Advertisement
  • প্রচ্ছদ রচনা
  • জানুয়ারি ১৯, ২০২২

উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা ভোট, ২০২২ ।

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা ভোট, ২০২২ ।

অখিলেশ যাদব তাঁর পূর্ব সিদ্ধান্ত বদল করে, উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা ভোটে প্রার্থী হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। জিতলে তিনি হবেন পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী। ২০০২ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তাঁর বাবা মুলায়ম সিং যাদব ভোটে লড়েছিলেন । তাঁকেই মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে ঘোষণা করেছিল সমাজবাদী পার্টি। তারপর দলের কেউই মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হয়ে ভোটে লড়েন না। মায়াবতী কোনো কালেই বিধানসভা নির্বাচনে লড়েন নি ।

২০১২ সালে অখিলেশ যাদব যখন প্রথমবার মুখ্যমন্ত্রী হন । তখনও তিনিও ভোটে দাঁড়াননি। পরে বিধান পরিষদের সদস্য হন । ২০১৭ সালে যোগী আদিত্যনাথ যখন মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন তিনি ছিলেন গোরক্ষপুরের সাংসদ। পরে তাঁকেও বিধান সভায় নির্বাচিত হয়ে আসতে হয় । এবার সেই ট্রাডিশন বদলে দিয়েছেন যোগী। বিধানসভায় লড়তে হচ্ছে । চাপ পড়ে অখিলেশকেও ভোটে লড়তে হচ্ছে । কোথা থেকে লড়বেন, তা পরিস্কার নয়। কনৌজ কিংবা সেন্ট্রাল ইউপির লখনউ থেকে লড়তে পারেন। দুটোই হাই প্রোফাইল আসন। এখানে লড়াই কঠিন । বিজেপির ভিত শক্ত। আবার সমীকরণের জোরে সমাজবাদী পার্টিও পিছিয়ে নেই। এই দুই আসনেই অখিলেশের প্রতিদ্বন্দ্বিতার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।

আজই দ্বিতীয় দফার প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করবে বিজেপি । দিল্লিতে বৈঠক শুরু হয়েছে।ভার্চুয়ালি এই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন নরেন্দ্র মোদিও । মুখ্যমন্ত্রী আদিত্যনাথ তিনদিন ধরে দিল্লিতে রয়েছেন । বিজেপি তাদের নির্বাচন কৌশল ঠিক করবে । দ্বিতীয়ত, অনগ্রসর শ্রেণীকে কতটা আসন ছাড়া সম্ভব তা খতিয়ে দেখবে । ব্রাক্ষ্মণ ও অন্যান্য উন্নত শ্রেণীর ভোটের ওপর সম্পূর্ণ নির্ভরশীল হতে পারছে না। শুধু ধর্মীয় জিগির তুলে ক্ষত্রিয় ও ব্রাক্ষ্ণণ শ্রেণীকে আয়ত্তে রাখা কঠিন । প্রতিষ্ঠান বিরোধিতা সক্রিয়। তৃতীয়ত, যোগীর ঔদ্ধত্যে অনেকেই বিরক্ত। পশ্চিম ইউপির জাঠরা তাঁর পাশে নেই। কৃষক আন্দোলনের জের বইছে এখনও। সেন্ট্রালের লখনউ, কানপুর, বেনারস ও আলিগড়ের বিপুল সংখ্যক ভোটার বিদ্বেষের উস্কানিতে মুখ ঘুরিয়ে নিয়েছেন। হিন্দু খতরে মে-র মতো হাস্যকর স্লোগান ভাবাবেগে আর ঢেউ তুলছে না। এসব কারণেই যোগীর নেতৃত্বে বিজেপি ক্ষমতায় ফিরবে কি না—তা নিয়ে সংশয়ে গেরুয়া শিবির অনেকটাই দিশাহারা।


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!