শিবভোলার দেশ শিবখোলা
শিবখোলা পৌঁছলে শিলিগুড়ির অত কাছের কোন জায়গা বলে মনে হয় না।যেন অন্তবিহীন দূরত্ব পেরিয়ে একান্ত রেহাই পাবার পরিসর মিলে গেছে।
বিচ্ছিন্ন দেরনায় সহায়তা পেতে একসাথে কাজ করুন, বলছেন প্রাক্তন ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত। প্রাক্তন ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত বিবিসিকে বলেছেন, দেরনা লিবিয়ার খুব প্রত্যন্ত অঞ্চলে অবস্থিতএবং “বছর ধরে অবহেলিত”। বিবিসি রেডিও ৫ লাইভে বক্তৃতা করতে গিয়ে প্রাক্তন ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত পিটার মিলেট বলেছেন যে পূর্বাঞ্চলীয় শহরটিতে ওই জায়গায় পৌঁছন খুব কঠিন, জায়গাটি দুর্গম, ওখানে শুধুমাত্র একটি সরু রাস্তা রয়েছে। ওখানে জরুরী সহায়তা “এখনই প্রয়োজন, পরের সপ্তাহে নয়।” এদিকে লিবিয়ায় বন্যা পরবর্তী জলবাহিত রোগে মানুষের মৃত্যু নিয়ে লিবিয়া প্রশাসনকে সতর্ক করেছে জাতিসংঘ এবং এই সমস্যা নিরসনে তারা কাজ শুরু করার লক্ষ্যে এগোচ্ছে, কারণ জাতিসংঘের রিপোর্টে বলা হয়েছে বন্যাবিধ্স্ত এলাকার নলকূপগুলি দূষিত হয়ে গিয়েছে।
তিনি বলেছেন দেশকে বিভক্তকারী প্রতিদ্বন্দ্বী দলগুলিকে এখন একটি কেন্দ্রীয় সমন্বিত ইউনিটের হিসেবে একত্রিত হতে হবে, জাতিসংঘ এবং অন্যান্য বড় সাহায্য সংস্থাগুলির মাধ্যমে দ্রুত ডেরনায় সাহায্য পেতে এই কাজ করা প্রয়োজন। তিনি আরও বলেন, “আমি এখন পর্যন্ত যা দেখেছি, দুই সরকার একসঙ্গে কাজ করছে না, অর্থ একদিকে, নিয়ন্ত্রণ অন্যদিকে।”
এখন লিবিয়ায় শুধু স্বজন হারানোর আর্তি। একজন বলছিলেন, ‘আমি পরিবারের অন্তত ৫০ সদস্যকে হারিয়েছি।’
লিবিয়ার বাসিন্দরা এখন মারাত্মক বন্যায় পুরো পরিবার হারানোর কথাই এখন শুধু বলছে।
উসামা আল হুসাদি, একজন ৫২ বছর বয়সী ড্রাইভার, যিনি দুর্যোগের সময় রাতে কাজ করছিলেন, তিনি সর্বত্র খোঁজাখুঁজির পরেও তার স্ত্রী এবং পাঁচ সন্তানকে খুঁজে পাননি। তাঁর স্ত্রীর ফোন সেই সময় বন্ধ ছিল। কাঁদতে কাঁদতে তিনি রয়টার্স নিউজ এজেন্সিকে একজন বলেন, “আমার বাবার পরিবারের অন্তত ৫০ জন সদস্যকে আমি হারিয়েছি, এদের কেউ. নিখোঁজ কেউ মৃত।”
ওয়ালি এদ্দিন মোহাম্মদ, ২৪ বছর বয়সী ইটখোলার ইটখোলার শ্রমিক, তিনি তাঁর পরিবারের ১৫ সদস্য এবং ৯ জন বন্ধুকে হারিয়েছেন।
তিনি রয়টার্সকে বলেন, “পুরো উপত্যকাটি সমুদ্রে ভেসে গেছে। আল্লাহ তাদের করুণা করুন এবং তাদের স্বর্গ প্রাপ্তি করুণ।”
লিবিয়া প্রায় এক দশক ধরে পূর্ব ও পশ্চিমে প্রতিদ্বন্দ্বী সরকারের মধ্যে বিভক্ত। ১৯৫১ সালে স্বাধীনতা লাভ না হওয়া পর্যন্ত এবং ১৯৬৯ সালে স্বৈরশাসক কর্নেল মুয়াম্মার গাদ্দাফির নিয়ন্ত্রণে না আসা পর্যন্ত দেশটি কয়েক শতাব্দী ধরে বিদেশী নিয়ন্ত্রণে ছিল। ২০১১ সালে পশ্চিমা সামরিক হস্তক্ষেপে সহায়তা করা বিদ্রোহে গাদ্দাফির পতন ও তিনি নিহত হওয়ার আগে পর্যন্ত তিনি স্বৈরাচারী শাসন চালিয়ে যান।
২০১৪ সালে, লিবিয়া দুটি প্রশাসনের মধ্যে বিভক্ত হওয়ার সাথে নতুন করে আবার লড়াই শুরু হয় – একটি পূর্ব ভিত্তিক এবং একটি পশ্চিমে রাজধানী ত্রিপোলিতে। দুই পক্ষ ২০২০ সালে একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে কিন্তু রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা এখনও অব্যাহত রয়েছে।
২০২১ সালে, আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত প্রধানমন্ত্রী হিসাবে আবদুল হামিদ দ্বেইবেহকে নিয়ে ত্রিপোলিতে একটি জাতীয় ঐক্যের সরকার গঠিত হয়েছিল, কিন্তু পরের বছর পূর্ব-ভিত্তিক সংসদ একটি প্রতিদ্বন্দ্বী গঠন করেছিল এবং একইভাবে গঠিত সরকারের নাম দেওয়া হয়েছিল জাতীয় স্থিতিশীলতার সরকার।
বন্যার আগে দেরনার স্যাটেলাইট চিত্রগুলি একটি নদী দ্বারা সুন্দরভাবে দ্বিখণ্ডিত একটি শহরকে দেখাচ্ছিল। দুটি সেতুর সংযোগস্থল দখল করে জুড়ে রয়েছে গাছ এবং সবুজ প্রান্তর।
কিন্তু বন্যার পরে স্যাটেলাইট ছবিতে শুধুই ধ্বংসের মানচিত্র দেখা যাচ্ছে। ডানদিকে শহরের কয়েক ডজন এলাকা সম্পূর্ণভাবে ভেসে গেছে এবং পুরো শহর লাল কাদাতে ছেয়ে গেছে।
জাতিসংঘ জলবাহিত রোগের ঝুঁকি সম্পর্কে লিবিয়াকে সতর্ক করেছে। লিবিয়ায় দূষিত জল থেকে রোগের ঝুঁকি আছে। এই কারণে জাতিসংঘ লিবিয়াকে সতর্ক করে বার্তা দিয়েছে।
ইউএন অফিস ফর দ্য কো-অর্ডিনেশন অফ হিউম্যানিটারিয়ান অ্যাফেয়ার্সের মুখপাত্র জেনস লায়েরকে বিবিসি রেডিও ৪-এর টুডে প্রোগ্রামকে বলেন, লিবিয়ায় নলকূপ ব্যবস্থা দূষিত হয়ে গিয়েছে এই বন্যার ফলে। অথচ মানুষকে জল পান করতে হবে এবং যদি তারা দূষিত জল পান করতে শুরু করে, তাহলে এর মধ্যে আবার জলবাহিত রজার প্রকোপ দ্রুত যেমন বাড়বে তেমন মৃত্যুও বাড়বে। যদি আমরা এই জলবাহিত রোগের সম্ভাবনাগুলোকে তার চিহ্নিত করে তা বন্ধ করতে না পারি তাহলে বিপদ আরও বাড়বে।” জাতিসংঘের প্রতিনিধি দেরনায় রয়েছে এবং সে দেশে তাদের মজুত খাদ্য ওই দুর্গত এলাকায় বন্টনের নির্দেশ জাতিসংঘ দিয়েছে।
লায়েরকে বলেছেন: “আমরা এই মুহুর্তে সম্ভাব্য সব সাহায্যের জন্য ছুটে চলেছি। আসলে সবকিছুই হাতের মুঠোয়। আমরা একটি বিশেষ ত্রাণ দল পাঠাচ্ছি যারা সামনে থাকা অনেক কাজের সমন্বয়ে সহায়তা করার জন্য এগিয়ে আসা মানুষদের সাথে কাজ করতে যাচ্ছে।”
মিশর, তুরস্ক এবং কাতার থেকে উদ্ধারকারী দল পৌঁছেছে ইতিমধ্যেই লিবিয়ায় পৌঁছেছে। বিধ্বস্ত শহর দেরনার মেয়র অনুমান করেছেন যে প্রায় ২০,০০০ মানুষ এই ভয়াবহ বন্যায় প্রাণ হারাতে পারে।
শিবখোলা পৌঁছলে শিলিগুড়ির অত কাছের কোন জায়গা বলে মনে হয় না।যেন অন্তবিহীন দূরত্ব পেরিয়ে একান্ত রেহাই পাবার পরিসর মিলে গেছে।
সৌরেনির উঁচু শিখর থেকে এক দিকে কার্শিয়াং আর উত্তরবঙ্গের সমতল দেখা যায়। অন্য প্রান্তে মাথা তুলে থাকে নেপালের শৈলমালা, বিশেষ করে অন্তুদারার পরিচিত চূড়া দেখা যায়।
মিরিক নামটি এসেছে লেপচা ভাষার “মির-ইওক” শব্দ থেকে, যার অর্থ আগুনে পুড়ে যাওয়া জায়গা।
15:34