- এই মুহূর্তে দে । শ
- ডিসেম্বর ২৬, ২০২২
রেল প্রকল্পের দুর্নীতির মামলায় বিপাকে লালু

ফের বিতর্কে লালু। রেলের দুর্নীতির পুরনো এক মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে আবার তদন্ত শুরু করল সিবিআই।
বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালু প্রসাদ যাদব আবার সংবাদ শিরোনামে। রেলের প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত পুনরায় নতুন করে শুরু হতে চলেছে। ইউপিএ-১ সরকার থাকাকালে রেল প্রকল্পের একটি দুর্নীতিতে তাঁর নাম উঠে আসে । সিবিআই ২০১৮ সাল থেকে এই মামলার তদন্ত শুরু করেছিল। ২০২১ সালে এই তদন্ত সিবিআই বন্ধ করে দেয়। সিবিআই-এর পক্ষ থেকে বলা হয় যে শুধুমাত্র অভিযোগের ভিত্তিতে একটি মামলা দীর্ঘদিন চালানো যায় না। উল্লেখ্য, এই মামলায় লালু ছাড়াও অভিযুক্ত ছিলেন বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব, তাঁর দুই কন্যা রাগিণী ও চন্দা যাদব।
২০০৪ সালে ইউপিএ-১ সরকারের আমলে রেলমন্ত্রী হন লালু প্রসাদ যাদব। ২০০৯ পর্যন্ত সেই পদে আসীন ছিলেন। সেই সময়কালে মুম্বইয়ের বান্দ্রায় রেলের একটি প্রকল্প ও দিল্লির রেল স্টেশনকে নতুন করে সাজিয়ে দেওয়ার বরাত পাইয়ে দিয়েছিলেন রিয়েল এস্টেট এজেণ্ট ডিএলেফ গ্রুপকে। বিনিময়ে দক্ষিণ দিল্লির বাংলো ঘুষ হিসেবে তিনি পেয়েছিলেন। অভিযোগ, বাজারদরের চেয়ে খুব কম মাত্র পাঁচ কোটি টাকায় বাংলোটি কিনেছিল ডিএলএফের ভুয়ো কোম্পানিটি। পরে তেজস্বী যাদব ওই কোম্পানিটিকে কিনে নেন।
প্রসঙ্গত,কয়েকমাস আগে নীতিশ কুমারের দল বিজেপির জোট পরিত্যাগ করে আরজেডির সঙ্গে মিলে নতুন মহাগঠবন্ধন সরকার গঠন করেছিলেন। নীতিশ হয়েছিলেন নতুন জোট সরকারের মুখ্যমন্ত্রী। এখন সিবিআই কর্তৃক লালুর বিরুদ্ধে পুরনো মামলায় পুনঃর্তদন্ত শুরু করায় বিজেপির প্রতিহিংসার রাজনীতিকে দুষছেন নীতিশ। অন্যান্য বিরোধী দলও কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলোকে নিজেদের রাজনৈতিক ফায়দার জন্য ব্যবহারের অভিযোগে সরব হয়েছে। সব মিলিয়ে সিবিআই এর এই পুনঃর্তদন্ত জাতীয় রাজনীতিতে দুর্নীতি ইস্যুতে আবার কোনো নতুন ঝড় তুলবে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন দেশের রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
❤ Support Us