স্কুল সার্ভিস কমিশন দারস্থ হয় সুপ্রিম কোর্টের। সেই মামলারই পরবর্তী শুানানি আজ । দেশের শীর্ষ আদলতে প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না এবং বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের এজলাসে আজ সেই মামলায়, যোগ্য এবং অযোগ্যদের বাছাই প্রক্রিয়া নিয়েই রাজ্যের বক্তব্য শোনা হচ্ছে ।
এদিন শীর্ষ আদালতে সুপ্রিম কোর্টে স্কুল সার্ভিস কমিশন বলে ১৯ হাজার শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীর বৈধ নিয়োগ হয়েছে, বাকিদের নিয়োগ অবৈধ । যদিও এনিয়েই পাল্টা প্রশ্ন তোলেন বিচারপতিদের বেঞ্চ । এজলাসে আজ এই মামলার শুনানির প্রথমেই বিচারপতি সঞ্জীব খান্না বলেন, পরীক্ষার ওএমআর সিটের নির্ভূল তথ্য না থাকায় যোগ্য এবং অযোগ্য প্রার্থীদের বাছাই করার কাজ প্রায় অসম্ভব । এবিষয়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার পক্ষে আজ আদালতে বলা হয়, স্কুল সার্ভিস কমিশনের নিয়োগ পরীক্ষায় দুর্নীতি হয়েছে । ২৬ হাজার প্রার্থীর চাকরি বাতিলের যে রায় কলকাতা হাইকোর্ট দিয়েছে তাই বহাল রাখার আবেদনও করেন সিবিআই এর আইনজীবী । তিনি দাবি করেছেন, বহু পরীক্ষার্থী সাদা খাতা জমা দিয়েই চাকরি পেয়েছেন । এরপরই ওএমআরসিটের না থাকার বিষয়টি উত্থাপন করেন বিচারপতি সঞ্জয় খান্না । তিনি বলেন স্কুল সার্ভিস কমিশন এবং বেসরকারি পরীক্ষা আয়োজনকারী পঙ্কজ বনসলের সংস্থা স্ক্যানটেকের প্রদত্ত তথ্য মিলিয়ে দেখা হয়নি । আসল উত্তরপত্র না থাকায়, সিবিআই তদন্তে উঠে আসা বেসরকারি সংস্থার রিপোর্টকেই মান্যতা দিতে হয় । যদিও এপ্রসঙ্গে মামলাকারীদের অপর পক্ষ সেই তথ্যকে নাকচ করে দিয়েছে ।
গত ২৭ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্টে ২৬ হাজার শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীর চাকরি বাতিল মামলার শুনানিতে মূল মামলাকারীদের হয়ে, পুনরায় পরীক্ষা নেওয়ার পক্ষে সওয়াল করেছিলেন আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য । সুপ্রিম কোর্টে তিনি বলেন, ২০১৬ সালে এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ২৬ হাজার প্রার্থীর পুনরায় পরীক্ষা নেওয়া হোক । যারা উত্তীর্ণ হবেন তাদেরই যোগ্য বলে ধরে নেওয়া হবে । এক্ষেত্রে প্রার্থীদের বয়সের উর্ধ্বসীমাকে ছাড় দেওয়ার কথাও বলেন তিনি । এবিষয়ে তাঁর যুক্তি, তদন্তকারী সংস্থা বা নিয়োগকারী সংস্থা এখনো যোগ্য এবং অযোগ্যদের বাছাই প্রক্রিয়া নিয়ে কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছোতে পারেনি । প্রসঙ্গত এর আগে গত বছর ডিসেম্বরে এই মামলার শুনানিতে যোগ্য এবং অযোগ্য প্রার্থীদের বাছাইয়ের ওপর জোর দেয় শীর্ষ আদালত । এরপর বেশ কয়েকবার মামলার শুনানি পিছিয়ে যায় ।
অন্যদিকে ধর্মতলায় ওয়াই চ্যানেলে আন্দোলনরত শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মীরা জানিয়েছেন,দীর্ঘদিন ধরে চাকরি করার পর, পরীক্ষায় বসে যোগ্যতা নির্ধারনের পদ্ধতি নিয়ে তাদের আপত্তি আছে । এক্ষেত্রে আইনজীবী বিকাশরঞ্জনের প্রস্তাবকে নাকচ করেছেন তারা । শেষ পর্যন্ত বিচারপতি সঞ্জীব খান্না এবং সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চ এই মামলায় কী রায় দেন এখন সেটাই দেখার । বিচারপতিরা অবশ্য আগেই জানিয়ে ছিলেন আজই এই মামলার শেষ শুনানি, তবে তার নিস্পত্তি কবে হবে তা এখনো স্পষ্ট নয় ।
❤ Support Us