- প্রচ্ছদ রচনা
- ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২৩
আদানি প্রসঙ্গে মোদিকে খোঁচা অরুন্ধতীর ! দেশের নিয়ন্ত্রণভার এখন চারজনের হাতে, দুজন ক্রেতা ও দুজন বিক্রেতা, কটাক্ষ বুকার জয়ীর

বিজেপি সরকারের নীতির বরবারই সমালোচক তিনি। জেএনইউ ,সিএএ, এনআরসি — একাধিক ইস্যুতে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে নিজের স্বাধীন মতামত রেখেছেন । এবার আদানি গোষ্ঠীর সাম্প্রতিক শেয়ার কেলেঙ্কারিতে প্রধানমন্ত্রী মোদির নীরবতা নিয়ে সরব হলেন বুকার জয়ী লেখিকা অরুন্ধতী রায়।
শুক্রবার থেকে পাটনায় অনুষ্ঠিত হয়েছে সিপিআইএম এলের একাদশতম দলীয় অধিবেশন। সেখানে যোগ দিয়েছিলেন লেখিকা অরুন্ধতী রায়। মঞ্চে বক্তৃতা দিতে গিয়ে তিনি বলেন যে গোটা দেশকে পরিচালনা করছে গুজরাতের চারজন ব্যক্তি। দুজন ক্রেতা আর অপর দুজন বিক্রেতা। নাম না করে গৌতম আদানি -মুকেশ আম্বানি ও তাঁদের পৃষ্ঠপোষক প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহর প্রতি তীব্র কটাক্ষ করেন তিনি । উপস্থিত দর্শক ও শ্রোতারা করতালি ও হর্ষোল্লাসে অভিবাদন জানান গড অফ স্মল থিংসের লেখিকাকে।
অরুন্ধতী শুক্রবারের বক্তৃতায় আরো বলেন , প্রধানমন্ত্রী মনে করেন আদনির ব্যাপারে তাঁর মন্তব্য অপ্রয়োজনীয়। দেশের মানুষকে তিনি পাঁচ কিলোগ্রাম রেশন দিয়ে ভাবছেন তাঁকে আর দুর্নীতি নিয়ে কোন প্রশ্ন করবে না দেশের মানুষ। কিন্তু হিণ্ডেনবার্গের রিপোর্ট অনুযায়ী, যে আর্থিক কেলেঙ্কারির কথা প্রকাশ্যে এসেছে তাতে ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার জড়িয়ে রয়েছে। তাঁর মন্তব্য, দেশের বৃহত্তম কর্পোরেট জালিয়াতির সঙ্গে যুক্ত আদানিরা। অথচ সরকার এ নিয়ে নীরব।
বিবিসির কার্যালয়ে আয়কর দফতরের সাম্প্রতিক সমীক্ষা নিয়েও সরব হব তিনি। তাঁর বক্তব্য, আদানির কোনো সম্পত্তিতে এমন তল্লাশি অভিযান চালানো হয় না। কিন্তু, ২০০২ সালের গুজরাত দাঙ্গার ওপর তথ্যচিত্র নির্মাণ করলে তাদের অফিসে এজেন্সির লোকদের পাঠিয়ে দেওয়া হয়। স্বাধীন সাংবাদিকতার ওপর নির্লজ্জ এই আক্রমণ দেখে আমেরিকা ও ব্রিটেনর মত গণতন্ত্রের ধ্বজাধারী দেশ চুপ কেন? প্রশ্ন অরুন্ধতীর।
পাটনার শ্রীকৃষ্ণ মেমোরিয়াল হলে সিপিআইএমএলের তিন দিনের অধিবেশনে অরুন্ধতীর বক্তব্য আলোড়ন ফেলে দিয়েছে বিরোধী শিবিরে। প্রসঙ্গত, বিহারে মহাগটবন্ধনের অংশ সিপিআইএমএল। যারা বাইরে থেকে নীতিশ কুমারের সরকারকে সমর্থন জানিয়েছে। এদিনের বক্তৃতায় এ ধরণের উদ্যোগের প্রশংসা করলেও দেশজুড়ে বৃহত্তর ফ্যাসিবাদ বিরোধী জোটের প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করেছেন বুকার জয়ী লেখিকা। সংবাদমাধ্যমে এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, বিজেপিকে পরাস্ত করতে সমস্ত বিরোধীদের মতান্তর ভুলে এক মঞ্চে আসতে হবে। দেশের বাম দল গুলোর প্রতি তাঁর পরামর্শ, পুঁজিবাদ ও জাতিবাদ উভয়ই সমাজের অগ্রগতির প্রতিবন্ধক। শুধু ধনতন্ত্রের বিরুদ্ধে লড়াই জাতবৈষম্যের অবসান সম্ভব নয়। আবার যাঁরা জাতপাতের বিরদ্ধে লড়ছেন তাঁরাও পুঁজিবাদী শোষনের প্রকৃত স্বরূপ বুঝতে পারছেন না। তাই উভয়কে হাতে হাত মিলিয়ে লড়তে হবে। আসতে পারে সাফল্য। মত লেখিকার।
❤ Support Us