- প্রচ্ছদ রচনা
- মে ২৩, ২০২২
জলের নীচে অসমের বিস্তীর্ণ এলাকা, বন্যা পরিস্থিতিতে মৃত বেড়ে ২৪

যত দিন গড়াচ্ছে, অসমে বন্যা পরিস্থিতি ততই ভয়াবহ হচ্ছে। টানা বর্ষণে বন্যা পরিস্থিতিতে অসমে আরও ছয়জনের মৃত্যু হল । মৃতদের মধ্যে দুই শিশু রয়েছে। এই নিয়ে উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে মৃত বেড়ে দাঁড়াল ২৪। অসমের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নগাঁও এলাকার কামপুর রেভিনিউ সার্কেলে জলে ডুবে গিয়েছেন চারজন । হোজাই জেলায় এক ব্যক্তি ও কাছাড় জেলার শিলচরে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে ।
অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা জানিয়েছেন, বন্যা-বিধ্বস্ত জেলাগুলিতে ১৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। কেন্দ্রের পক্ষ থেকে হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।দুর্গতদের সাহায্যের জন্য ডিমা হাসাও জেলায় ত্রাণ সামগ্রী পাঠিয়েছে বায়ুসেনা। অসমের মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, বন্যায় বিধ্বস্ত এলাকায় দুর্গতদের জন্য ত্রাণ পৌঁছে দিয়ে সরকার সবরকম ব্যবস্থা নিয়েছে।
জানা যাচ্ছে, বন্যা বিপর্যয়ে অসমে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ৭ লাখ ১৯ হাজার ৫৪০ জন। অসমের বরপেটা, বিশ্বনাথ, কাছাড়, দারাং, গোয়ালপাড়া, জোরহাট, কামরূপ, কার্বি আংলং পশ্চিম, করিমগঞ্জ, লখিমপুর, নগাঁও, উদলগুড়ির মতো জেলাগুলি ক্ষতির মুখে পড়েছে। নগাঁও জেলায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে। সেখানে প্রায় ৩.৪৬ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। কাছাড়ে ২.২৯ লাখেরও বেশি মানুষ বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন। হোজাই জেলায় ৫৮ হাজার ৩০০ জনেরও বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। বর্তমানে ২ হাজার ৯৫টি গ্রাম জলের তলায়। ৯৫৪৭৩.৫১ হেক্টর জমি ডুবে গিয়েছে। ব্যাপক হারে ফসল ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় ৪২১ টি ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে। আট জেলায় ডিস্ট্রিবিউশন সেন্টার খোলা হয়েছে। সেখানে ৯১ হাজার ৫১৮ জন আশ্রয় নিয়েছেন। এর মধ্যে শিশুর সংখ্যা ১৮ হাজার ৬২৬। বন্যা পরিস্থিতিতে প্রায় ২৫৩ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে।
অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা জানিয়েছেন, বন্যা-বিধ্বস্ত জেলাগুলিতে ১৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। কেন্দ্রের পক্ষ থেকে হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।দুর্গতদের সাহায্যের জন্য ডিমা হাসাও জেলায় ত্রাণ সামগ্রী পাঠিয়েছে বায়ুসেনা। অসমের মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, বন্যায় বিধ্বস্ত এলাকায় দুর্গতদের জন্য ত্রাণ পৌঁছে দিয়ে সরকার সবরকম ব্যবস্থা নিয়েছে।
বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। টুইট করে অমিত শাহ জানিয়েছেন, ‘ইতিমধ্যেই এনডিআরএফ দল মোতায়েন করা হয়েছে। কেন্দ্রের পক্ষ থেকে সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।’ ডিমা হাসাও-সহ অসমের আর যে সব জেলা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সেখানকার পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে রাজ্যের মুখ্যসচিবকে নির্দেশ দিয়েছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী।
বন্যা দুর্গত এলাকায় সবচেয়ে বড় সমস্যা মোবাইল পরিষেবার সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছিল৷ যার ফলে যাত্রী ও প্রশাসন সঠিকভাবে যোগাযোগ চালিয়ে যেতে পারছিল না। নিজেদের পরিবার ও আত্মীয় স্বজনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পারায় যাত্রীরা উদ্বিগ্ন ও আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।
ইতিমধ্যেই রেলটেল কর্পোরেশন তাই রেল স্টেশনগুলিতে বিনামূল্যের ওয়াই-ফাই পরিষেবা চালু করেছে৷ এই জটিল পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে সংযোগ স্থাপন করা গেছে পরিবার বা নিকটাত্মীয়ের সাথে৷ স্থানীয় রেলটেল কর্মীরা এই বিষয়ে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ রেখে এই দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার মধ্যেও স্বাভাবিক করে দিয়েছেন ওয়াই-ফাই পরিষেবা। যার ফলে যাত্রীদের পাশাপাশি সুবিধা হয়েছে রাজ্য প্রশাসন ও রেল প্রশাসনের। উদ্ধার কাজ ও ত্রাণ সামগ্রী পাঠানোর কাজে বিশেষ সুবিধা হয়েছে।
❤ Support Us