Advertisement
  • এই মুহূর্তে দে । শ
  • মার্চ ১৫, ২০২৩

নেপালে আস্থাভোটের তোড়জোড় শুরু।সরকার বাঁচাতে মরিয়া পুষ্পকমল

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
নেপালে আস্থাভোটের তোড়জোড় শুরু।সরকার বাঁচাতে মরিয়া পুষ্পকমল

নেপালের জোট সরকারে সম্প্রতি যে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে, এর জেরে সিপিএন মাওবাদী সেন্টারের চেয়ারম্যান তথা প্রধানমন্ত্রী পুষ্পকমল দহলকে আস্থা ভোটের রাস্তায় যেতে হচ্ছে। এখবর জানা গিয়েছে নেপালের প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয় সূত্রে। সেক্ষেত্রে আগামী সপ্তাহেই আস্থা ভোটের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে পারে।

সূত্রের খবর, সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণে জোটসঙ্গী দলগুলির সঙ্গে আলাপ-আলোচনা চলছে। এপর্যন্ত যা গতিপ্রকৃতি, তাতে আগামী সোমবার ২০ মার্চ সংসদে আস্থাভোট হওয়ার কথা। প্রধানমন্ত্রী পুষ্পকমল সেইমতো পরিকল্পনা সাজাচ্ছেন বলে জানা গিয়েছে।

এনিয়ে গত তিনমাসের মধ্যে দ্বিতীয়বার প্রধানমন্ত্রী পুষ্পকমলকে আস্থাভোটে যেতে হচ্ছে। প্রসঙ্গত, তিনমাস আগেও পুষ্পকমলকে সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রমাণ দিতে হয়েছে।

সরকার থেকে জোটসঙ্গী রাজনৈতিক দল সিপিএন -ইউএমএল গত ২৭ ফেব্রুয়ারি পুষ্পকমলের নেতৃত্বাধীন জোট সরকার থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করে নেয়। এর জেরে পুষ্পকমলের সরকার সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারায়। এছাড়া সিপিএন -ইউএমএল-এর পরে আরেকটি রাজনৈতিক দল রাষ্ট্রীয় প্রজাতন্ত্র পার্টিও সরকার থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছে। প্রসঙ্গত, যদি সরকারে থাকা কোনও রাজনৈতিক দল সমর্থন প্রত্যাহার করে নেয়, তাহলে নেপালের সংবিধান অনুসারে ক্ষমতাসীন প্রধানমন্ত্রীকে আস্থা ভোটের মাধ্যমে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে হবে ৩০ দিনের মধ্যে। আর প্রধানমন্ত্রী সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণে ব্যর্থ হলে পদ হারাবেন।

এর আগে চলতি বছরের ১০ জানুয়ারি নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্পকমল দহলকে সংসদে ভোটাভুটিতে যেতে হয়েছে। সেইসময়ে মোট ২৬৮টি ভোট পেয়েছেন। ফলে ৯৯ শতাংশ ভোটই প্রধানমন্ত্রী পুষ্পকমলের পক্ষে গিয়েছে। আর পুষ্পকমল সৃষ্টি করেছেন রেকর্ড।

গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর নেপালের জোট সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথগ্রহণ করেন পুষ্পকমল দহল। সূত্র্রের খবর, আগামী ২০ মার্চের আগে দলীয় সাংসদদের নেপালের বাইরে যেতে বারণ করেছে পুষ্পকমলের নেতৃত্বাধীন দল সিপিএন মাওবাদী সেন্টারের নেতৃত্ব।


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!