- বৈষয়িক
- মে ২৯, ২০২৪
চাপে ভারতের বাণিজ্যিক অর্থনীতি। ঘাটতি প্রায় ২৪হাজার কোটি টাকার। দিল্লির সঙ্গে রপ্তানির শীর্ষে চিন

ভারতের সঙ্গে ১০টি দেশের বাণিজ্য ঘাটতি ক্রমশ বাড়ছে। শীর্ষে রয়েছে চিন। বিশ্ববাজারে ভারতীয় সংস্থাগুলির ব্যবসার হাল ভালো নয়। সরকারি তথ্য, ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে চিন , রাশিয়া , ইরাক, সৌদি আরব, ইন্দোনেশিয়া , দক্ষিণ কোরিয়া, সংযুক্ত আরব আমীরশাহি, হংকং , সিঙ্গাপুরের সঙ্গে ভারতের বাণিজ্যিক ঘাটতি ব্যাপক। ব্যতিক্রম একমাত্র আমেরিকা। ভারত-রাশিয়ার ব্যবসায়িক লেনদেন বহু পুরনো । ঘাটতির পরিমাণ কম ছিল। ইদানীং মস্কোর সঙ্গে দিল্লির ব্যবসাজাত ঘাটতি বাড়তে শুরু করেছে। কারণ কী, রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ, না ভারতীয় পণ্য উৎপাদন ও রপ্তানির ক্রমাগত সঙ্কোচন । আমেরিকা ভারতকে সবচেয়ে বেশি রফতানিজাত অর্থ যোগায়। আমেরিকার পরেই বাংলাদেশ। এই দু দেশের সঙ্গে স্থিতাবস্থা বজায় রয়েছে। কিন্ত অর্থ তালিকায় অন্য দেশের সঙ্গে নতুন দিল্লির ঘাটতি বেড়েছে ।
বিস্মিত হবার মত বিষয়, চিনের সঙ্গে সম্পর্ক জটিল হলেও , বহু পণ্য চিন থেকে ভারতকে আমদানি করতে হয় , বিশেষ করে বৈদ্যুতিন যন্ত্রপাতি ও যন্ত্রাংশ । বহুপথে চিন ফলমূলও ভারতে পাঠায় । সে তুলনায় চিনে ভারতীয় পণ্যের রফতানি নগণ্য। এজন্য চিনের সঙ্গে ভারতের বাণিজ্যিক ঘাটতি এক বছরে ব্যাপকভাবে বেড়েছে, এক্ষেত্রে চিন ঘাটতি তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে। পশ্চিম এশীয় আরব দেশগুলিতে ভারত বরাবর অনেক যন্ত্রাংশ রপ্তানি করে। এসব দেশ থেকে আসে খাদ্যজাত পণ্য । এখানেও ঘাটতি তৈরি হয়েছে। উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে ভারতের অগ্রগতিতে যে তীব্রতা ছিল , তা কি থমকে গেছে ? এরকম প্রশ্ন উঠতেই পারে। দ্বিতীয়ত , বাণিজ্যিক ঘাটতিতে চিনের উদ্ধারোহন ভারতের পণ্য রপ্তানির বৃদ্ধিকে প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে । ভারতে পণ্য রফতানিজাত পণ্যের ঘাটতির পরিমাণ এই মুহূর্তে ২৩ হাজার ৮৩ কোটি টাকা। অর্থশাস্ত্রীদের একাংশের বক্তব্য , এত বিপুল ঘাটতি সুলক্ষণ নয় । আমদানি যখন রফতানিকে অতিক্রম করে , তখনই ঘাটতি দেখা দেয়। আভ্যন্তরীণ অর্থনীতিতে তার নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।
❤ Support Us