পেনশন দ্বিগুণ করার সিদ্ধান্ত দ্রুত কার্যকরের দাবি জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি প্রাক্তন বিধায়কদের

প্রাক্তন বিধায়কদের পেনশন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে চলতি বছরের শুরুর দিকে। বাজেট অধিবেশনের পরই বিধানসভার এনটাইটেলমেন্ট কমিটি এই সুপারিশে সিলমোহর দিয়েছিল। কিন্তু এখনও অর্থদপ্তরের তরফে সেই সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি হয়নি। অবিলম্বে তা নিয়ে হস্তক্ষেপের দাবিতে ফের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আবেদন জানাল রাজ্য বিধানসভার প্রাক্তন বিধায়কদের সংগঠন।

শুক্রবার বিষয়টি নিয়ে বিধানসভায় বৈঠকে বসেন সংগঠনের ১৫ জন সদস্য। ছিলেন ফরওয়ার্ড ব্লক, আরএসপি, সিপিএম, কংগ্রেসের প্রাক্তন বিধায়করা। তাঁদের সম্পাদক জলপাইগুড়ির ফরওয়ার্ড ব্লকের প্রাক্তন বিধায়ক গোবিন্দ রায় জানিয়েছেন, এদিন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় , পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের কাছে এ নিয়ে দরবার করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পাঠানো চিঠি পরিষদীয় মন্ত্রীকে দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে প্রাক্তন বিধায়করা মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গেও দেখা করতে চেয়েছেন। একবার বিধায়ক হয়েছিলেন, এমন প্রাক্তন বিধায়কদের পেনশন এত দিন ছিল ৮ হাজার টাকা। দু’বার বা তার বেশি সময়ের বিধায়কের পেনশন ১২ হাজার টাকা। তার সঙ্গে প্রত্যেকেই চিকিৎসা বাবদ খরচ পান ৬ হাজার টাকা। সুপারিশ অনুযায়ী প্রত্যেক বিধায়ক যা পেনশন পেতেন, এবার থেকে তার দ্বিগুণ পেনশন পাওয়ার কথা। চিকিৎসার খরচ হিসাবে পাওয়ার কথা ১০ হাজার টাকা।

কিন্তু বছর শেষের মুখেও সেই সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়নি বলে ক্ষোভের কথা জানান গোবিন্দবাবু। তাঁর কথায়, বর্তমান পরিস্থিতিতে এত অল্প টাকায় সংসার খরচ বা চিকিৎসা খরচ চলে না। সেই কারণেই পেনশন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়। আর যেখানে বর্তমান বিধায়কদের বেতন এত টাকা বাড়ানো হয়েছে, সেখানে পেনশন বাবদ এইটুকু টাকা এখনও ছাড়ছে না সরকার। যদিও বর্ধিত বেতনের বিজ্ঞপ্তিও এখনও জারি করেনি অর্থদপ্তর। ফলে বর্ধিত বেতন এখনও হাতে পাননি মন্ত্রী-বিধায়করা। যদিও প্রাক্তন বিধায়কদের পেনশন বাড়ানোর দাবি ন্যায্য বলেই মেনে নিয়েছেন পুরমন্ত্রী। যদিও পালটা প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, কেন বাম আমলে পেনশন বাড়ানো হয়নি? তা নিয়ে আক্ষেপও করে বিধায়কদের এই সংগঠন। যদিও পরিষদীয় মন্ত্রী বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রীর নজরে আনবেন বলে জানিয়েছেন।