- প্রচ্ছদ রচনা
- জানুয়ারি ২৮, ২০২৩
‘বিদেশি’ বলে চিহ্নিত নাগরিকদের ‘অস্থায়ী’ ঠিকানা। আসামের মাটিয়ার বন্দী শিবিরে ৬৮ ‘ঘুষপেটিয়া’। পুরুষ ৪৫, ২ শিশু সহ মহিলা ২১।
বন্দী শিবির নয়, সরকারি পরিভাষায় 'ট্র্যানজিট ক্যাম্প'

আসামের গোয়ালপাড়ায় বিদেশি বলে চিহ্নিত অনুপ্রবেশকারীদের নব নির্মিত ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠানো হল। প্রথম পর্যায়ে ৬৮ জনকে পাঠানো হয়েছে। সরকারিভাবে অবশ্য বলা হচ্ছে এটি হল ট্রানজিট ক্যাম্প।
শুক্রবার একজন উচ্চ পদস্থ সরকারি আধিকারিক জানান যে, গুয়াহাটি থেকে ১৫০ কিমি দূরে মাটিয়াতে এই ট্রানিজিট ক্যাম্পটি তৈরি করা হয়েছে। কেবলমাত্র অনুপ্রবেশকারীদের জন্য আসামে এটিই সর্বপ্রথম নির্মিত কোনো বন্দী শিবির। কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশিকা অনুযায়ী ধাপে ধাপে চিহ্নিত অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের পাঠানো হবে এই সব শিবিরে। আসামের ৬ জায়গায় তৈরি করা ডিটেনশন ক্যাম্পে বন্দীদের রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছিল। যার মধ্যে দুটি কোকড়াঝাড়ের জেলা কারাগারে আর বাকি চারটি তেজপুর, শিলচর, ডিব্রুগড় এবং যোরহাট অঞ্চলের কেন্দ্রীয় কারাগারে। কিন্তু সেখানে তুমুল অব্যবস্থা ও অপরিচ্চন্নতার অভিযোগ বার বার আসতে থাকে। সেই কারণেই মাটিয়াতে বন্দী শিবির গড়ে তোলা হয়। গত বছর নভম্বর মাসে গুয়াহাটি আদালতের রায়ের ভিত্তিতে মাটিয়াতে নির্মিত বন্দী শিবিরে বিদেশি অনুপ্রবেশকারী বলে চিহ্নিত ব্যক্তিদের নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে আসাম সরকার।
মাটিয়ার এই বন্দী শিবির বনভূমি ও চাষের জমির মাঝামাঝি জায়গায় অবস্থিত। ৪৬ কোটি টাকায় ২০ বিঘা জমির ওপর নির্মিত এই বন্দীশালায় ৩,০০০ জন থাকতে পারে। সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হচ্ছে আপাতত যে ৬৮ জন বন্দীদের আনা হল তাঁদের প্রত্যেকেই ফরেনার্স ট্রাইবুনাল এবং আসামের বিচারবিভাগীয় আদালতে এসব নাগরিক বিদেশি অনুপ্রবেশকারী বলে চিহ্নিত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ৪৫ জন পুরুষ, ২১ জন মহিলা আর ২ জন শিশু । কারাবিভাগের ইন্সপেক্টর জেনারেল বর্ণালী শর্মা বলেছেন, ক্যাম্পের পরিকাঠামো নির্মাণ সম্পূর্ণ। আটক অনুপ্রবেশকারীদের সব ধরনের অসুবিধা রুখতে যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
❤ Support Us