যুদ্ধ তীব্র হওয়ার সাথে সাথে হামাস জেরুসালেমে, পশ্চিম তীরে বিক্ষোভের আহ্বান জানিয়েছে

গাজার ক্ষমতাসীন হামাস জঙ্গিরা শুক্রবার ফিলিস্তিনিদেরকে ছিটমহলে ইসরায়েলের বোমাবর্ষণের প্রতিবাদে জেগে ওঠার আহ্বান জানিয়েছে, ফিলিস্তিনিদেরকে পূর্ব জেরুজালেমের আল-আকসা মসজিদের দিকে অগ্রসর হওয়ার এবং অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি সেনাদের সাথে সংঘর্ষের আহ্বান জানিয়েছে।
ইসরায়েল এই সপ্তাহে তাদের উপর ফিলিস্তিনি জঙ্গিদের তাণ্ডবের প্রতিশোধ হিসাবে গাজাকে বিমান এবং কামান হামলা চালিয়ে জোর ধাক্কা দিচ্ছে। এদিকে সন্ত্রাসীদের আক্রমণের জেরে ইসরায়েলের কমপক্ষে ১৩০০ জন নিহত হয়েছে, যা ইসরায়েলের ইতিহাসে সাধারণ মানুষদের উপর সবচেয়ে মারাত্মক হামলা বলে উল্লেখ করা হচ্ছে। পাল্টা ইসরায়েলের আক্রমণে দেড় হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।

গাজার সহিংসতা পূর্ব জেরুজালেম এবং পশ্চিম তীরে উত্তেজনা পুনরুজ্জীবিত করেছে, যেখানে শনিবার হামাসের হামলার পর থেকে সংঘর্ষের সময় ইসরায়েলি সেনারা কমপক্ষে ৩৪ জন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে বলে ফিলিস্তিনি কর্মকর্তাদের দাবি।

সাধারণ সংঘবদ্ধতার আহ্বান জানিয়ে একটি বিবৃতিতে সন্ত্রাসীরা ফিলিস্তিনিদের আল-আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণে প্রতিবাদ করার আহ্বান জন্য জানিয়েছে, মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে অস্থির পবিত্র স্থানগুলির মধ্যে এখন রয়েছে আল-আকসা মসজিদ। প্রতি শুক্রবার এই মসজিদে প্রার্থনা হয়। প্রতি শুক্রবারের মতোই মুসলমানরা যেমন সাপ্তাহিক প্রার্থনা করে এদিন তা করার জন্যই আহ্বান জানান হয়েছে।

আল-আকসা মসজিদটি  মক্কা এবং মদিনার পরে ইসলামের তৃতীয় পবিত্রতম স্থান  এবং ইহুদিদের কাছে সবচেয়ে পবিত্র, যারা এটিকে টেম্পল মাউন্ট হিসাবে উল্লেখ করে থাকে। এই পবিত্র মসজিদটি  ২০২১ সালের মে মাসে ১১ দিনের ইসরাইল-গাজা যুদ্ধ শুরু করতে সাহায্য করেছিল।
সন্ত্রাসীরা পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনিদের ইসরায়েলি সৈন্য ও বসতি স্থাপনকারীদের সাথে বিক্ষোভ, সমাবেশ এবং সংঘর্ষ করার জন্যও আহ্বান জানিয়েছে।
এদিকে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী, যারা সাম্প্রতিক দিনগুলোতে সিরিয়া ও লেবাননের উত্তর সীমান্তে জঙ্গিদের সাথে লড়াই করেছে, তাৎক্ষণিকভাবে তারা এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেনি।