- দে । শ
- জানুয়ারি ২৭, ২০২৩
ইজরায়েলি সেনাবাহিনীর হামলায় নিহত ১০ ফিলিস্তিনি

চলতি বছরের শুরু থেকেই অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইজরায়েলি সেনাবাহিনীর হামলার তীব্রতা ক্রমশ বেড়েই চলেছে। ৫ দিন আগে অধিকৃত পশ্চিম তীরে এক ফিলিস্তিনিকে গুলি করে হত্যা করেছিল ইজরায়েলি বাহিনী। গত শনিবার রামাল্লা শহরের কাছে কাফন নামের একটি গ্রামে ৪২ বছর বয়স্ক এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা করা হয়। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ২৬ জানুয়ারি, বৃহস্পতিবার সেনা অভিযান চালিয়ে ১০ জন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইজরায়েলি সেনাবাহিনী।
ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, জেনিন শরণার্থী শিবিরে ইজরায়েলি বাহিনীর অভিযানের সময় ৯ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। অন্য একজন নিহত হয়েছেন জেরুজালেমের উত্তরে আল–রাম শহরে। জেনিনের অভিযানকে ফিলিস্তিনিরা গণহত্যা হিসেবে বর্ণনা করেছে। এই অভিযানে আরও ২০ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। যাদের মধ্যে ৪ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। নিহত ৯ জনের মধ্যে একজন বৃদ্ধা মহিলাও রয়েছেন, যার নাম মাগদা ওবায়েদ।
জেনিন পাবলিক হাসপাতালের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে যে, ইজরায়েলি সেনারা হাসপাতালে টিয়ার সেল ছোঁড়ে। যদিও সেই দাবি অস্বীকার করেছে ইজরায়েল সেনাবাহিনী। তাদের দাবি হাসপাতাল লক্ষ্য করে উদ্দেশ্যমূলকভাবে তারা টিয়ার গ্যাস ছোঁড়েনি। তবে ঘটনাস্থল থেকে হাসপাতাল খুব বেশি দূরে নয়। হয়তো জানালা দিয়ে গ্যাস হাসপাতালে ঢুকতে পারে। ইজরাইলের সামরিক বাহিনী বলেছে যে, এই আক্রমণটি ইসলামিক জেহাদী জঙ্গীদের লক্ষ্য করে, যারা ইজরায়লি সেনা এবং বেসামরিক ব্যক্তিদের ওপর হামলা করেছিল এবং ইজরায়েলে সন্ত্রাসী হামলা চালানোর পরিকল্পনা করছিল।
জেনিন পাবলিক হাসপাতালের প্রধান এইসাম বাখের বলেন, ‘এই ধরনের হামলার ঘটনা নজিরবিহীন। হাসপাতালের মেঝেতে পড়ে থাকা একজন শহীদকে নেওয়ার জন্য যখন অ্যাম্বুলেন্স ড্রাইভার চেষ্টা করছিল, তখন ইজরায়েলি সেনারা অ্যাম্বুলেন্সে গুলি চালায় এবং তাদের কাছে আসতে বাধা দেয়। এই আক্রমণের ফলে হাসপাতালের শিশু বিভাগে আতঙ্কের অবস্থা তৈরি হয়েছিল। বেশ কিছু শিশু টিয়ার গ্যাসের জন্য শ্বাসকষ্টে ভুগছে।’
❤ Support Us