- প্রচ্ছদ রচনা
- জুন ২৭, ২০২২
পড়ুয়া মেয়েদের উদ্দেশ্যে সজল মুখ্যমন্ত্রী, ‘বিয়ের জন্য তাড়াহুড়ো করো না । উচ্চশিক্ষার ব্যবস্থা পাকাপোক্ত, রেডি ৩০ হাজার চাকরি।
পূর্ব বর্ধমান আর পশ্চিম বর্ধমানকে ঘিরে তিন দিনের সফর । আজ পূর্ব বর্ধমানের বর্ধমান শহর ছোঁওয়া গোদা বালির মাঠে সরকারি অনুষ্ঠানে যোগ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী সফরে পৌঁছে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । সেখান থেকেই শাণিত আর ব্যাঙ্গার্থক ভাষায় বিজেপির সমালোচনার মুখোর হল বাংলার চেনা, তেজোদ্বীপ্ত কণ্ঠ। পাশাপাশি রাজ্য বিভিন্ন সুবিধা-অসুবিধার খণ্ডচিত্রও তুলে ধরলেন — ‘স্বাস্থ্যসাথী কার্ড যে সব হাসপাতাল নেবে না, পুলিশকে আমি বলে দিয়েছি তাদের বিরুদ্ধে এফআইআর করুন। হেলথ ডিপার্টমেন্টকেও বিষয়টি জানতে হবে।’
পড়ুয়া মেয়েদের উদ্দেশ্যে মমতার বার্তা—’বিয়ের জন্য তাড়াহুড়ো করো না। মা’কে বলো এই সরকার বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়ার সুযোগ করে দিয়েছে। কর্মসংস্থান মেলা হয়েছে, ৩০ হাজার চাকরি রেডি। আমরা বিজেপির মতো নয়। বিজেপি বলছে চার বছর ট্রেনিং নিয়ে চার বছর চাকরি! তা দিয়ে সারাজীবন চলবে? চার বছর এর জন্য নয়, চাকরিটা ৬০ বছরের জন্য দিতে হবে। আমরা দাবি করছি। সম্ভব হলে ৫ বছর বাড়িয়ে চাকরির মেয়াদ ৬৫ করে দিতে হবে।’
বিজেপির লোকেরা ১০০ দিনের টাকা বন্ধ করে দিয়েছে। ৬ মাস ধরে টাকা দিচ্ছে না। টাকা দাও, নয়তো বিজেপি বিদায় নাও। বাংলার বাড়ি, বাংলার সড়কের টাকাও ওরা আটকে দিয়েছে। আমি প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছিলাম। দেখি কী হয়, না হলে আমাকে দিল্লি যেতে হবে, সমস্যার সমাধানে আমি লড়ে যাব । গুজরাতের নামে বাড়ি হতে পারে, কিন্তু ‘বাংলার বাড়ি’ নিয়েই যত আপত্তি। আমরা বলছি, বাংলা নাম চলবে। দেশের নামও চলবে। সত্য কথা বললেই বিজেপি ইডি, সিবিআইয়ের ভয় দেখাচ্ছে। এইভাবে দেশ চলে? আজ দেখলাম, মহারাষ্ট্রের একজন নেতার সমস্ত সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে দিয়েছে। খোঁজ নিয়ে দেখুন কত ব্যবসায়ী দেশ ছেড়ে চলে গেছেন। এত ভয়ে ভয়ে মানুষ কেন থাকবে?’
❤ Support Us