Advertisement
  • বি। দে । শ
  • মে ১১, ২০২৪

‌পৃথিবীর বাইরেও প্রাণের অস্তিত্ব?‌ লাস ভেগাসে তোলা ভিডিও জুড়ে আলোড়ন

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
‌পৃথিবীর বাইরেও প্রাণের অস্তিত্ব?‌ লাস ভেগাসে তোলা ভিডিও জুড়ে আলোড়ন

আপনি কি বিশ্বাস করেন যে পৃথিবীর বাইরেও প্রাণের অস্তিত্ব আছে?‌ সম্প্রতি লাস ভেগাস এলিয়েন এনকাউন্টারের একটি বহুল আলোচিত ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। আর সেই ভিডিও দেখলে পৃথিবীর বাইরে প্রাণের অস্তিত্বের বিষয়টি বিশ্বাস করতে বাধ্য। বিশেষজ্ঞরা দাবি করেছেন যে, লাস ভেগাসের একটা বাড়ির বাইরে কথিত এলিয়েন এনকাউন্টার দেখানো ভাইরাল হওয়া ভিডিওটি আসল, নকল নয়। আর ভিডিওটি সত্য বলে অনেকটাই হতবাক।

২০২৩ সালের এপ্রিলে  লাস ভেগাসের কিশোর অ্যাঞ্জেল কেনমোর একটা ভিডিও শ্যুট করেছিলেন। সেই ভিডিওতে ৮ থেকে ১০ ফুট উচ্চতার প্রানীর অস্তিত্ব দেখা গিয়েছিল। যাদের দেখতে এলিয়েনের মতো। বড় বড় চোখ। নিজেদের বাড়ির বেড়ার পোস্টের ওপর ভিন গ্রহের প্রাণীদের দেখে কোনমোর ও তার পরিবার আতঙ্কে পালিয়ে যায় ও ৯১১ নম্বরে ডায়াল করে। পরে ইউটিউব ভিডিওতে কেনমোর সেই প্রাণীটিকে বর্ণনা করে, ‘ধূসর সবুজ রঙের একটা লম্বা, চর্মসার, প্রাণী’‌ হিসেবে। ভিডিওতে কেনমোর প্রাণীটি সম্পর্কে ব্যাখ্যা দেয়, ‘‌তারা অনেক বড়, ৮ ফুট, ৯ ফুট, ১০ ফুটের মতো। বড় বড় চোখ, একেবারেই মানুষের মতো নয়। তারা আমাদের কাছে এলিয়েনদের মতো দেখাচ্ছিল।’‌

বিশেষজ্ঞরা দাবি করেছেন যে, ২০২৩ সালে কেনমোর তোলা এলিয়েন এনকাউন্টারের ভাইরাল ভিডিওটি আসল। পরীক্ষক স্কট রডার নিউড নেশনকে বলেছেন, ‘‌ভিডিওটি একবার দেখলে, অস্বীকার করতে পারবেন না যে এটি আসল নয়। এই ভিডিওটি সম্পাদনা করা হয়নি, একেবারে আসল ভিডিও। ভিডিওটিতে কিছু যোগ করা হয়েছে কিনা তা দেখার জন্য আমরা এটি ডিবাঙ্ক করার চেষ্টা করেছি। তাতেও দেখা গেছে ভিডিওটি একেবারে খাঁটি। কেউ ভিনগ্রহের অস্তিত্ব অস্বীকার করতে পারবেন না।’ ভিডিওটির সত্যতা আরও জোরালো হয়েছে, কারণ লাস ভেগাসের একজন পুলিশ বলেছেন যে, সেই সময় তিনি আকাশে একটি ক্ষণস্থায়ী বস্তু দেখেছেন।

পরে পুলিশ কেনমোর বাসভবনে ক্যামেরা স্থাপন করতে গিয়েছিল। তারা বলেছে যে ঘটনাটি মঞ্চস্থ হয়েছে এমন কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। কেনমোর এবং তার পরিবার সেই সময় যে ভিডিওটি তুলেছিল, তা একটা বেড়ার পোস্টের ওপরে বন্দী এবং ব্যাখ্যাতীত গতি ছিল। স্কট রডার ভিডিওটি পর্যালোচনা করেছেন এবং বলেছেন যে, ‘‌এটা কোনও ভাসমান মাথা ছিল না। এটি শরীরের সাথে সংযুক্ত। এবং সেই মাথার গতি ডান থেকে বাম দিকের গতির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ যা আমরা বেড়ার স্ল্যাটের মধ্যে দেখতে পাই।’‌ ডিসকভারি প্লাস–এ ইউএফও উইটনেস হোস্ট করার জন্য জনপ্রিয় বিশেষজ্ঞ বেন হ্যানসেন বলেছেন যে, এটা টর্চলাইটের প্রতিফলন আন্দোলনের কারণ। রডার অবশ্য তা মেনে নেননি। তিনি বলেন, ‘‌আমি বুঝতে পারছি না কীভাবে ছায়াটা বেড়ার ওপরে ভেসে উঠতে পারে।’‌

মূলত এলিয়েনরা মহাকাশ থেকে আসা প্রাণী। এই সত্তা অন্য গ্রহ থেকে আসে বা বাস করে। এলিয়েন দেখতে কেমন, কেউ তা জানে না। কিন্তু গবেষকরা বিভিন্ন দৃষ্টান্তে বলেছেন যে, এদের একটা বিশেষ ধরনের আকৃতি রয়েছে। বিজ্ঞানীরা সক্রিয়ভাবে অন্যান্য গ্রহে প্রাণের অস্তিত্বের সন্ধান করছেন। বহির্জাগতিক প্রাণী নিয়ে এটাই প্রথম গবেষণা নয়। লিন্ডসে ভ্যালিচ, সিনিয়র কমিউনিকেশন অফিসার, বিজ্ঞান ও প্রকৌশল এলিয়েন সম্পর্কে একটি গবেষণা প্রকাশ করেছেন। ইউনিভার্সিটি অফ অক্সফোর্ড একটি গবেষণা প্রকাশ করেছে, ‘‌আমরা যতটা ভাবি, তার চেয়েও বেশি। এলিয়েন আমাদের মতো হতে পারে।’‌ মার্কিন সরকারি সংস্থা নাসাও এলিয়েন নিয়ে গবেষণা করে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে যার শিরোনাম, ‘‌ডু এলিয়েন অ্যাসিস্ট?’‌


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!