Advertisement
  • প্রচ্ছদ রচনা স | হ | জ | পা | ঠ
  • মার্চ ৩০, ২০২৩

মহাকাশ গবেষণায় বিরাট সাফল্য।বিজ্ঞানীদের অনুমান দৈত্যাকার কৃষ্ণ গহ্বরের খিদে মেটাতে লাগবে তিন হাজার কোটি সূর্য

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
মহাকাশ গবেষণায় বিরাট সাফল্য।বিজ্ঞানীদের অনুমান দৈত্যাকার কৃষ্ণ গহ্বরের খিদে মেটাতে লাগবে তিন হাজার কোটি সূর্য

দীর্ঘ দু’দশকের প্রচেষ্টার পর মহাকাশ দৈত্যাকার কৃষ্ণ গহ্বরের সন্ধান পাওয়া গেল। নাসার বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, অধুনালব্ধ ব্ল্যাক হোলটি সূর্যের যা ভর তার তুলনায় প্রায় ৩০০০ কোটি গুণ বেশি। তাঁদের অনুমান, প্রায় ৩০০০কোটি সূর্য হারিয়ে যেতে পারে বিশালাকার এই গর্তে।

নক্ষত্রের মৃত্যুর মধ্যে দিয়ে যে তীব্র মহাকর্ষ ক্ষেত্রের জন্ম হয় তাতে সমস্ত পদার্থ হারিয়ে যেতে থাকে। ক্ষুদ্র পরিসরে কেন্দ্রীভূত হতে থাকে পদার্থের ভর। শুষে নেয় সমস্ত আলো। তাই কৃষ্ণগহ্বর কখনোই দেখা যায় না। ডারহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আলেস্টেয়ার এজ  ২০০৪ সালে সর্বপ্রথম মহাকাশে আলোককণার বিচ্যুতি লক্ষ্য করেন।টেলিসস্কোপের সাহায্যে  তিনি দেখেন, মহাকাশে  আলো এক জায়গায় হারিয়ে যাচ্ছে।  তারপর তিনি এ নিয়ে গবেষণা শুরু করেন। পরবর্তী পর্যায়ে নাসা  ব্যপারে উদ্যোগ গ্রহণ করে। এ ব্যপারে তাঁরা দীর্ঘ গবেষণা চালিয়েছেন। তারপরে বিশালাকৃতি কৃষ্ণগহ্বরের অস্তিত্ব তাঁরা টের পেয়েছিলেন। এক্ষেত্রে উচ্চ মানের প্রযুক্তি ব্যবহার করে  ব্ল্যাক হোলের ছবি তারা সংগ্রহ করেছেন।

নাসার বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, মহাবিশ্বে দু ধরণের কৃষ্ণ গহ্বর রয়েছে যার মধ্যে একটি হল সূর্যের থেকে তিন ডজন গুণ ভরসম্পন্ন এবং সমগ্র আকাশগঙ্গা জুড়েই তার বিস্তৃতি। আর একধরনের গহ্বর রয়েছে যার দেখা কেবলমাত্র বড়ো বড়ো ছায়াপথে মেলে। সূর্যের ভরের তুলনায় ১,০০,০০০ বা তার বেশি ভর সম্পন্ন হয়। উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে কৃষ্ণ গহ্বরের অভিমুখে মহাকাশে আলোর গতিকে তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে পর্যবেক্ষণ করছিলেন, সেইসময়ই তাঁরা দেখতে পান আলোর কোনো এক জায়গায় গিয়ে হারিয়ে যাচ্ছে এবং তাঁর আর ফিরে আসার কোনো সম্ভাবনা নেই। নাসা সূত্রে খবর, মহাকাশে আলোর অভিমুখ পর্যবেক্ষণের জন্য হাবল টেলিস্কোপকে ব্যবহার করেছেন। বিজ্ঞানীদের আশা, আরো শক্তিশালী টেলিস্কোপের ব্যবহার করতে পারলে ভবিষ্যতে আরো দূরের কৃষ্ণ গহ্বর সম্পর্কে তাঁরা তথ্য আহরণ করতে পারবেন।


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!