Advertisement
  • এই মুহূর্তে স | হ | জ | পা | ঠ
  • ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২৫

‘সিটি-কিলার’ গ্রহাণুর আঘাতে ধ্বংস হতে পারে ভারতের আস্ত শহর। সতর্কবার্তা নাসার

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
‘সিটি-কিলার’ গ্রহাণুর আঘাতে ধ্বংস হতে পারে ভারতের আস্ত শহর। সতর্কবার্তা নাসার

মহাবিশ্বে ভাষমান গ্রহাণুগুলি সৌরজগতের কাছে হুমকির চেয়ে কম নয়। হাজার হাজার এবং লক্ষ লক্ষ গ্রহাণু পৃথিবীর চারপাশে ঘুরছে। কখনো কখনো সেগুলি পৃথিবীর কাছাকাছি চলে এসে ভয়াবহ সম্ভাবনার আশঙ্কা তৈরি করে। এই গ্রহাণুগুলি মহাকাশ বিজ্ঞানীদের জন্য অধ্যয়নের বিষয়। হলিউডের রোমাঞ্চকর সিনেমায় মহাজাগতিক বস্তুর আঘাতে পৃথিবী ধ্বংসের ভয়াল ছবি দেখা যায়। এবার বাস্তবেই, পৃথিবীর দিকে ধেয়ে থেকে আসছে একটি গ্রহাণু। ২০৩২ সালে পৃথিবীতে আঘাত হানতে পারে ৫৫ মিটার ব্যাসযুক্ত মহাজাগতিক বস্তুটি, নাসার বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, ‘২০২৪ ওয়াইআর-৪ নামের গ্রহাণুটির ২.৩ শতাংশ আশঙ্কা রয়েছে পৃথিবীতে আঘাত হানার। যদিও এটি মানবজাতিকে নিশ্চিহ্ন করার মতো সুবিশাল নয়, তবে এটি আস্ত শহরকে ধ্বংস করে দিতে পারে। বিজ্ঞানীরা অনুমান করছেন, এটি আঘাতের পর প্রায় ৮ মেগাটন শক্তি নির্গত করবে, যা জাপানের হিরোশিমায় নিক্ষিপ্ত পরমাণু বোমার চেয়ে ৫০০ গুণ বেশি শক্তিশালী। নাসার অ্যাস্টেরয়েড টেরেস্ট্রিয়াল-ইমপ্যাক্ট লাস্ট অ্যালার্ট সিস্টেমের মাধ্যমে ২০২৪ সালের ২৭ ডিসেম্বর গ্রহাণুটিকে আবিষ্কার করেছে।

যদিও, বর্তমানে গ্রহাণুটি পৃথিবী থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। তবে আগামী ৫০ বছরে এটি পৃথিবীর বেশ কয়েকবার কাছাকাছি আসবে। প্রথমবার এটি ২০২৮ সালের শেষদিকে পৃথিবীর পাশ দিয়ে অতিক্রম করবে। এর পর ২০৩২ থেকে ২০৭৪ সালের মধ্যে মোট ছয়বার পৃথিবীর খুব কাছাকাছি আসবে গ্রহাণুটি। সবচেয়ে বড় ঝুঁকির সময় হতে পারে ২০৩২ সালের ২২ ডিসেম্বর। নাসার তথ্য অনুযায়ী, এই সময় গ্রহাণুটির পৃথিবীতে আঘাত হানার আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি রয়েছে। এ সমস্ত কারণে ‘২০২৪ ওয়াইআর-৪’ গ্রহাণুটিকে টুরিনো ইমপ্যাক্ট হ্যাজার্ড স্কেলে লেভেল ৩-এ রাখা হয়েছে। এই পদ্ধতিতে বিজ্ঞানীরা কোনো গ্রহাণুর হুমকির মাত্রা নির্ধারণ করতে ব্যবহার করেন। এই স্কেলে লেভেল ৩ মানের গ্রহাণুটিকে জনসাধারণ ও কর্তৃপক্ষের নজর দেওয়ার মতো গুরুত্বপূর্ণ। তবে সাধারণত এই পর্যায়ের গ্রহাণুগুলো সময়ের সঙ্গে সঙ্গে লেভেল ০-তে নেমে আসে, তখন সংঘর্ষের আশঙ্কা প্রায় শূন্য হয়ে যায়।

এ ধরনের মহাজাগতিক হুমকি ঠেকাতে নাসা ও অন্যান্য মহাকাশ সংস্থা প্রতিরক্ষামূলক প্রযুক্তি উন্নয়নে কাজ করছে। সম্প্রতি ডাবল অ্যাস্টেরয়েড রিডাইরেকশন টেস্ট মিশনের মাধ্যমে গ্রহাণুর গতিপথ পরিবর্তনের পরীক্ষা করা হয়েছে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, ২০২৪ ওয়াইআর-৪ গ্রহাণু, ডাইনোসর যুগের ধ্বংসকারী বিশাল গ্রহাণুর মতো বিপজ্জনক নয়, যেটি ৬৬ মিলিয়ন বছর আগে মেক্সিকোতে আঘাত করেছিল। তবে এটিকে পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। কারণ, মহাকাশের যে কোনো পরিবর্তন ভবিষ্যতে এর গতিপথ পরিবর্তন করতে পারে। ১৯০৮ সালে এরকম মাপের গ্রহাণু সাইবেরিয়ার ৮০০ মাইল অঞ্চলজুড়ে ধবংলীলা চালিয়েছিল।

যদিও নাসার তরফে জানানো হয়েছে, এখনই ভয়ের কোনো সম্ভাবনা তাঁরা দেখছেন না। মহাকাশ সংস্থা ২০২৮ সাল পর্যন্ত গ্রহাণুটির গতিবিধির উপর নজর রাখবে, ঝুঁকির সম্ভাবনা বাড়লে সতর্ক করা হবে। তবে মনে করা হচ্ছে অন্যান্য গ্রহাণুর মতো এটিও পৃথিবীর পাশ কাটিয়ে চলে যাবে।


  • Tags:
❤ Support Us
গুম গ | ল্প রোব-e-বর্ণ
ধারাবাহিক: একদিন প্রতিদিন । পর্ব ৫ পা | র্স | পে | ক্টি | ভ রোব-e-বর্ণ
পথ ভুবনের দিনলিপি । পর্ব এক ধা | রা | বা | হি | ক রোব-e-বর্ণ
error: Content is protected !!