Advertisement
  • এই মুহূর্তে দে । শ
  • সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২৩

ধূপগুড়ির তৃণমূল বিধায়ক নির্মল চন্দ্রের শপথ সংঘাতের নতুন মোড়, ‘তৃতীয়’ কাউকে দায়িত্ব দিতে ভাবনা রাজভবনের

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
ধূপগুড়ির তৃণমূল বিধায়ক নির্মল চন্দ্রের শপথ সংঘাতের নতুন মোড়, ‘তৃতীয়’ কাউকে দায়িত্ব দিতে ভাবনা রাজভবনের

ধূপগুড়ি উপনির্বাচনের বিজয়ী তৃণমূল প্রার্থীর শপথ গ্রহণে ব্যতিক্রমী পথ নিতে পারেন রাজ্যপাল। স্পিকার অথবা ডেপুটি স্পিকারকে দিয়ে শপথ রং না করিয়ে ‘তৃতীয়’ কাউকে মনোনীত করার কথা ভাবছে রাজভবন, সরকারি সূত্রে এমনটাই জানা যাচ্ছে। এই সূত্রে এ রাজ্যে পরিষদীয় রাজনীতিতে প্রবীণ এক বিধায়কের কথাও শোনা যাচ্ছে সরকারি মহলের এই চর্চায়। পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় অবশ্য বুধবারও জানিয়েছেন, এ ব্যাপারে রাজ্যপালের তরফে তাঁদের নতুন করে কিছু জানানো হয়নি।

ধূপগুড়ি উপনির্বাচনে বিজয়ী নির্মল চন্দ্র রায়ের বিধায়ক হিসেবে শপথ গ্রহণ ঘিরে রাজভবন ও নবান্নের মধ্যে দফায় দফায় চিঠি চালাচালির মধ্যেই রাজভবনের এই নতুন ভাবনা সামনে আসায় চাঞ্চল্য শুরু হয়েছে। শপথ গ্রহণের দায়িত্ব পালনের জন্য স্পিকার বা ডেপুটি স্পিকারের বদলে একটি তৃতীয় মুখের কথা ভাবা হয়েছে বলে রাজভবন সূত্রে জানা যাচ্ছে। শেষ পর্যন্ত তা চূড়ান্ত হলে সরকার পক্ষ কী পদক্ষেপ নেয়, তা নিয়েও রাজনৈতিক স্তরে কথাবার্তা শুরু হয়েছে। পরিষদীয় রাজনীতি করা প্রবীণ ব্যক্তিদের বক্তব্য, ‘‘শপথ গ্রহণের দায়িত্ব রাজ্যপালের। সংবিধানে স্পষ্ট করে বলা রয়েছে, নিজে তা না করলে সেই কাজে অন্য কাউকে একমাত্র তিনিই মনোনীত করতে পারেন। সেখানে স্পিকার বা ডেপুটি স্পিকারের কথা বলা নেই।’’ এদিকে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ও জানিয়েছেন, ‘‘এখনও পর্যন্ত শপথগ্রহণের দিনক্ষণ সম্পর্কে বিধানসভাকে কিছু জানানো হয়নি।’’

এই অবস্থায় রাজভবনের ব্যতিক্রমী ভাবনার এই ‘তৃতীয় মুখ’ কে হতে পারেন, তা নিয়েও জল্পনা শুরু হয়েছে। মনে করা হচ্ছে, পরিষদীয় রাজনীতিতে, বিশেষ করে বিধানসভায় দীর্ঘ অভিজ্ঞতা আছে, এমন গুরুত্বপূর্ণ কোনও বিধায়ককেই এই দায়িত্ব দিতে পারেন রাজ্যপাল। এই মুহূর্তে রাজ্য বিধানসভায় এই রকম হাতে গোনা কয়েক জন রয়েছেন। বিধানসভায় প্রতিনিধিত্বের সূত্রে এ ক্ষেত্রে অনেকের থেকে এগিয়ে রয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরী। এই মুহূর্তে রাজ্য বিধানসভায় সব থেকে পুরনো এই বিধায়ককেই বিজয়ী তৃণমূল প্রার্থীর শপথগ্রহণ করানো দায়িত্ব দিতে পারেন রাজ্যপাল, এমন সম্ভাবনাও রয়েছে। তবে চোপড়ার বিধায়কের কাছে এখনও পর্যন্ত এই রকম কোনও বার্তা যায়নি। প্রসঙ্গত চোপড়ার তৃণমূল বিধায়কের এই মুহূর্তে তৃণমূলের সঙ্গে হালকা সংঘাত চলছে। তাই রাজ্য সরকার শপথ গ্রহণের কাজে চোপড়ার১১ বারের বিধায়কের নাম মেনে নেবে কি না সেটা বড় প্রশ্ন তুলে দিচ্ছে।


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!