Advertisement
  • দে । শ
  • ফেব্রুয়ারি ৩, ২০২৫

ভাগীরথীতে ভাঙন আতঙ্ক ছড়াল নাদনঘাটে

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
ভাগীরথীতে ভাঙন আতঙ্ক ছড়াল নাদনঘাটে

ফের ভাঙতে শুরু করেছে ভাগীরথী। নাদনঘাটের নসরৎপুর পঞ্চায়েত এলাকার কিশোরীগঞ্জে। গত ৫ দিন ধরে ভাঙতে ভাঙতে জনপদের গায়ে এসে ধাক্কা দিচ্ছে নদী। আতঙ্কে কেউ রাত জাগছেন, কেউ ভিটে ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছেন। এর আগে বহুবার ভাগীরথীর ভাঙনের কবলে পড়েছে নসরৎপুর পঞ্চায়েতের অন্তর্গত ভাগীরথী লাগোয়া বিভিন্ন গ্রাম। বিঘার পর বিঘা চাষের জমি, ভিটেমাটি চলে গেছে ভাগীরথীর পেটে। মাস চারেক আগে নদী ভাঙনে গ্রামের একটি রাস্তা মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সেচ দপ্তর খাঁচা ফেলে মেরামত করে। কিন্তু শীতের সময়ে ভাঙনে এলাকার বাসিন্দাদের কপালে দুশ্চিন্তার ভাঁজ। যেভাবে ভাঙছে, তাতে আস্ত গ্রামটাই নদীগর্ভে চলে যাওয়ার আশঙ্কা দানা বাঁধছে। বড় পরিকল্পনা ছাড়া স্থায়ী ভাঙন রোধ করা যাবে না বলে মনে করছেন এলাকার লোকজন।
এলাকায় গিয়ে দেখা গেল, ভাঙনের ফলে নদী পারের প্রায় ২০০ মিটার এলাকা জুড়ে লম্বা ফাটল দেখা দিয়েছে। গ্রামে যাতায়াতের রাস্তাটিও ভাঙনের শিকার। এক্ষুণি ব্যবস্থা না নিলে বর্ষায় পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ রূপ ধারণ করবে বলে আশঙ্কা এলাকার বাসিন্দাদের। নারায়ণ মজুমদার, মিলন বৈরাগ্যরা জানালেন, ‘এই অঞ্চলের মানুষের জীবিকা প্রধানত কৃষিকাজ। ভাগীরথীর পারে বিভিন্ন রকম ফসল চাষাবাদ করে জীবিকা নির্বাহ করেন তারা। সেই সমস্ত জমিই যদি ভাঙনের ফলে নদীগর্ভে চলে যায় তাহলে কীভাবে বাঁচবে তারা?’ সংশ্লিষ্ট পূর্বস্থলী পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি দিলীপ মল্লিক বলেন, ‘কিশোরীগঞ্জ এলাকাটি ভাঙন প্রবণ। এর আগে ওখানে ভাঙন রোধে সেচ দপ্তর কাজ করেছিল। নতুন করে ভাঙনের বিষয়টি সেচ দপ্তরের নজরে আনছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ পূর্ব বর্ধমান জেলার কেতুগ্রাম থেকে কাটোয়া, পূর্বস্থলী, নবদ্বীপ হয়ে কালনা পর্যন্ত ভাগীরথীর ভাঙন মোকাবিলায় বিস্তারিত রিপোর্ট তৈরি করে কেন্দ্র সরকারকে পাঠিয়েছেন। কিন্তু কেন্দ্র সরকার ন্যূনতম উদ্যোগ নেয়নি।’


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!