- এই মুহূর্তে দে । শ
- ডিসেম্বর ২, ২০২২
বাঙালিদের নিয়ে মন্তব্য বিতর্কে পরেশ, ক্ষমা প্রার্থনাতেও ভুল

গুজরাটে বিজেপির হয়ে প্রচার করতে গিয়ে বাঙালিদের নিয়ে মন্তব্য করে তুমুল বিতর্কের মুখে পড়েছেন অভিনেতা পরেশ রাওয়াল। একটা সমাবেশে তিনি বলেছিলেন যে, গুজরাটের জনগণ মুদ্রাস্ফীতি সহ্য করবে কিন্তু ‘বাংলাদেশি এবং রোহিঙ্গাদের নয়। বাঙালিদের ‘মাছ রান্না’ নিয়েও কটাক্ষ করেছেন পরেশ রাওয়াল। তাঁর মন্তব্যে বাঙালিরা দারুণ ক্ষুব্ধ।
শুক্রবার গুজরাটের ভালসাদে এক জনসভায় পরেশ রাওয়াল বলেন, ‘গ্যাস সিলিন্ডারের দাম কিন্তু কমবে। মানুষের কর্মসংস্থানও হবে। কিন্তু রোহিঙ্গা অভিবাসী এবং বাংলাদেশিরা যদি দিল্লির মতো আপনার আশেপাশে থাকতে শুরু করে, তাহলে কী হবে? গ্যাস সিলিন্ডার দিয়ে কী করবেন? বাঙালিদের জন্য মাছ রান্না করবেন?’ দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী আম আদমি পার্টির নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে উদ্দেশ্য করে পরেশ রাওয়াল বলেন, ‘গুজরাটের মানুষ মুদ্রাস্ফীতি সহ্য করতে পারে। কিন্তু তারা যেভাবে গালিগালাজ করে, তাদের মধ্যে একজনকে মুখে ডায়াপার পরতে হবে।’
অনেকেই পরেশ রাওয়ালের মন্তব্যকে বাঙালিদের ওপর ‘ঘৃণাত্মক বক্তব্য’ হিসেবে দেখেছেন। অন্যরা এটিকে বাংলাদেশি এবং রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে প্রচার হিসাবে বর্ণনা করেছেন। তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র সাকেত গোখলে পরেশ রাওয়ালের মন্তব্যের তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেছেন, ‘বাঙালিদের জন্য মাছ রান্না করতে আপনার দরকার নেই। মনে রাখবেন আপনিও মহারাষ্ট্রে আপনার কেরিয়ার তৈরি করেছেন যেখানে আমরা আপনাকে ভালবাসার সাথে ধোকলা এবং ফাফদা খাইয়েছি। গুজরাটে বিজেপির নির্দেশে আপনি বাংলার বিরুদ্ধে করা এই ঘৃণ্য মন্তব্যগুলি প্রত্যাহার করুন এবং ক্ষমা চান।’ তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রও তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।
টুইটারে প্রতিবাদের ঝড় ওঠার পরে, পরেশ রাওয়াল ক্ষমা চেয়ে টুইট করেছিলেন। সেই টুইট নিয়েও বিতর্ক দেখা দিয়েছে। টুইটারে পরেশ রাওয়াল ‘বাঙালি’ শব্দটি ব্যবহার করার সময় ‘অবৈধ বাংলাদেশি এবং রোহিঙ্গা’ বলে দাবি করে বিতর্ক আরও বাড়িয়ে তুলেছেন। পরেশ রাওয়াল টুইটারে লিখেছেন, ‘অবশ্যই মাছ খাওয়া নিয়ে সমস্যা নয় যেভাবে গুজরাটিরা মাছ রান্না করে এবং খায়। তবে আমাকে স্পষ্ট করে বলতে দিন, বাঙালি বলতে আমি অবৈধ বাংলাদেশি এবং রোহিঙ্গাদের বোঝাতে চেয়েছি। কিন্তু তারপরও যদি আমি আপনার অনুভূতিকে আঘাত দিয়ে থাকি, আমি ক্ষমাপ্রার্থী।’
তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মহুয়া মৈত্র পরেশ রাওয়ালকে ক্ষমা চাওয়ার জন্য উপহাস করেছিলেন৷ তিনি টুইটারে লেখেন, ‘আসলে কেমছো স্ল্যাপস্টিক ম্যানের ক্ষমা চাওয়ার দরকার নেই। বাঙালিদের মত মাছ রান্নার দ্বিতীয় অংশ হল বাঙালিদের মগজ আছে। ভারতের যে কোনও রাজ্যের চেয়ে সবচেয়ে বেশি নোবেল বিজয়ী বাংলাতে রয়েছে।’
❤ Support Us