শিবভোলার দেশ শিবখোলা
শিবখোলা পৌঁছলে শিলিগুড়ির অত কাছের কোন জায়গা বলে মনে হয় না।যেন অন্তবিহীন দূরত্ব পেরিয়ে একান্ত রেহাই পাবার পরিসর মিলে গেছে।
করোনা সংক্রমণ, আমফান ঝড় এবং তারপর উত্তর ভারতের সীমান্তে নেপাল এবং চিনের আগ্রাসন। ত্রিমুখী ঝঞ্ঝায় বিপর্যস্ত ভারত। যদিও, করোনা জনিত লকডাউনের আগে থেকেই জটিল ছিল ভারতের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি। সঙ্কটের এই কাল অতিক্রম করে, দেশের অর্থনৈতিক গ্রাফ কীভাবে চাঙ্গা হবে, সে নিয়ে উদ্বেগে গোটা দেশ। অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞদের অভিমত, কোনো জাদু বলে, হঠাৎ করে চাঙ্গা হবে না ভারতীয় অর্থনীতি। বরং পরিস্থিতি সামাল দিতে সময় লাগবে বিস্তর। তাই দেশের আর্থিক অবস্থার পুনরুদ্ধারের রেখাচিত্র ইংরেজি বর্ণ V এর মতো না হয়ে, বরং W বা U আকৃতির হবে। অর্থাৎ, অর্থনৈতিক পরিস্থিতি আরও জটিল হবে।
করোনা পরিস্থিতির জেড়ে, লকডাউনের অনেক আগে থেকেই, ভারতে জিডিপির হার ঠেকেছিল একদম তলানিতে। ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে, বিশ্বের অর্থনৈতিক অবস্থা যখন পুনরুত্থানের দিকে অগ্রসর হচ্ছিল, ভারতের অবস্থান ছিল বিপরীতমুখী। গত আর্থিক বছরে, ভারতের জিডিপি বৃদ্ধির হার ছিল ৪.৫ শতাংশেরও নীচে। আজ, সোমবার এই বিষয়ে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে সেন্ট্রাম ইন্সস্টিটিউশন্যাল রিসার্চ।
দেশের অর্থনৈতিক অবস্থাকে চাঙ্গা করতে, কেন্দ্রীয় সরকার এবং ভারতের মুখ্য আর্থিক প্রতিষ্ঠান রিজার্ভ ব্যাঙ্ক, যে মুহুর্তে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপের উদ্যোগ নিতে শুরু করে, তখনই করোনার করাল ছায়া গ্রাস করে গোটা দেশকে। ফলে আর্থিক বিকাশ আরও পিছিয়ে যায়।
সংস্থার রিপোর্ট বলছে, অতিমারি করোনাকে রুখতে, মোদি সরকারের দ্রুত লকডাউনের সিদ্ধান্ত, কোভিড-১৯ এর উত্তরন হয়তো খানিকটা মন্দীভূত হয়েছে। কিন্তু দেশের আর্থিক পরিস্থিতি আরও জটিল এবং সঙ্কটে পরেছে। শেষ দুই আর্থিক বছরে, ভারতীয় অর্থনৈতিক বৃদ্ধির হার ছিল তলানিতে। এর আগে আর্থিক অবস্থাকে চাঙ্গা করতে এবং উৎপাদনের নিরিখে ক্রেতা চাহিদা বাড়তে, কেন্দ্রীয় সরকারের নীতিও দুর্বল ছিল। তাই দেশের আর্থিক অবস্থার পুনরুদ্ধারের রেখ W বা U আকৃতিরই হবে। অর্থাৎ, পরিস্থিতি শুধরাতে সময় লাগবে অনেকটাই বেশী, আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন দেশের তাবড় অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞ এবং বণিকমহল।
অর্থনীতির মন্দাকে বিশ্লেষণ করা হয়, সাধারণত তিনটি রেখচিত্রের মাধ্যমে। V, W বা U আকারে। এদের মধ্যে V আকৃতি বিশিষ্ট মন্দায় অর্থনীতি নিম্নমুখী হয় ধীরে ধীরে, কিন্তু আর্থিক অবস্থার পুনরুদ্ধার হয় দ্রুত গতিতে। W আকারের মন্দা আসে ধীরে ধীরে, কিন্তু আর্থ সামাজিক পরিস্থিতি উন্নয়নের ভ্রান্ত ইঙ্গিত দিয়ে আবারও মন্দা তরান্বিত হয়। অর্থাৎ অর্থনৈতিক অধোগতি ফিরে আসে দুবার। বাড়ে অনিশ্চয়তা, ক্রেতা চাহিদা ঠেকে তলানিতে । U আকৃতির রেখাচিত্রে অর্থনৈতিক অবস্থা, ক্রেতা চাহিদা তলানিতে ঠেকে দ্রুত কিন্তু V এর মতোই অবস্থার পুনরুদ্ধারও হয় দ্রুত। অর্থাৎ বাজারে স্বাচ্ছন্দ্য ফেরে W আকারের রেখচিত্রের চেয়ে আগে।
২৫ মার্চ, দেশ জুড়ে পুরোপুরি লকডাউন জারি হওয়ার পর থেকেই, মানুষ বাড়িতে আবদ্ধ। এই রিপোর্ট বলছে, লকডাউনের ফলে, করোনা অতিমারির দ্রুত সংক্রমণ এবং মৃত্যুর হার কমেছে। বিশেষজ্ঞদের অভিমত, বিশ্বের নানান দেশ করোনায় যেখানে জেরবার, সেখানে ভারত এখনো সংক্রমণের হার শীর্ষে পৌঁছয়নি । নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহের পর করোনা প্রকোপ চরমে উঠবে । ফলে দেশের আর্থিক অবস্থার আরও অধঃপতন হবে। করোনা শঙ্কায় দেশের গৃহবন্দী মানুষ নতুন বিনিয়োগে যাবে না, অর্থাৎ ক্রেতা চাহিদা ঠেকবে তলানিতে। ফলে দেশের আর্থিক পরিস্থিতি, ২০২৩ সালের আগে স্বাভাবিক হবে না বলেই বিশেষজ্ঞদের অভিমত। কারন, আগে থেকেই বাজারে ক্রেতা চাহিদা ঠেকেছিল তলানিতে।
অর্থনীতিবিদরা একটাই আশার খবর শুনিয়েছেন, যে শহরের তুলনায় খানিকটা ভালো অবস্থায় থাকবে গ্রামীন অর্থনীতি। পাশাপাশি এই রিপোর্ট আরও বলা হয়েছে, করোনা প্রকোপে, বিশ্বজুড়েই দুর্বল হয়েছে অর্থনীতি। কোভিড সংক্রমণ রুখতে ভ্যাকসিন এখনো পাওয়া যায়নি। তাই পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে, নতুন করে জীবন-জীবিকার অনুসন্ধান করছে নানা দেশ। প্রচলিত অনেক শিল্পই, যেমন বিনোদন, আবাসন, নির্মান শিল্প, এয়ারলাইন শিল্পকে বাঁচাতে নতুন করে ভাবতে হবে।
শিবখোলা পৌঁছলে শিলিগুড়ির অত কাছের কোন জায়গা বলে মনে হয় না।যেন অন্তবিহীন দূরত্ব পেরিয়ে একান্ত রেহাই পাবার পরিসর মিলে গেছে।
সৌরেনির উঁচু শিখর থেকে এক দিকে কার্শিয়াং আর উত্তরবঙ্গের সমতল দেখা যায়। অন্য প্রান্তে মাথা তুলে থাকে নেপালের শৈলমালা, বিশেষ করে অন্তুদারার পরিচিত চূড়া দেখা যায়।
মিরিক নামটি এসেছে লেপচা ভাষার “মির-ইওক” শব্দ থেকে, যার অর্থ আগুনে পুড়ে যাওয়া জায়গা।
15:34