- এই মুহূর্তে মা | ঠে-ম | য় | দা | নে
- ডিসেম্বর ৭, ২০২২
৭ বছর পর ভারতের বিরুদ্ধে সিরিজ জিতল বাংলাদেশ

২০১৫ সালে ভারতের বিপক্ষে ঘরের মাঠে প্রথম সিরিজ জিতেছিল বাংলাদেশ। ৭ বছর পর আবার ভারতের বিরুদ্ধে সিরিজ জয়ের স্বাদ পেল বেঙ্গল টাইগাররা। টানটান উত্তেজনার ম্যাচে শেষ দুই বলে ভারতের জয়ের জন্য দরকার ছিল ১২ রান। হৃদস্পন্দন বাড়িয়ে মুস্তাফিজুর রহমানের পঞ্চম বল গ্যালারিতে পাঠিয়ে দলকে জয়ের কাছে পৌঁছে দিয়েছিলেন রোহিত শর্মা। শেষ বলে জয়ের জন্য দরকার ছিল ৬। মুস্তাফিজুরের ইয়র্কার কোনও রকমে সামাল দেন রোহিত। ৫ রানে দ্বিতীয় একদিনের ম্যাচ জিতে নেয় বাংলাদেশ। দুরন্ত ব্যাটিং করেও দলকে জেতাতে পারলেন না রোহিত। ১ ম্যাচ বাকি থাকতেই ২–০ ব্যবধানে একদিনের সিরিজ জিতে নিল বাংলাদেশ।
এদিন টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। নেমে দ্বিতীয় ওভারেই আনামুল হককে (১১) তুলে নেন মহম্মদ সিরাজ। প্রাথমিক ধাক্কা সামলে অধিনায়ক লিটন দাস ও নাজমুল হোসেন শান্ত দলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। দশম ওভারে লিটন দাসকে (৭) তুলে নেন সিরাজ। এরপর উইকেটে জমে যাওয়া নাজমুল হোসেন শান্তকে (২১) ফেরান উমরান মালিক। বাংলাদেশের মিডল অর্ডারে ধস নামান ওয়াশিংটন সুন্দর। তুলে নেন সাকিব আল হাসান (২০ বলে ৮), মুশফিকুর রহিম (২৪ বলে ১২) ও আফিফ হোসেনকে (০)।
৬৯ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। সেখান থেকে দুর্দান্ত ব্যাটিং করে দলকে বিপর্যয়ের হাত থেকে টেনে তোলেন মেহেদি ও মাহমুদুল্লা। সপ্তম উইকেটের জুটিতে দুজনে তোলেন ১৪৮ রান। ৪৭ তম ওভারে মাহমুদুল্লাকে তুলে নিয়ে জুটি ভাঙেন উমরান মালিক। ৯৬ বলে ৭৭ রান করেন মাহমুদুল্লা। এরপর নাসুম আহমেদের সঙ্গে অসমাপ্ত ৫৪ রানের জুটি গড়ে বাংলাদেশকে ২৭১/৭ রানে পৌঁছে দেন মেহেদি হাসান মিরাজ। ৮৩ বলে জীবনের প্রথম সেঞ্চুরি পূর্ণ করে অপরাজিত থেকে যান মেহেদি। ১১ বলে ১৮ রান করে অপরাজিত থাকেন নাসুম আমেদ। ওয়াশিংটন সুন্দর ৩টি এবং মহম্মদ সিরাজ ও উমরান মালিক ২টি করে উইকেট নেন।
জয়ের জন্য ২৭২ রানের লক্ষ্য নিয়ে ব্যাট নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় ভারত। ভারতকে প্রথম ধাক্কা দেন এবাদত হোসেন। দ্বিতীয় ওভারেই তিনি কোহলির (৫) স্টাম্প ছিটকে দেন। ফিল্ডিং করার সময় আঙুলে চোট পেয়েছিলেন রোহিত শর্মা। মাঠ থেকে সোজা হাসপাতালে। তাঁর পক্ষে ব্যাট করতে নামা সম্ভব ছিল না। ফলে সিরিজ বাঁচানোর ম্যাচে শিখর ধাওয়ানের সঙ্গে ওপেন করতে নেমেছিলেন বিরাট কোহলি। এরপর শিখর ধাওয়ানকে (৮) তুলে নিয়ে ভারতকে চাপে ফেলে দেন মুস্তাফিজুর রহমান। ব্যাটিং অর্ডারে এদিন ৪ নম্বরে তুলে নিয়ে আসা হয়েছিল ওয়াশিংটন সুন্দরকে (১১)। শ্রেয়স আয়ারের সঙ্গে জুটি গড়ার চেষ্টা করছিলেন। ওয়াশিংটনকে তুলে নিয়ে জুটি ভাঙেন সাকিব। কোহলি, ধাওয়ান আউট। চোটের জন্য ব্যাট করতে নামতে পারেননি রোহিত। আশা ছিল লোকেশ রাহুলকে ঘিরে। কিন্তু দলীয় ৬৫ রানের মাথায় মেহেদি হাসানের বলে এলবিডব্লিউ–র ফাঁদে পড়ে লোকেশ (১৪)।
এরপর অক্ষর প্যাটেলের সঙ্গে জুটি বেঁধে দলকে টেনে তোলেন শ্রেয়স। দুজনের জুটিতে ওঠে ১০৭। এই জুটিই ভারতকে জয়ের স্বপ্ন দেখাচ্ছিল। শ্রেয়সকে তুলে নিয়ে ভারতকে বড় ধাক্কা দেন মেহেদি হাসান। ১০২ বলে ৮২ রান করে আউট হন শ্রেয়স। অন্যদিকে অক্ষর প্যাটেলকে (৫৬ বলে ৫৬) তুলে নিয়ে ভারতের জয়ের আশা শেষ করে দেন এবাদত হোসেন। ৪৩ তম ওভারে শার্দুল আউট (৭) হওয়ার পর ব্যাট করতে নামেন রোহিত। শেষ দিকে ঝড় তুলে আশা জাগিয়েছিলেন। কিন্তু দলকে জয়ের মুখ দেখাতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত ৫০ ওভারে ২৬৬/৯ তোলে ভারত। ২৮ বলে ৫১ রান করে অপরাজিত থাকেন রোহিত। এবাদত হোসেন ৩টি, মেহেদি হাসান ও সাকিব ২টি করে উইকেট নেন।
❤ Support Us